শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি বঙ্গবন্ধু পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

0
2
শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা

প্রকাশিত: মঙ্গলবার,১৪  ডিসেম্বর ২০২১ইং।।৩০ অগ্রাহায়ণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (হেমন্ত কাল)।।৯ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে ‘বঙ্গবন্ধু পরিষদ’ ও ‘ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদ’।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ কবরস্থানে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের শহীদ শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধ পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

এরপর সংগঠনের নেতারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন, রেহমান সোবাহান, মতিউর রহমান লাল্টু সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান পলাশ, নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা জালাল উদ্দিন তুহিন, মিজান ইবনে হোসেন, মহানগর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেল সহ নগর কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিভিন্ন স্পটে উপস্থিত ছিলেন এম. মনসুর আলী, সালাউদ্দিন আল আজাদ, মো. মোতাহার হোসেন,শেখ ওহিদুজ্জামান মিন্টু, আফসা আহমেদ সানু, সাখাওয়াত হোসেন পলাশ, আবদুল্লাহ আল মামুন রঞ্জন, কাইসার জাহান রিতা, অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, মো. মেহেবুব হাসান, মো. সিরাজুল ইসলাম শাওন, মো. আকবর হোসেন, শেখ জসিম উদ্দিন, কে এম পরাগ মাহমুদ, শেখ হাসান, শেখ আলমগির হোসেন, মো. রনি, মিজানুর রহমান, মনির হোসেন, ইমদাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম, শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী, মাসুদ রানা, অখিল চন্দ্র দাস, মো. রফিক, মামুন হায়দার, মো. পনির হোসেন প্রমুখ।

শহীদ বেদিতে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধ পরিষদের শ্রদ্ধা নিবেদন

বিজয়ের ঊষালগ্নে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দুঃসহ যন্ত্রণার দিন আজ। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের শেষলগ্নে বাঙালি যখন চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই একাত্তরের আজকের দিনে এদেশীয় নরঘাতক রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা মেতে ওঠে দেশের বুদ্ধিজীবীদের বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞে। বিজয়ের চূড়ান্ত মুহূর্তে বাঙালি মেধার সে নৃশংস নিধনযজ্ঞ আনন্দোন্মুখ জাতিসহ গোটা বিশ্বকেই হতবিহ্বল করে দেয়।

পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাত্র দু’দিন আগে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে কেবল ঢাকা শহরেই প্রায় দেড়শ বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন পেশার কৃতী মানুষকে চোখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন সকালে ঢাকার মিরপুরের ডোবা-নালা ও রায়েরবাজার ইটখোলায় বিক্ষিপ্তভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায় বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহ। কারও শরীর বুলেটবিদ্ধ, কারও বা অমানুষিক নির্যাতনে ক্ষতবিক্ষত। হাত পেছনে বেঁধে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নাড়িভুঁড়িও বের করে ফেলা হয়েছিল অনেকেরই।

বাঙালি জাতির দীর্ঘ মুক্তিসংগ্রামে এসব বুদ্ধিজীবী নিজেদের মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। দেখিয়েছেন মুক্তির পথ। গোটা জাতিকেও উদ্দীপ্ত করেছেন অধিকার আদায়ের সংগ্রামে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..    

   (বিজ্ঞাপন)  https://www.facebook.com/3square1          

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন