প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১ইং।।২৫শে চৈত্র ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(বসন্তকাল।। ২৫শাবান ১৪৪২ হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক :ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কার ঘটনায় সালিশ বৈঠকে চেয়ারে বসা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ালো দুই ইউনিয়নের জনগণ।
উপজেলার আজিমনগর ও কালামৃধা ইউনিয়নের মধ্যে এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ২০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় কয়েকটি ঘরবাড়ি ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়।
বুধবার (০৭ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। গুরুতর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামের জসিম মাস্টারের ছেলে আজিজুলের মোটরসাইকেলের সঙ্গে কালামৃধা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া গ্রামের মনার ছেলের অটোবাইকের ধাক্কা লাগে। সেই জেরে মিয়াপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক গ্রুপের লোকেরা জসিম মাস্টারকে মারধর করে। মারধরের ঘটনায় বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় আজিমনগর শিমুলবাজার ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের সামনে পার্শ্ববর্তী দুই ইউনিয়নের গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়।
আজিমনগর স্থানীয় চেয়ারম্যান মোতালেব মাতুব্বর তিনি তার চেয়ারে এক পক্ষের দল নেতা নুরুল হক চেয়াম্যানকে বসালে অন্য পক্ষ (জসিম মাস্টার) গ্রুপরা সালিশ বর্জন করেন। তখন উভয় গ্রুপ সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
এসময় প্রায় তিন ঘণ্টা সময় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় শিমুল বাজারের প্রায় দশ থেকে বারোটি দোকান ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) বিকাশ মন্ডল বলেন, দুই ইউপির মাঝে কয়েকদিন আগের ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষ হয়। এখনও কোনো পক্ষ থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে মামলা নেয়া হবে। এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’