প্রকাশিত: মঙ্গলবার,১৩ আগস্ট ২০১৯ ইং ||২৯শে শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:মাওয়া প্রতিনিধি: ঈদের এক দিন আগেও পদ্মার শিমুলিয়া ঘাটের যে রকম দীর্ঘ লাইন পড়েছিল,তাতে সংশয় ছিল ঘরমুখো সব যাত্রীকে ঈদের আগে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে কি না। কয়েক দিন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শেষমেশ নির্বিঘ্নে পার হয়েছে ঈদের যাত্রীরা। নিত্য সরগরম শিমুলিয়া ঘাট এখন ফাঁকা।
দেশের দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের রাজধানীসহ উত্তরবঙ্গ ও অন্যান্য প্রান্তে আসা-যাওয়া করতে পাড়ি দিতে হয় পদ্মা নদী। পদ্মার শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি, লঞ্চ ও সি-বোটে করে তারা নদী পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছায়। তাই মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে অবস্থিত শিমুলিয়া ফেরিঘাটকে বলা হয় দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার মানুষের প্রবেশদ্বার। এসব জেলার মানুষের পদচারণে দিনভর মুখর থাকে শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাট।
ঈদের আগে আগে নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামে শিমুলিয়া ঘাট। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি এর। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির কয়েক দিন আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরি ও নৌযান চলাচল বন্ধ থাকলেও ঈদের আগে শেষ চার দিন আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। ফলে ঈদের ছুটি প্রথম দিন শুক্রবার থেকেই ঘাটে যাত্রী চাপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পেরেছে সবাই। পার হয়েছে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা শত শত যানবাহন।
শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগে শনিবার বিকাল পর্যন্ত ঘাটে বিপুল যাত্রী ও যানবাহনের চাপ ছিল। বিকাল ৫টার পর থেকে কমতে থাকে চাপ। একসময় ফাঁকা হতে শুরু করে ঘাট। ১৭টি ফেরি, ৮৭টি লঞ্চ ও কয়েক শতাধিক সি-বোটে করে লাখ লাখ যাত্রী পদ্মা পাড়ি দেয়। যাত্রীদের পারাপার শেষে পার হয় চার দিনের বেশি ঘাট ও পাশর্^বর্তী রাস্তায় আটকে থাকা শতাধিক ট্রাক।
এ দিকে যাত্রীদের নির্বিগ্নে পার করতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ঘাটসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।
সোমবার সকালে মাওয়া ট্রাফিক ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে জানান, ঘাট এখন পুরো ফাকা। ঈদে বাড়ি যাওয়া হয়নি, তবে শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে ঈদের যাত্রীরা বাড়ি ফিরতে পেরেছে এটাই আমাদের আনন্দ।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাবিরুল ইসলাম খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, প্রথম দিকে আমরা কিছুটা সন্দিহান ছিলাম, ঈদে সবাইকে বাড়ি পৌছাতে পারব কি না। সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলতে হয়, শেষ সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল। সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় নির্বিগ্নে যাত্রীরা বাড়ি পৌছাতে পেরেছে। তবে ঈদের দিনেও মনিটরিং করা হচ্ছে বিকালে কিছু যাত্রী যাওয়া আসা করতে পারে।