প্রকাশিত:বুধবার,১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ইং ||২৭শে ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:শ্রীনগর থেকে মুজিব রহমান:
২৬। শ্রেয়া ঘোষাল, ভারতের প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর পৈতৃক নিবাস হাঁসাড়া গ্রামে। পিতা বিশ্বজিৎ ঘোষাল পারমাণবিক শক্তিকেন্দ্রের একজন প্রকৌশলী। তাঁর জন্ম ১২ মার্চ ১৯৮৪। তিনি বলিউডের বহু চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। তিনি চারবার করে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছে, ৭বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (দক্ষিণ) পেয়েছেন। তিনি হিন্দি, বাংলা ছাড়াও বহু ভাষায় গান গেয়েছেন।
২৭। চাষী নজরুল ইসলাম, প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক, একুশে পদকপ্রাপ্ত, রাজনৈতিক, ওরা ১১ জন চলচ্চিত্রের নির্মাতা। তিনি একুশে পদক ও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনি চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। জন্ম ২৩.১০.১৯৪১, সমষপুর, কোলাপাড়া। তিনি ১১ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মৃত্যুবরণ করেন।
২৮। মোজাহেরুল হক, জাতিসংঘের কূটনৈতিক, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক উপদেষ্টা। তাঁর পিতা শামসুল হক প্রথম বিভাগে পাশ করে আর্মীতে যোগ দেন। মোজাহেরুল হক চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের জিএস ছিলেন। তাঁর তিন বোনকে পাকিস্তানি হানাদার হত্যা করে। তাকে বাংলাদেশের ফরেনসিক বিভাগের পথিকৃৎ বলা হয়। তিনি বর্তমানে ইউনেস্কো নিয়োজিত মাস্টার ট্রেনার।
২৮। রাজা জানকীনাথ রায়, জমিদার, ব্যবসায়ী ও দাতা। তাঁর পিতার নাম প্রেমচাঁদ রায়, জন্ম ভাগ্যকুলে। তিনি কলকাতায় মেট্রোপলিটান ইনস্টিটিউশন প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে বিদ্যাসাগর কলেজ নামে পরিচিত। তিনি ১৯১৩ সালে শ্রীনগর খালটি খননে প্রধান ভূমিকা পালন করেন। ইংরেজ ব্যবসায়ীদের মতো তিনি বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স নামে একটি সমিতি গঠন করেন। তিনি ‘বেঙ্গল ন্যাশনাল ব্যাংক’ চালু করেন। তিনি ‘ইস্ট বেঙ্গল রিভার স্টীম সার্ভিস লিমিটেড কোম্পানী’ প্রতিষ্ঠা করেন। ‘প্রেমচাঁদ জুট মিল’ স্থাপন করেন। ঐ মিলে দেশের হাজার হাজার লোকের অন্ন-বস্ত্রের সংস্থান হয়েছিল।
২৯। শাহেদ আলী, কৃষক নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। জন্ম ০২.০১.১৯০০ শুরদিয়া, শ্রীনগর, পিতা- সিটু বেপারী।
৩১। কালী কিশোর সেন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা হাসাড়া কালিকিশোর উচ্চ বিদ্যালয়, ১৮৭৯। জন্ম হাসাড়া, পিতা- পিতাম্বর সেন, মাতা শ্রীযুক্তা ঈশ্বরী।
৩২। বিনোদ বিহারী পাল, প্রতিষ্ঠাতা বেলতলী জিজে উচ্চ বিদ্যালয়, জন্ম ১৮৭৬ বেলতলী, আটপাড়া, পিতা- রামচন্দ্র পাল, পিতামহ- গঙ্গাপ্রসাদ পাল।
৩৩। অক্ষয় কুমার বসু চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা ষোলঘর একেএসকে উচ্চ বিদ্রালয় ১৯২৫, কলকাতায় ১টি বালিকা বিদ্যালয়, প্রধান শিক্ষক। জন্ম ষোলঘর, মৃত্যু ষোলঘর ২৪.০৯.১৯৩৮।
৩৪। মোহাম্মদ হোসেন আলী, প্রতিষ্ঠাতা- আলমপুর হোসেন আলী উচ্চ বিদ্যালয়, বৃটিশ সরকারের কায়সার ই হিন্দ উপাধিপ্রাপ্ত। জন্ম ডিসেম্বর ১৯০৪ আলমপুর হাসাড়া, মৃত্যু ২২.০৬.১৯৭৮, ঢাকা। পিতা- মোহাম্মদ আলফু আলম, মাতা আরজুদা বেগম।
৩৫। মনযুর উল করীম, স্বরাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ স্কাউটের প্রধান জাতীয় কমিশনার, সর্বোচ্চ স্কাউট পদক সিলভার টাইগার এবং সর্বোচ্চ বিশ্বখেতাব ব্রোঞ্জ উলফ লাভ করেন। ইমরান নূর ছদ্মনামে তিনি লেখালেখি করেছেন। জন্ম বাড়ৈখালি।
৩৬। মধু সূদন দে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা। জন্ম বাবুর দিঘিরপাড়, শ্রীনগর, মৃত্যু ২৫.০৩.১৯৭১, ঢাকা।
৩৭। মনোরঞ্জন ঘোষ, রাসায়নিক ও বৈজ্ঞানিক গবেষক। রঞ্জন শিল্প ও ওয়াটার প্রুফ এই দুই বিষয়ে সাফল্য পান। এছাড়া সিনেমা ব্যবসা করে সাফল্য পান। জন্ম ১৬.০১.১৮৯৫, হাসাড়া, পিতা- রেতী মোহন ঘোষ।
৩৮। মোহাম্মদ মাহে আলম, সংস্থাপন সচিব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পিএস, সভাপতি- সচিব এসোসিয়েশন। জন্ম ১৯৪১ রাঢ়ীখাল, পিতা- খোরশেদ আলম।
৩৯। ড. আব্দুল মমিন চৌধুরী, উপাচার্য- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক, বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক, কমনওয়েলথ স্টাফ ফেলো।
৪০। সুকুমার রঞ্জন ঘোষ, সাবেক সংসদ সদস্য, ঔষধ ব্যবসায়ী, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। জন্ম ১৯৫২ শ্রীনগর। পিতা বরদাকান্ত ঘোষ, মাতা আশালতা ঘোষ।
৪১। ড. আনোয়ারুল রহমান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগের অধ্যাপক, যুক্তরাজ্যের রয়েল আইক্রোসকোপিয়াল সোসাইটির ফেলো।
৪২। পদ্মলোচন ঘোষ, প্রতিষ্ঠাতা জয়লক্ষী দাতব্য চিকিৎসালয়, এটি উদ্বোধন করেন বাংলার লাট লর্ড কারমাইকেল, শিশু পাঠ্যপুস্তক লেখক। জন্ম ০৩.০৬.১৮৩৯, হাসাড়া, পিতা- নবকিশোর ঘোষ, মাতা জয় লক্ষী দেবী।
৪৩। ডা. আতিকুর রহমান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৩১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কোলাপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জুলফিকার আহমেদ এবং মাতা আমিরুন নেছা। ১৯৫৫ সালে এলএমএফ পাশ করে যোগদেন শরিয়ত পুরের নড়িয়ার মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে। একাত্তরে তিনি কোতয়ালী ও সূত্রাপুর থানার মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে গিয়ে চিকিৎসা করতেন এবং নিজের বাসায় আহত মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন করতেন। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে হানাদার বাহিনী তাকে বাসা থেকে ভাতিজা মীর রফিকুর রহমান কয়েসকেসহ ধরে নিয়ে হত্যা করে।
৪৪। শফি বিক্রমপুরী, চলচিত্রের প্রযোজক, পরিচালক, পরিবেশক, প্রতিষ্ঠাতা বেগম ফাতেমা আর্শেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়, রাজনৈতিক। জন্ম ০১.০৪.১৯৪০, সেলামতি, শ্যামসিদ্ধি, পিতা- আরশেদ আলী।
৪৫। ডা. মোহাম্মদ বদিউজ্জামান ভূইয়া, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক, আওয়ামীলীগ, যৌন ও এইডস বিশেষজ্ঞ, স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক। জন্ম ১৬.০৭.১৯৫৫ দামলা, রাঢ়ীখাল, পিতা- আফাজ উদ্দিন আহমেদ।
৪৬। ডা. মনিরুজ্জামান ভূইয়া, সংগঠক, রাজনৈতিক, লেখক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা উপাধ্যক্ষ, বর্তমানে অধ্যক্ষ। জন্ম দামলা, রাঢ়ীখাল, পিতা- আফাজ উদ্দিন আহমেদ।
৪৭। ডা. আব্দুল কাদির খান, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক, সাহিত্যিক। জন্ম ১১.০১.১৯৪৬ বাসাইল ভোগ, শ্রীনগর, পিতা- মোহাম্মদ আব্দুল জলিল খান।
৪৮। নুরুল আলম চৌধুরী, সভাপতি শেখ রাসেল ক্রীড়চক্র, বস্ত্র ব্যবসায়ী। জন্ম ১৭.০৩.১৯৫৮, ষোলঘর, পিতা- আব্দুল মোতালেব চৌধুরী, মাতা- নুরুন্নাহার বেগম। জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কারপ্রাপ্ত।
৪৯। আবু সাঈদ হাফিজউল্লাহ, ডেপুটি এজি, ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার তাকে সিতারা-ই-খিদমত খেতাবে ভূষিত করে। জন্ম ০১.০১.১৯১২ সমষপুর, কোলাপাড়া, পিতা- মুন্সী হাবিব উল্লাহ।
৫০। রায় বাহাদুর তড়িৎ ভূষণ জমিদর এবং কলকাতার বিখ্যাত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন। তাঁর পিতার নাম প্যারীমোহন রায় মাতার নাম রাধারাণী রায়। তাঁরই উত্তরপুরুষ বিখ্যাত ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়, অজিত রায়, অম্বর রায় ও প্রণব রায়। ভাগ্যকুলের রায় পরিবারেই বহু কৃতীসন্তান রয়েছে।
*(ধারাবাহিক-চলবে ) —- (ভালো লাগলে শেয়ার করুন)