বিক্রমপুর খবর : টঙ্গিবাড়ী প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। একদিনে ভাঙনে দুই শত বছরের পুরানো বাজারটির ৪ টি দোকান ঘরের ভিটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ঝুকিতে রয়েছে ওই বাজারের শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে উজানের ঢল ও তীব্র স্রোতের কারণে হঠাৎ করেই শুরু হয় নদীভাঙন। এতে গত রাতেই নদীগর্ভে তলিয়ে যায় অন্তত দুটি দোকান আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) আরো দুটি দোকানঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জমি। ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হুমকির মুখে থাকা দোকানগুলোর মালিকরা মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার ১২ (আগস্ট) রাত ৯টার দিকে নদী তীরে পূর্বে ফেলা জিওব্যাগ সরে গেলে মুহূর্তেই ভাঙন দেখা দেয়। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে যায় একটি পাটের গোডাউন ও একটি দোকান। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মুন্সীগঞ্জের অন্যতম এই হাটবাজারে প্রায় ২ হাজারের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাজারের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পরেছেন কারণ এখনও ভাঙনের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, গত কয়েকদিন ধরে পদ্মায় তীব্র স্রোত বইছে। মঙ্গলবার রাতে পৌনে ৯টার দিকে ভাঙ্গন শুরু হলে অল্প সময়ের মধ্যেই আলমাস বেপারীর পাটের গোডাউন এবং উজ্জ্বলের দোকান নদীতে বিলীন হয়। এছাড়া আলমগীর, এরশাদ খাঁসহ আরোও কয়েকজনের দোকানের জমি বুধবার ভেঙে পড়েছে। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা মালামাল ও টিন-কাঠের অবকাঠামো সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে দিঘিরপার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বুধবার রাত ৮ টার দিকে বলেন, নদীতে ৪টি দোকান ঘর ইতিমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা ভাঙ্গন আতঙ্কে আরো কিছু দোকান ঘর সড়িয়ে নিয়েছে। পানি উন্নায়ন বোর্ডের লোকজন নামে মাত্র কয়েক বস্তা ৬০ বস্তার মতো বালু ফেলেছে। ভাঙন রোধে যা কিছুই না।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ভাঙনের খবর পাওয়ার পরই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের টঙ্গীবাড়ী শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো: আশিক সারোয়ার বলেন, আগেও এখানে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছিল, এবার আপদকালীনভাবে নতুন পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ‘লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী এলাকায় প্রায় ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের ৬০ শতাংশ কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com