সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকব ওমরাহ পালন করছেন

0
119
সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকব ওমরাহ পালন করছেন

প্রকাশিত:শুক্রবার, ৮ নভেম্বর ২০১৯ ইং ।। ২৩শে কার্ত্তিক ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক : সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোব আজ ওমরাহ করেছেন। গত ৬ নভেম্বর রিয়াদে কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা গ্রহণ করেছেন সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোব। গতকাল ৭ নভেম্বর গ্র্যান্ড মসজিদে পৌঁছইলে মক্কার বেশ কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তারা তাঁহাকে অভ্যর্থনা দেন। -সৌদি প্রেস এজেন্সি।

সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোব তাঁহার ফেইজবুকে বলেন, “রিয়াদে ভ্রমণ করার আগে আমি আজ মদিনাতে ছিলাম,যেখানে আমি বিভিন্ন মসজিদ,কুবা মসজিদ এবং হেজাজ রেলওয়ে মিউজিয়াম এর মত বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাইট পরিদর্শন করেছি। মদিনা মুসলমানদের জন্য একটি গভীর ধর্মীয় স্থান,এবং আমি এই স্থানের ইতিহাস সহ এর প্রাক-ইসলাম ইতিহাস সম্পর্কে এত কিছু শিখতে পেরে আনন্দিত।’’

সিঙ্গাপুর প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি হালিমা ইয়াকোব

হালিমা ইয়াকুব হালিমা বিনতে ইয়াকুব এর জন্ম ২৩শে আগস্ট ১৯৫৪সালে। তিনি  হলেন সিঙ্গাপুরের একজন রাজনীতিবিদ যিনি বর্তমানে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রপতি। রাস্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণের পূর্বে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সিঙ্গাপুরের সরকারি দল পিপল’স একশন পার্টির মনোনীত স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০০১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি সংসদে জুরং দলের হয়ে পতিনিধিত্ব করেন এবং ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মার্সিলিং ইউ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন।

২০১৭ সালের ৭ই আগস্ট রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য তিনি সংসদের এমপি ও স্পিকার হিসেবে এবং তার দল পিএপি থেকে পদত্যাগ করেন।২০১৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন যেহেতু সেসময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী ছিল না।পরের দিন তিনি সিঙ্গাপুরের সর্বপ্রথম নারী রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

১৯৭৮ সালে  সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পূর্বে তিনি সিঙ্গাপুর চীনা বিদ্যালয় ও তেনজং কেটং বালিকা বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। ১৯৮১ সালে তিনি সিঙ্গাপুর বারে যোগদান করেন। ২০০১ সালে তিনি সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালের ৭ই জুলাইে এনইউএসতে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়।

বাবার পক্ষ থেকে ভারতীয় বংশদ্ভূত এবং মায়ের পক্ষ থেকে মালয় বংশদ্ভূত। তার ৪ বছর বয়সে তার পিতা হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এবং তিনিসহ তার চার ভাইবোন পরবর্তীতে মায়ের কাছে বড় হন।তার বাবার মৃত্যুর সময় তার পরিবার দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করে। তিনি বিভিন্ন সময় তৎকালীন সিঙ্গাপুর পলিটেকটিকের সামনে এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড সড়কের কাছে নাসি পেডং বিক্রিতে তার মাকে সাহায্য করতেন।      (সূত্র ; অনলাইন থেকে )

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন