প্রকাশিত : শনিবার,২১ মার্চ ২০২০ ইং ।। ৭ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ (লৌহজং) থেকেঃ দেশ কাপছে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আর এ সময় চলছে মাটি কাটা মহোৎসব এমন চিত্র ই ফুটে উঠেছে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নে ।যা দেখছি তা যেন একেবারেই সিনেমার দৃশ্য । ফসলি জমির মাটি কাটায় কমছে ফসলি জমি বাড়ছে খাদ্যের ঝুঁকি ধুলোবালিতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার রামকৃষ্ণদির বিল,চন্ডিবর্দির বিল,খিদিরপুর বিল ও রামানন্দ বিলের মাটি কেটে ফসলি জমি বিলীন করে পার্শ্ববর্তী ইটভাটাগুলোতে বিক্রি করে দিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যক্তি। এই মাটি নিয়ে যাওয়া সময় গাড়ির ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে রাস্তা ঘাট ধুলোর চাদরে ডাকা পরছেরাস্তার আশেপাশের বাড়ির ওয়াল ও ঘরের বেড়ান অন্যান্য। এ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় গভির রাতে রাস্তায় দেখা যায় মাটি কাটার ধুম , তা ছাড়া ট্রাকের ধুলোয় অন্ধকারের দৃশ্য, রামানন্দন হইতে বালুচর ব্রিজ এলাকা কংসপুরা হইতে নয়াগাঁ বাজার দিয়ে রামকৃষ্ণদী হয়ে কুচিয়ামোড়া ব্রিজ পর্যন্ত। ধুলোবালিতে হাঁচি সর্দি-কাশি এলার্জি চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে এ এলাকার মানুষ গুলি । রাতভর মাটি গাড়ির শব্দে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে এলাকার সর্ব সাধারণের। নষ্ট হচ্ছে সরকারের শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পিচঢালা রাস্তা গুলি দেখলে মনে হয় এগুলি কাঁচা রাস্তা কখনোই এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান আমরা একদিকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আতঙ্কিত অন্য দিকে মাটির গাড়ির ধুলোয় আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদের শ্বাসকষ্ট এলার্জি চর্মরোগ জ্বর হাঁচি কাশি রোগে আমাদের সন্তানরা ভুগতেছে। রাতভর গাড়ি চলার কারনে আমাদের ঘুমের সমস্যা হইতেছে এই সমস্যা দেখার কেউ নাই। এলাকাবাসী আরো জানান আমরা এবিষয় এলাকার জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুফল পায়নি বন্ধ হয়নি এই মাটি কাটার মহোৎসব। এবিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোদ চন্দ্র রায় বলেন মাটি কাটায় জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায় এই জমিতে আর ফসল হয়না।
সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্য কর্মকর্তা ডা. বদিউজ্জামান বলেন, ধূলাবালিতে যে শুধু শ্বাসনালি বা ফুসফুস আক্রান্ত হতে পারে তা নয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও তা প্রভাব ফেলত পারে। বর্তমান আমাদের হাসপাতালে ধূলাবাহিত বায়ুদূষণের রোগবালাই বৃদ্ধি পাচ্ছে আশঙ্কাজনক ভাবে।