প্রকাশিত:সোমবার,১২ জুলাই ২০২১ইং।। ২৮শে আষাঢ় ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)।
বিক্রমপুর খবর : মো.সোহেল রানা, লৌহজং : কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই আজও রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। মুন্সীগঞ্জ লৌহজংয়ে মাওয়া শিমুলিয়া নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির ঘোষণা উপেক্ষা করে চতুর্থ দিনে ঘরমুখো মানুষ ও ব্যক্তিগত যানবাহন পদ্মা পার হচ্ছে। তবে গতকাল রোববারের চেয়ে চাপ কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে। আজ সোমবার( ১২ জুলাই) সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে উভয়মুখী ফেরিতে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতেই ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পদ্মাপার হতে দেখা গেছে।
পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রীদের ফেরিঘাটে আসতে দেখা যাচ্ছে।
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ট্রাক, ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা,মটরসাইকেলসহ ছোট ছোট যানে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে।
মাদারীপুরের প্রবাস ফেরত রাকিব জানান, ঢাকা যাচ্ছে ফাইজারের চিকা নিতে,ঢাকা থেকে আসা মাদারীপুরের শিবচরে বাসিন্দা রাসেল জানান, সে ঢাকায় একটি কারখানায় কাজ করতো কারখানা বন্ধ কাজকাম নাই তাই দেশে চলে যাচ্ছে। বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার আলমগীর জানান,লকডাউনে ঢাকায় কাজ নেই তাই গ্রামে চলে যাচ্ছি, শিবচরের জামাল উদ্দিন জানান,মেস বাসায় থেকে বঙ্গবাজার রেডিমেড কাপড়ের দোকানে চাকরি করি মনে করছি ১ সপ্তাহ লকডাউনের পরে মার্কেট খুলবো এখন দেখি আবার বাড়াইছে আবার শুনতাছি কারফিউ দিবো তাই মালিক বলছে দোকান খুললে আসতে তাই বাড়ি চলে যাচ্ছি। ঢাকা থেকে শিমুলিয়া ঘাট কিভাবে আসলেন জানতে চাইলে এক যাত্রী বলেন, বাবুবাজার থেকে কদমতলী এসে অটোরিক্সায় ইকুরিয়া এসে মোল্লার বাজার দিয়ে বেতকা বালিগাঁও হয়ে ভেঙ্গে ভেঙ্গে মাওয়া চলে আসছি এদিক দিয়ে কোন চেকপোস্ট নাই।
ঢাকা থেকে আসা ঘাটে মাইক্রোবাস যাত্রী জানান, আমার আত্মিয় মারা গেছে তাই যাচ্ছি।
এদিকে সকাল থেকে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে ট্রাফিক পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেছে।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, দ্বিতীয় দফা লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার কঠোর লকডাউনের মধ্যে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে ঘরমুখো মানুষ ফেরিতে পদ্মা পার হওয়ার জন্য ভিড় করছে। পথে পথে পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে এবং গণপরিবহন না থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে পরিবার নিয়ে বিভিন্নভাবে শিমুলিয়ায় ছুটে আসছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহম্মেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১১টি ফেরি চলছে। সকাল দিকে ফেরিতে যাত্রীর চাপ ছিলো এখন যাত্রী ও যানবাহনের চাপ নেই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ঘাটে এখন যাত্রী ও পন্যবাহী গাড়ির চাপ নেই, এম্বুলেন্স এবং লাশবাহী গাড়িও ঘাটে অপেক্ষায় নেই। যখন ঘাটে ফেরি না থাকে তখন যাত্রীরা এক যায়গায় জরো হতে থাকে তখন দেখে মনে হয় যাত্রী চাপ। তবে ঘাটে অর্ধশত পন্যবাহী পারাপারে অপেক্ষায় আছে।
এদিয়ে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এড়িয়ায় মাওয়া খানবাড়ী ও শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এম্বুলেন,পন্যবাহী ও জরুরী প্রয়োজনীয় গাড়ি যেতে দেয়া হচ্ছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
আপনার আশেপাশে সাম্প্রতিক খবর পাঠিয়ে দিন email bikrampurkhobor@gmail.com