প্রকাশিত : সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০ইং ।। ৫ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : স্টাফ রিপোর্টার, লৌহজং : সাম্প্রতিক পদ্মা নদীর পানি বিপদ সীমার ৭২ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। লৌহজং উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও উজানের অতিরিক্ত পানি প্রবাহের কারণে পদ্মা নদীর স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় অত্র উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের (বৌলতলী ইউনিয়ন বাদে) ৪৬ টি গ্রাম বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জে লৌহজংয়ের পদ্মার চরে ভাঙ্গন তান্ডবে ভিটেমাটি হারিয়েছে ২০টি পরিবার। পরিবার নিয়ে মাথা গোঁজার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ ও অসহায় সেলিম মাদবর , আক্তার মাদবর , নুরুজ্জামান সহ আমার জানা ১৯টি পরিবার কোনমতে গরু বাছুর ,ঘর আসবাবপত্র নিয়ে উপজেলার ২টি এলাকায় জমি ভাড়া নিয়ে ঘর উত্তোলন করার অপেক্ষা আছে।
গত ২ দিন ধরে এসব পরিবার সিংহের হাটি ও নাগেরহাট গ্রামের ব্যক্তি মালিকানাধীন শুকনো জায়গা বাৎসরিক হিসেবে ভাড়া নিয়ে বসতঘর তুলে পরিবার নিয়ে বসবাসের জন্য জড়ো হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার বিকেলে কনকসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ ছুঁটে যান সেখানে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারকে সাহায্য সহযোগিতা করে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ইউপি চেয়ায়ম্যান ও আ’লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার বিকেলে স্থানীয় সমাজ সেবক দেসবজল সিকদার ও শিমুল কুমারকে নিয়ে সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার কথা জানিয়েছি। বর্তমান সময় পর্যন্ত ১৯টি পরিবার এসেছে সিংহেরহাটি ও নাগেরহাট এলাকায়।
আজ ২০ জুলাই ২০২০ সোমবার রাত ৯ টায় লৌহজং উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান কনকসার ইউনিয়নে সিংহের হাটি ও নাগেরহাট গ্রামের বন্যাকবলিত ব্যক্তিদের আশ্রয়ের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)কর্মকর্তা মুঃ রাসেদুজ্জামান,লৌহজং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায় কর্মকর্তা মোছা:সাজেদা সরকার,লৌহজং উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পিআইও অফিস) মো: জয়েন আলী, লৌহজং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: নজরুল ইসলাম,এবং কনকসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..