প্রকাশিত : শনিবার, ৮ই আগস্ট ২০২০ইং ।। ২৪শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : সারাদেশের ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সংযোগসহ ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হবে। এজন্য মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে এতে খরচ হবে ৯৩৮ কোটি ৭৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর।
চলতি বছরের মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। একনেক সভা শেষে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একনেক সভায় এ বিষয়ে যা বলেছিলেন, তা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, এটা বড় প্রকল্প। আমাদের আরও অনেক এলাকা বাদ রয়ে গেছে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সেবা সারাদেশে যায়নি। আমাদের সক্ষমতা কম। এটাকে কাভার করতে হবে। আপনারা আরও প্রকল্প তৈরি করে নিয়ে আসেন।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়) প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হলো- ৫ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (ইন্টারনেট সংযোগসহ), ৩৬ হাজার ২০ জন শিক্ষককে স্থানীয় প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রকল্প কার্যালয়ের জন্য ৩১টি ও ৫ হাজার ল্যাবের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার (প্রতি ল্যাবে ২৩টি করে) কম্পিউটার যন্ত্রাংশ সংগ্রহ, প্রকল্প কার্যালয়ের জন্য ৩১টি ও ৫ হাজার ল্যাবের জন্য ২ লাখ ৫৫ হাজার (প্রতি ল্যাবে ৫১টি করে) আসবাবপত্র সংগ্রহ, ৩০০টি ‘স্কুল অব ফিউচার’ প্রস্তুত করা, পরামর্শক ফার্ম নিয়োগ (২৯ জনমাস), আইসিটি বিষয়ে ৬০টি, কমিউনিকেটিভ ইংলিশ বিষয়ে ৮০টি ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করা, ভাষাগুরু সফটওয়্যার ভার্সন-২ তৈরি, সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন করা ৬৪টি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের জনবল নিয়োগ করা।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সারাদেশে আইসিটি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন, আইসিটির নিত্যনতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষায়িত কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষায় আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ তৈরিপূর্বক শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি ও যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন করা।
ডিজিটাল শিক্ষার সম্প্রসারণ ও সহজলভ্যকরণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আইসিটি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও টেকনিক্যাল প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আইসিটিতে দক্ষতা বৃদ্ধি করা। ইতোমধ্যে তৈরি করা ভাষা শিক্ষা সফটওয়্যারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা। অত্যাধুনিক আইসিটি সুযোগ সুবিধা সংবলিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি করা।
আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ে ইন্টারেক্টিভ কনটেন্ট প্রস্তুত করা। সভা/সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন, প্রচার ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, আইসিটি বিষয়ে আগ্রহী করে তোলা। তত্ত্বাবধান, পর্যবেক্ষণ, মূল্যায়ন ও গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকল্পের ফলাফল টেকসইকরণের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের মত হলো, প্রকল্পটি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সারাদেশে আইসিটি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপন, আইসিটির নিত্যনতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। এ অবস্থায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের প্রস্তাবিত ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হলো।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..