লৌহজং এর খড়িয়া গ্রামে পদ্মার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

0
24
লৌহজং এর খড়িয়া গ্রামে পদ্মার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:রবিবার, ২১ জুলাই ২০১৯ ইং ||৬ই শ্রাবণ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর: লৌহজং প্রতিনিধি:আজ বিকেলে বিকেলে লৌহজং উপজেলার খড়িয়া গ্রামে পদ্মার নদীর প্রবল ভাংগনে ক্ষতি গ্রস্থ ঘরবাড়ী দেখতে আসেন মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার,সাথে ছিলেন লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব কাবিরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তপন,কুমারভোগ ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যন লুতফর রহমান তালুকদার অন্যান্য স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ।

যানা যায় মাত্র ২/৩ দিনে খড়িয়া গ্রামের ১০/১২টি পরিবারের ভিটেমাটি পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। প্রচন্ড ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরও অনেক পরিবার ও খড়িয়া মসজিদ ইত্যাদি। ভাঙ্গন তীরবর্তী এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। গত শুক্রবার ও শনিবার ভাঙ্গন এলাকার লোকজন অনেকেই বাড়িঘর দ্রুত ভেঙ্গে সরিয়ে নিচ্ছেন।গত ৫-৬ বছর আগে খড়িয়া গ্রাম থেকে আধা কিলোমিটার দূরত্বে বালু ফেলে শিমুলিয়া ঘাট তৈরি করা হয়। ফলে পদ্মার এই শাখা নদীটির বাক পরিবর্তন হওয়ায় স্রোত এসে খড়িয়া গ্রামে সরাসরি আঘাত করে। তাই প্রতিবছর বর্ষাকালে নদীতে লৌহজংয়ের কোথাও না ভাঙলেও খড়িয়া ভেঙ্গেই চলেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত নদী ভাঙ্গন এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন।

এ সময় এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক তথা সরকারের কাছে দাবি জানান ‘ত্রাণ কিংবা আর্থিক সহযোগিতা নয় চাই নদী শাসন করে আমাদের ভিটেমাটি রক্ষা করা’।

লৌহজং এর খড়িয়া গ্রামে পদ্মার নদী ভাঙ্গন পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার খুব শীঘ্রই ভাঙ্গনরোধে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তফা শেখ বলেন  নদী ভাঙ্গনের প্রধান কারন হচ্ছে নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা। তাই বালু উত্তোলন বন্ধ করে মাঝ নদীতে ড্রেজিং এর মাধ্যমে পানির প্রবাহ ঠিক রাখলে এবং নদী শাসন এর কাজ বাস্তবায়ন করলে নদী ভাঙ্গন অনেক কমে যাবে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন