প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।। ৩০ শ্রাবন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)।। ১৯ সফর, ১৪৪৭ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : টঙ্গীবাড়ি প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দীঘিরপাড়ে ফুঁসে উঠেছে প্রমত্তা পদ্মার শাখা নদী। দেখা দিয়েছে ভাঙন। প্রবল স্রোত আর ঘূর্ণাবর্তে এ উপজেলার দীঘিরপাড় বাজারের ৪টি দোকানঘর বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বুধবার ভোর পর্যন্ত ভাঙ্গনের কবলে বাজারের অলি বেপারী, আলমগীর বেপারী, এরশাদ খান আদু মৃধার দু’টি করে দোকান ও ফজল মোল্লার একটি দোকানঘর পদ্মার শাখা গর্ভে বিলীন হয়েছে।
এছাড়া সোহরাব খান ও কাদির দেওয়ানের দু’টি করে ৪টি দোকানঘরে আংশিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে ২০০ বছরের পুরনো এ বাজারের ৫ শতাধিক দোকান মালিকদের মধ্যে ভাঙন আতংক বিরাজ করছে। পুরো বাজার হুমকির মুখে পড়েছে। তবে বুধবার দুপুর থেকে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। এদিকে, চার বছর আগে পদ্মা এ শাখা নদী সংলগ্ন দীঘিরপাড় বাজারে ভাঙ্গনের তীব্রতা দেখা দিয়েছিলো। সে সময় বাজারের পাশ দিয়ে জিও ব্যাগও ফেলা হয়। এরপর ভাঙন বন্ধ করতে ব্লক
দিয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তবে কাজে ধীরগতির কারনে গত বছর ১১ জুলাই ভাঙ্গনের কবলে বাজারটির কামারপট্টির ৭ টি দোকান নদীতে বিলীন হয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত বিলীন হওয়া দোকান গুলো পাট ও মরিচসহ বিভিন্ন খাদ্যের আড়ত। বাজারের ব্যবসায়ী দিদার হালদার জানিয়েছেন, কয়েক দিন ধরেই পদ্মার এ শাখা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে প্রবল স্রোত ও তীরঘেষে ঘূর্ণাবর্ত দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় আগের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টার
দিকে ভাঙন দেখা দেয়। বুধবার ভোর অব্দি একে একে ৯ টি দোকানঘর বিলীন হয়ে গেছে।
দু’টি দোকানঘর বিলীন হওয়ায় চোখে মুখে অন্ধকার দেখছেন আদু মুখা। তার মেয়ে লিপি আক্তার (৩৫) জানান, ধারদেনা নিয়ে ২০ লাখ টাকা খরচায় দু’টি দোকানঘর তুলেছেন। তারপর আড়ত হিসেবে ভাড়া দিয়েছেন। ভাড়া বাবাদ যা পান তা দিয়েই ৫ জনের সংসার চলে আসছিল। ভাঙনে নদী গর্তে দোকানঘর হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় কয়েক বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী জানান, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে টঙ্গিবাড়ীর দীঘিরপাড় ইউনিয়নে ভাঙন চলছে। ভাঙনে দক্ষিণ মূলচর, মিতারা, হাইয়ারপারের কয়েক শ বাড়িঘর, মসজিদ, আবাদি জমি বিলীন হয়েছে। দীঘিরপাড় নি বাজারটিরও অন্তত ২০০ মিটার নদীতে বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আবারো ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে দোকান মালিক ও দোকান এ ভাড়া নেওয়া খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভাঙন আতঙ্কে থাকা ব্যবসায়ীদের চোখে মুখে চিন্তার ভাজ।
ভাঙ্গনের কবলে ভুক্তভোগী অলি বেপারী বলেন, সরকারের উদাসীনতা আর ঠিকাদারদের মা গাফলতিরকারনে আমরা পথে বসলাম। তাদের বার বার বলার পরেও কোন পদক্ষেপ নিলো না। আমাদের ক্ষতি কে পূরণ করবে। বাজারে ভাঙনে বিলীন হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন বাজার ব্যবসায় সমিতির সাধারন সম্পাদক রফিজুল হক মোল্লা। তিনি বলেন, বাজারে ৪-৫ শতাধিক অ ব্যবসায়ী রয়েছেন। এ বাজারকে কেন্দ্রকরে আরো ও দেড়-দুইহাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। বাজারটি ঐতিবাহী। ২ কোটি ১০ লাখ টাকায় এবার বাজারের ইজারা নিয়েছি। অথচ এ বাজারটি এখন হুমকির মুখে।
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com