সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় একদিনে ২১২ মৃত্যু

0
3
সব রেকর্ড ভেঙে করোনায় একদিনে ২১২ মৃত্যু

প্রকাশিত: শুক্রবার, ৯ জুলাই ২০২১ইং।। ২৫শে আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৪৮৯তম দিনে দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ২১২ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার চার জন।

বুধবার প্রথমবারের মতো এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। ওই দিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের।

এ ছাড়া গত এক দিনে দেশে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১১ হাজার ৩২৮ জনের শরীরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার বিকেলে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ পর্যন্ত করোনা ধরা পড়েছে ১০ লাখ ৫৪৩ জনের দেহে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৬১৩টি ল্যাবে করোনার ৩৬ হাজার ৫৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সার্বিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৩৮ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ হাজার ৩৮৪ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৯ শতাংশ।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১১৯ জন ও নারী ৯৩ জন। এর মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে।

বাকিদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব ৭, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭, চল্লিশোর্ধ্ব ৪০, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫৬ ও ষাটোর্ধ্ব ৯০ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। এরপরই রয়েছে ঢাকা বিভাগ, ৫৩ জন। এ ছাড়া রাজশাহীতে ২৩ জন, চট্টগ্রামে ২৬, বরিশালে ৫, সিলেটে ৬, রংপুরে ১২ ও ময়মনসিংহে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। উদ্বেগ থাকলেও প্রথম কয়েক মাসে ভাইরাসটি সেভাবে ছড়ায়নি।

তবে মে মাস থেকে ব্যাপকভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তখন আক্রান্তের হটস্পট ছিল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামের মতো জনবহুল শহরগুলো।

গত শীতে দ্বিতীয় ঢেউ আসার উদ্বেগ থাকলেও সংক্রমণ ও মৃত্যু- দুটোই কমে আসে। একপর্যায়ে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে নেমে যায়। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় মহামারি নয়, নিয়ন্ত্রিত পরিস্থিতি।

তবে গত মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে শনাক্তের হার আবার বাড়তে থাকে। দ্বিতীয় ঢেউ নিশ্চিত হওয়ার পর এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে ভারতে করোনার নতুন ধরনের কথা জানা যায়।

সেই ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্তদের দ্রুত অসুস্থ করে দেয়, তাদের অক্সিজেন লাগে বেশি। ছড়ায়ও দ্রুত, তাই মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয় ২৪ এপ্রিল। কিন্তু বিধিনিষেধ না মানায় ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানো যায়নি।

প্রথমে ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট রাজশাহী অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে তা ছড়ায় খুলনা বিভাগে। সেই সঙ্গে ঢাকা বিভাগের বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চল আর টাঙ্গাইল এলাকাতেও সংক্রমণ ঘটে ভাইরাসটির।

করোনাভাইরাসে বিশ্বের ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ১৮ কোটি ৬৪ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৪০ লাখ ২৮ হাজারের বেশি মানুষ। তবে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১৭ কোটি পাঁচ লাখের বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..             

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন।       

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন