হাতিরঝিলে সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ; স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর নামকরণের পরামর্শ

0
19
হাতিরঝিলে সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ; স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর নামকরণের পরামর্শ

প্রকাশিত: শুক্রবার,২ জুলাই ২০২১ইং।। ১৮ই আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল) ।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘ঢাকার ফুসফুসখ্যাত প্রকল্পটি সুরক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য।’ এ জন্য আদালত প্রকল্পের সম্পূর্ণ এলাকায় রেস্তোরাঁ, হোটেল, দোকানসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পরিচালনা অবৈধ ঘোষণাসহ ১০ দফা দফা নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে ওই প্রকল্পে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে গতকাল বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-

১. তুরাগ নদের রায়ের নীতি অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পকে পাবলিক ট্রাস্ট (জনগণের সম্পত্তি) ঘোষণা করা হলো।

২. ঢাকার হাতিরঝিল প্রকল্পে হোটেল, রেস্টুুরেন্ট, দোকানসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন অবৈধ ঘোষণা করা হলো। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সব বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

৩. প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।

৪. প্রকল্পের সংরক্ষণ, উন্নয়ন, পরিচালনার জন্য পৃথক একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে পরিচালনা করা।

৫. প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বুয়েটের প্রকৌশল বিভাগ এবং সেনাবাহিনীর ২৪তম ব্রিগেডকে যৌথভাবে পরামর্শক নিয়োগ করা হলো।

৬. প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের জন্য আন্ডারগ্রাউন্ডে ওয়াশরুম তৈরি করতে হবে।

৭. প্রকল্প এলাকায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা।

৮. পায়ে চলা, সাইকেল চালানো এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য আলাদা চলাচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৯. প্রকল্প এলাকার লেকে মাছের অভয়ারণ্য তৈরি করা।

১০. প্রকল্প এলাকায় বাণিজ্যিক কোনো স্থাপনা হবে না।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাছান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ওয়ায়েস আল হারুনী। রায়ের পর মনজিল মোরসেদ ১০ দফা নির্দেশনার কথা জানিয়ে বলেন, ‘আদালত রায়ে প্রথম বাঙালি বিজ্ঞানী স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর নামে প্রকল্পের নামকরণের জন্য পরামর্শ দেন। রায়ে আরও উল্লেখ করেন যে, হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকা হলো ঢাকার ফুসফুস এবং এ জন্য এর সুরক্ষা অপরিহার্য। রায়কে চলমান মামলা হিসেবেও রাখা হয়েছে।’

রুলের শুনানিতে বাদীপক্ষের কৌঁসুলি মনজিল মোরসেদ আদালতে বলেন, ‘হাতিরঝিলে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ঢাকার সবচেয়ে নান্দনিক বড় প্রকল্প চালু করার পর কিছুদিনের মধ্যেই লে আউট প্ল্যানের বাইরে অবৈধভাবে রেস্টুরেন্ট ও অন্যান্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান চালুর মাধ্যমে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন সেখানে ভ্রমণে যান এবং ট্রাফিক জ্যামের কারণে স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারণে তৈরিকৃত প্রকল্প তার নান্দনিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে। জনগণের টাকায় তৈরি প্রকল্প ব্যবসার জন্য সুযোগ করে দিয়ে জনস্বার্থবিরোধী কাজ করা হয়েছে।’

রায়ের পর আইনজীবী ইমাম হাছান বলেন, ‘রায়ের কপি পাওয়ার পর রাজউকের সঙ্গে আলোচনা করে আপিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

 

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..               

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুনhttps://www.facebook.com/BikrampurKhobor

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন