সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

0
27
সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া

প্রকাশিত : সোমবার, ৩রা আগস্ট ২০২০ইং ।। ১৯ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকার ভুক্তভোগী পরিবার ও ভাঙ্গন স্থল পরিদর্শন করেনপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ, মুন্সীগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী টি এম রাশেদুল কবির, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মঈনুল হাসান নাহিদ, কেয়াইন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ আলী শেখ সহ অন্যান্য কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাধারন মানুষ।

উল্লেখ সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীর পানি কমার সাথে সাথে নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। গত দুই দিনে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের প্রায় ২০ টি  বাড়ী। হুমকির মুখে আরো শতাধিক বাড়ীসহ নতুন মসজিদ এবং ইসলামপুর কামিল মাদরাসা । এতে নদী ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ আতংকের মধ্যে রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব এলাকায় কোন ধরণের সাহায্য পাচ্ছেন না বলে ভাঙনকবলিত স্থানিয়রা অভিযোগ করেন। অনেক পরিবার তড়িঘড়ি করে তাদের ঘরবাড়ি অন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে দিশেহারা ইসলামপুর গ্রামের মানুষ। ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, হঠাৎ নদীতে পানি বাড়ায় ভাঙনের মুখে পড়েছেন তারা। বসতভিটাসহ সবই নদীতে চলে গেছে। কিছুক্ষন পর পর বড় বড় পাড় ভেঙে পড়ছে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ভাঙনের আতঙ্কে প্রোগ্রাম।

কেয়াইন  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আশ্রাফ আলী শেখ  বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা প্রতিদিনি বাড়ছে। নদীতে পানি কমার  সাথে সাথে তীব্র স্রোতের কারণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে।  এ পর্যন্ত প্রায় ২০ টির মত বাড়ী নদীতে ভেঙ্গে নিয়েছে । উপজেলা চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান আজ সকালে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন । খুব দ্রæত প্রদক্ষেপ না নিলে শতাধিক বাড়ী ঘর নদীর গর্ভে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে । আমরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে বালুর বস্তা  দিয়ে ভাঙনরোধের চেষ্ট করছি ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফিকুন নাহার বলেন, বিষয়টি আমি জানি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারাও আজকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরির্দশনে আসবেন । খুব দ্রতগতিতে প্রশাসনের পক্ষ হতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..          

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন