মুন্সিগঞ্জে পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দিলো ৭৯ পরীক্ষার্থী – জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করে

0
6

প্রকাশিত: রবিবার,০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। 

বিক্রমপুর খবর::নিজস্ব প্রতিনিধি: মুন্সিগঞ্জ শহরের এ ভি জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কে কে গভ. ইন্সটিটিউশন,উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭৯ জন পরীক্ষার্থী বাংলা প্রথম পত্রে পুরনো প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে।

গতকাল শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত প্রথমদিন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানা যায়।

 কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়,পরীক্ষা শেষে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এএইচএম রকিব হায়দার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের শান্ত করেন এবং বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সায়েলা ফারজানা বলেন,শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছে। আমরা বোর্ডে কথা বলেছি। বোর্ড বলেছে,এমন সমস্যা হতে পারে। যেহেতু পরীক্ষায় দুই ধরনের প্রশ্ন থাকে, এই ধরনের সমস্যা সারা বাংলাদেশে টুকটাক হয়েছে। এ বিষয়ে বোর্ড ব্যবস্থা নেবে। তবে খাতাগুলো আলাদা করে পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্র সচিব ও এ ভি জে এম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শিউলি আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, দুটি কক্ষে এরকম সমস্যা হয়েছে। কে কে গভ. ইন্সটিটিউশনের ৪০ জন, উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ২০ জন ও রামপাল এন বি এম উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯ জন পরীক্ষার্থী পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়। এটি কক্ষ পরিদর্শকের ভুল। ঘটনার পর জেলা প্রশাসক পরীক্ষায় তাদের আর ডিউটি দিতে নিষেধ করেছেন।

কেন্দ্র সচিব ও কে কে গভ, ইন্সটিটিউশনের প্রধান শিক্ষক মো. মনসুর রহমান বলেন, ‘সাংঘাতিক ও মারাত্মক একটি ভুল। যার কারণে ছেলেরা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। প্রায় ৮০ জন পরীক্ষার্থীকে পুরনো প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে দেয়। কেন্দ্র সচিব ও কক্ষ পরিদর্শকের গাফিলতির কারণে এটা হয়েছে।

আমি পরীক্ষার্থীদের কাছে বিষয়টি শুনেছি। আমার স্কুলের ৪০ জন শিক্ষার্থী এরকম হয়েছে। দুই রুমে এ সমস্যা হয়েছে। দুই রুমে ৪০ জন করে ৮০ জন পরীক্ষার্থী। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি বিষয়টি অবগত করেছি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালের প্রশ্নে পরীক্ষা দিবে। ২০১৬ সালে বই পরিবর্তন হয়েছে। ২০১৬ সালের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমার স্কুলের এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীরা ছিল।

মুন্সিগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আসমা শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিষয়টি কেন্দ্র কন্ট্রোলারকে জানিয়েছি। এটি কক্ষ পরিদর্শকের ভুল, তারা হল সুপার বা কেন্দ্র সচিবকে জানানোর কথা থাকলেও তারা জানায়নি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বোর্ড এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। জেলা প্রশাসকও এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলছেন।

শিক্ষার্থীরা জানায়,সৃজনশীল অংশের প্রশ্নটি ২০১৮ সালের দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি পরীক্ষা কক্ষে ডিউটিরত শিক্ষকদের জানালেও কর্ণপাত করেনি ওই দ্বায়িত্বরত শিক্ষকগণ। পরীক্ষা শেষে বিষয়টি জানতে পেরে বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা বলেন,পুরনো প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। প্রথম পরীক্ষাতেই এরকম গণ্ডগোল। এ বিষয় নিয়ে ছেলে-মেয়েরাও অনেক চিন্তিত।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন