১৪ তম তারাবীহ (পবিত্র কোরআনের ১৭ পাড়া) আজ

0
1
১৪ তম তারাবীহ (পবিত্র কোরআনের ১৭ পাড়া) আজ

প্রকাশিত : শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫, খ্রিষ্টাব্দ।। ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ১৪ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :

১৪ তম তারাবীহ(পবিত্র কোরআনের ১৭ পাড়া) থেকে-
(সুরা আম্বিয়া– আল-হাজ্জ)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সারা বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন।
আল্লাহ বলেন আমি বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌন্দর্য স্বরূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তুর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না। আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী।
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। (সুরা ত্বা-হা ১৩১)
মহান আল্লাহর পরিচয় তিনি নিজেই তুলে ধরেছেন
যদি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আল্লাহ ব্যতীত অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ের ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব তারা যা বলে, তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। [সুরা আম্বিয়া -২২]
মহান আল্লাহ পৃথিবীর সকল প্রাণীকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন।
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? [৩০]
মহাবিশ্বের সকল কিছুই একটি নিয়মের মধ্যে পরিচালিত করে মহান আল্লাহ।
তিনিই সৃষ্টি করেছেন রাত্রি ও দিন এবং সূর্য ও চন্দ্র। সবাই আপন আপন কক্ষপথে বিচরণ করে। (সুরা আম্বিয়া)
আমি ইতিপূর্বে ইব্রাহীমকে তার সৎপন্থা দান করেছিলাম এবং আমি তার সম্পর্কে সম্যক পরিজ্ঞাত ও ছিলাম।
যখন তিনি তাঁর পিতা ও তাঁর সম্প্রদায়কে বললেনঃ এই মূর্তিগুলো কী, যাদের তোমরা পূজারী হয়ে বসে আছ।
তারা বললঃ আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে এদের পুজা করতে দেখেছি।
তিনি বললেনঃ তোমরা প্রকাশ্য গোমরাহীতে আছ এবং তোমাদের বাপ-দাদারাও ।
তারা বললঃ তুমি কি আমাদের কাছে সত্যসহ আগমন করেছ, না তুমি কৌতুক করছ?
তিনি বললেনঃ না, তিনিই তোমাদের পালনকর্তা যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের পালনকর্তা, যিনি এগুলো সৃষ্টি করেছেন; এবং আমি এই বিষয়েরই সাক্ষ্যদাতা। [সুরা আম্বিয়া – ৫১-৫৬]
এবং আল্লাহর শপথ আমি তোমাদের মূর্তিগুলোকে ধ্বংস কামনা করব এরপর তিনি অজ্ঞাতসারে সকল মূর্তি ভেঙ্গে ফেললেন শুধুমাত্র বড় মূর্তিটা রেখে এজন্য রেখে দিলেন যেন তারা বড় মূর্তিটাকে জিজ্ঞেস করে অন্য মুহূর্ত গুলিকে কে ভেঙেছে।
তারা ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম কে সন্দেহ করল এবং তাকে ডাকে পাঠাবো এবং তখন ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম বললেন যে তোমরা তোমাদের ওই বড় মূর্তিটা কে জিজ্ঞেস করো। তখন তাদের মাথা নত হল এবং বলল সে তো কথা বলতে জানে না তুমি জানো। এরপর তারা রাগান্বিত হয়ে বলল যে ইব্রাহিমকে জ্বালিয়ে দাও এবং তোমাদের দেবতা গুলোকে সাহায্য কর।
এরপর নম্রুদও তার দলবল একটা বিশাল অগ্নিকুণ্ড জালাল। এটা এত প্রচন্ড অগ্নি ছিল যে উড়ন্ত পাখি সেখানে মরা যেত। এরপর ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম কে সেখানে ফেলে দেওয়া হলো। আল্লাহ নির্দেশ দিলেন আগুন তুমি ইব্রাহিমের জন্য শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও সাথে সাথে আগুন নিভে গেল। এভাবে আল্লাহতালা ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম এবং লুত আঃ কে রক্ষা করলেন।
লুত আঃ কে আল্লাহতালা অত্যন্ত জ্ঞানী করেছিলেন এবং উনি প্রজ্ঞাবান ছিলেন।
লুত আঃ কে তার সম্প্রদায় থেকে উদ্ধার করলেন তারা অশ্লীল কাজ করত নিশ্চয়ই তারা মন্দলোক এবং নির্দেশ অমান্যকারী ছিল।
দাউদ আলাইহিস সালামকে রাষ্ট্রক্ষমতা আল্লাহতালা প্রদান করেন এবং পর্বতসমূহ ও পক্ষিকুলকে তার অনুগত করে দেন যেন তারা আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করে।
সোলাইমান আলাইহিস সাল্লাম এর অধীন করে দিয়েছিলেন বায়ু প্রবাহকে এবং তার নির্দেশ মত বায়ু প্রবাহিত হতো।
আইয়ুব আলাইহিস ওয়া সাল্লাম এর প্রার্থনা শুনে তাকে আল্লাহতালা বিপদ থেকে উদ্ধার করলেন এবং তাকে আরো নেয়ামত দান করলেন।
ইসমাইল ইদ্রিস ও জুল্কিকলকে আল্লাহতালা ধৈর্যশীল হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং তাদেরকে আল্লাহ নিজেই তার নৈকট্য দিয়েছেন।
ইঊনুস আলাইহিস ওয়া সাল্লাম যখন আল্লাহতালাকে মাছের পেটের অন্ধকারের মধ্যে ডাকল এবং তখন আল্লাহতালা তাকে উদ্ধার করলেন।
জাকারিয়া আলাই সালাম যখন বললেন হে আল্লাহ তুমি আমাকে একা রেখো না তখন তিনি সন্তানাদি দিলেন এবং মরিয়ম আঃ নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছেন তাকে আল্লাহতালা সন্তানসম্ভবা করলেন নিশ্চয়ই এ হচ্ছে আল্লাহর দিন অতএব সকলকে আল্লাহর ইবাদত করার জন্য আল্লাহ বলেন।
সৎকর্মপরায়ণ বান্দাগন এই পৃথিবীর অধিকারী।
এবং আল্লাহ তায়ালার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সারা বিশ্ববাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন।
সূরা হজ্জ
যেদিন কেয়ামত হবে সেদিন অতিব ভয়ংকর।
সেদিনস্তন্যদানকারী মা তার শিশুকে ভুলে যাবে, গর্ভবতী তার গর্ভপাত করে ফেলবে, মানুষকে দেখবে যেন নেশাগ্রস্থ অবস্থায় তারা দৌড়াদৌড়ি করছে কিন্তু তারা নেশাগ্রস্থ নয় এটা আল্লাহর কঠিন বিধান।
কেয়ামত সম্বন্ধে যাদের সন্দেহ রয়েছে তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন তোমার না চিন্তা কর, আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি মাটি থেকে অতঃপর জল বিন্দু থেকে অতঃপর রক্তের জমাট থেকে অতঃপর মাংসপিণ্ড থেকে। পূর্ণ অথবা অপূর্ণ আকৃতিতে যাতে আমি তোমাদের জন্য আমার নিদর্শনসমূহ প্রকাশ করে দেই এবং আমি স্থির রাখি মাতৃগর্ভে যাকে ইচ্ছা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। অতঃপর তোমাদেরকে বের করি শিশুরূপে যেন তোমরা যৌবনপ্রাপ্ত হও । এরই মধ্যে কেউ পূর্বেই মারা যায় আবার কেউ অল্প বয়সে মরে আবার কেউ প্রাপ্তবয়স্ক হয়।
যারা বিশ্বাস স্থাপনকারী তারা থাকবে জান্নাতে।
আর যারা মনে করে যে আল্লাহতালা রাসূলদেরকে দুনিয়াতে বা আখেরাতে কোন সাহায্য করবেন না তারা বড়ই বিভ্রান্তির মধ্যে গোমরাহীর মধ্যে রয়েছে।
নিশ্চয় আল্লাহ যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে বেহেস্তের মধ্যে দাখিল করবেন (হাজ্জ-৫৮)
যারা কুফরি করেছে কাফির হয়েছে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব।
আল্লাহতালা ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম কে কাবা শরীফের নির্দিষ্ট স্থান দেখিয়ে দিলেন এবং কিভাবে হজ করতে হবে তা বলে দিলেন হজের জন্য সাধারণ মানুষকে আহবান করতে বললেন।
আল্লাহর নির্দেশনাবলীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনে কথা বলা হয়েছে এবং যারা সম্মান করে তাদের মধ্যে রয়েছে পরহেযগাড়ি।
কোরবানির জন্য পশু নির্ধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সে পশুগুলির সমন্ধে বলা হয়েছে মোটাতাজা পশু। উট এবং গাভী আল্লাহ নির্দেশনা সমূহের অন্যতম।
আল্লাহর নামে পশু গুলোকে জবাই করতে হবে এবং তা থেকে নিজেকে ভক্ষণ করার এবং গরিবদের বিলিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা রয়েছে-৩৬
আল্লাহর নিকট কখনো না পৌঁছায় সেগুলোর রক্ত মাংস হা তার মাধ্যমে পৌঁছায় আল্লাহর কাছে আল্লাহ ভীরুতাও পরহেযগাড়ি।
মানুষের জন্য সুস্পষ্ট সতর্কবাণী এই যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা এবং ওইসব লোক যারা প্রচেষ্টা চালায় আল্লাহর আয়াতসমূহের মধ্যে হার-জিতের উদ্দেশ্যে তারা জাহান্নামী।-৫০।
ওইসব লোক যারা আল্লাহর পথে আপন ঘর বাড়ি ছেড়েছে অতঃপর নিহত হয়েছে অথবা মারা গেছে। আল্লাহ অবশ্যই তাদেরকে উৎকৃষ্ট জীবিকা দান করবেন এবং নিশ্চয়ই আল্লাহ প্রদত্ত জীবিকা সর্বাপেক্ষা উৎকৃষ্ট।
আল্লাহ মানুষের বশীভূত করে দিয়েছেন যা কিছু পৃথিবীতে রয়েছে।
তিনি আল্লাহ যিনি মানুষকে জীবিত করেছেন অতঃপর তাদেরকে মৃত্যু ঘটাবেন আবার তাদেরকে পুনরায় জীবিত করবেন নিশ্চয় মানুষ বড় অকৃতজ্ঞ।-৬৭।
আল্লাহ জানেন যা কিছু আমাদের সম্মুখে রয়েছে এবং যা কিছু আমাদের পেছনে এবং সমস্ত কাজের প্রত্যাবর্তন আল্লাহর দিকে।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা রুকু করো সেজদা করো এবং আপন প্রতিপালকের বন্দেগী করো এবং সৎ কর্ম কর এই আশায় যে তোমরা সাফল্য লাভ করবে।-৭৭
আল্লাহর পথে জিহাদ করতে বলা হয়েছে যেভাবে জিহাদ করা উচিত, ইব্রাহিম আলাইহিস ওয়া সাল্লাম এর দিন ইসলামকে আমাদের জন্য ধর্ম মনোনীত করেছেন।
অতএব নির্দেশ দিয়েছেন নামাজ কায়েম কর জাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে আকড়ে ধরো।তিনি একমাত্র অভিভাবক অতএব কতই উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন