প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ জানুয়ারি ২০১৯ ::বিক্রমপুর খবর::
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমান প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে পৃথক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এ শোক জ্ঞাপন করেন।
শোক বার্তায় দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সঙ্গী সৈয়দ আশরাফের চলে যাওয়ার শূন্যতা অপূরণীয় উল্লেখ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফের মৃত্যু বাংলাদেশর রাজনীতিতে এক অপূরণীয় ক্ষতি । গণতন্ত্র, রাজনীতি ও সমাজ উন্নয়নে তাঁর অবদান মানুষ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’
রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ।
অপর এক শোক বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন মহৎ-প্রাণ, সৎ, নীতিবান, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হারিয়েছে একজন আদর্শবান-ত্যাগী-নিবেদিতপ্রাণ নেতাকে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অভিযাত্রায় ইতিহাসের ধ্রুবতারা হয়ে বেঁচে থাকবেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের সুযোগ্য পুত্র একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ও কীর্তিগাঁথা গৌরবময় নেতৃত্ব চির অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।’
বিবৃতিতে তিনি মরহুম সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম-এর পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য,গতকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সৈয়দ আশরাফ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গুরুতর অসুস্থতার কারণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদ থেকে ছুটি নেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি এক মেয়ে, ভাই-বোনসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।