প্রকাশিত: শনিবার,২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯।।৬ই আশ্বিন,১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর: অফিস ডেস্ক : পূরবী বসু হলেন একজন বাঙালি বিজ্ঞানী ও নারীবাদী গল্পকার, প্রাবন্ধিক, কবি ও ঔপন্যাসিক।
পূরবী বসু ১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ পৌরসভাস্থ মালাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মুন্সিগঞ্জের একজন নামকরা চিকিৎসক। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াকালীন তার লেখা একটি গোয়েন্দা গল্প দেয়াল পত্রিকায় ছাপা হয়। ছোটবেলা থেকে বঙ্কিম রচনাবলী, শরৎচন্দ্র রচনাবলী পড়তেন। বাবার উৎসাহে লেখালেখি শুরু করেন। মুন্সিগঞ্জের একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কচিকাঁচার আসর, সাত ভাই চম্পা, খেলাঘর ইত্যাদি ছোটদের পাতায় তিনি লিখতে থাকেন। ধীরে ধীরে বড়দের পাতায় ও বিভিন্ন সাময়িকীতে লেখা শুরু করেন।[ ১৯৫৯ সালে আহসান হাবীব সম্পাদিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তানের (বর্তমান দৈনিক বাংলা) সাহিত্য পাতায় তার গল্প ছাপা হয়।
তিনি তার রচনায় নারীবাদী ধ্যান-ধারণা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ২০০৫ সালে অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ও ২০১৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
পূরবী বসু ম্যাট্রিক পাস করেন মানবিক শাখায়। ইন্টারমিডিয়েটে পড়েছেন বিজ্ঞান শাখায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। পরে উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়তে জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রে যান। সেখানে তিনি মেডিক্যাল কলেজ অভ পেনসিলভ্যানিয়া থেকে প্রাণ-রসায়নে স্নাতকোত্তর ও ইউনিভার্সিটি অভ মিসৌরি থেকে পুষ্টিবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। তারপর পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেছেন এবং পেয়েছেন গবেষণা বৃত্তি। এছাড়া বেশ কিছু খ্যাতনামা জার্নালে তার লেখা আর্টিকেল ছাপা হয়েছে।
পূরবী বসু ১৯৬৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একুশে পদক বিজয়ী সাহিত্যিক জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। জ্যোতিপ্রকাশের সাথে তার পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শহীদ গোবিন্দ চন্দ্র দেবের সেক্রেটারিয়েট রোডের বাসায়। পরিচয় থেকে প্রণয়। জ্যোতিপ্রকাশ উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার আগে পূরবীকে বিয়ে করেন। বিয়ে হয় পূরবীর গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তাদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে জয়ীষা রাগিনী দত্ত ও ছেলে দীপন রাগ দত্ত।
তিনি পেশায় একজন বিজ্ঞানী। তার কর্মজীবন শুরু হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মেমেরিয়াল স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে গবেষণা কর্মকর্তা হিসেবে। পরে অধ্যপনা করেছেন নিউইয়র্কের কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর দেশে এসে যোগ দেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালে। তারপর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এনজিও ব্র্যাকের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।