প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ৪ঠা পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)। ৩রা জমাদিউল-আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : হিমেল হাওয়া, ঘন কুয়াশা হাঁড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডায় কুডিগ্রামের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজারহাট উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ অবস্থায় ঠান্ডা ও কুয়াশা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষ।
গরম কাপড়ের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন চরাঞ্চল, ছিন্নমুল ও ৫টি আবাসনের বসবাসকারী হতদরিদ্র মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। হাতপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। দিনের বেশিরভাগ সময় সুর্যের দেখা না মেলায় বিকেল হতেই বাড়ছে ঠান্ডার প্রকোপ। রাত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে হিমেল হাওয়া ও শীতের তীব্রতাও। রাতজুড়ে বৃষ্টির মতো ঝড়ছে কুয়াশা। দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকছে প্রকৃতি।
এতে করে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলে বসবাসকারী হতদরিদ্র পরিবারগুলো। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় না থাকায় অতি কষ্টে পরিবার পরিজন নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন তারা।
ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা চর খিতাবখাঁ গ্রামের খায়রুল ইসলাম, মকবুল হোসেন, সোনা মিয়া বলেন, কয়েকদিন ধরে প্রচন্ড ঠান্ডা আর কুয়াশার জন্য কাজে যেতে পারছি না। গরম কাপড়ও নাই। ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি।
রিকশা চালক সাজু ও লাল মিয়া বলেন, সকাল ১০ টার আগে বের হতে পারি না। আর এসময়টা ভাড়াও কম। আয় রোজগার কমে গেছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, শনিবার এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টায় সামান্য তাপমাত্রা পরিবর্তন হতে পারে।
শনিবার বিকালে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. আইভি খাতুনের সাথে হলে তিনি জানান, শীতের কারণে গত ৩/৪দিনে শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেশি পাওয়া গেছে। এ যাবত ৭জন শ্বাসকষ্ট রোগী ও ৬জন ডায়রিয়া রোগী ভর্তি রয়েছে। শীত জনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে জানান তিনি।
রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নুরে তাসনিম জানান, রাজহারহাট উপজেলায় ৩ হাজার ২০০ পিস কম্বল বরাদ্দ এসেছে। এগুলোর মধ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে আড়াইশো পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে এ উপজেলায় শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ আসলে শীতবস্ত্র ক্রয় করে তা বিতরণ করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’