প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২১ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ৮ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। ২৬ শাবান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর : স্টাফ রিপোর্টার মিজানুর রহমান ঝিলু, লৌহজং থেকে : ‘গ্রামে ডাকাত পড়েছে’ এমন খবর মসজিদের মাইকে ঘোষণা করায় লৌহজংয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত মসজিদে মসজিদে ডাকাত পড়ার সংবাদ মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সাবধান করা হয়। কেউ বলেন এ খবরের উৎপত্তিস্থল উপজেলার বৌলতলী গ্রাম; আবার কেউবা বলেন শ্রীনগর উপজেলার সিন্দুরদি গ্রাম। গ্রামে ডাকাত পড়ার খবর পার্শ্ববর্তী সিরাজদিখান, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মাইকিং করে জানানো হয়। বিশেষ করে লৌহজংয়ের বৌলতলী, বানিয়াগাঁও, আটিগাঁও, কলমা গ্রামে; শ্রীনগর উপজেলার উত্তরগাও, ভাটপাড়া, সিন্দুরদি গ্রামে; সিরাজদিখানের জৈনসার, চালতিতলা, আদাবাড়ি গ্রামে এবং টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেতকায় ডাকাতি হওয়ার গুজব মুুুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে।
বৌলতলী গ্রামের এক প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জানান, শ্রীনগর উপজেলার সিন্দুরদি গ্রাম দিয়ে ৪/৫ জন পুরুষ ও ৩ জন বোরকা পরিহিত মহিলা রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার সময় একজন মুমূর্ষু রোগীকে ধরাধরি করে বৌলতলী চৌরাস্তা দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তিনি করোনা ভাইরাসের রোগী ভেবে তাদের কাছে না গিয়ে দূর থেকে দেখতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর চৌরাস্তা গেলে দেখতে পান একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি পিকআপ ভ্যানের ড্রাইভারকে কেন দাঁড়িয়ে রয়েছেন জিজ্ঞেস করলে ড্রাইভার বলেন, একজনের জন্য অপেক্ষা করছি। তারপর ওই পিকআপ ভ্যান কারো জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চলে যায়। এতে সন্দেহ আরও বাড়ে। এরপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিলে হইচই শুরু করে। কে বা কারা মসজিদের মাইক দিয়ে ডাকাত পড়েছে ঘোষণা দেন তা তিনি বলতে পারেননি। বৌলতলী গ্রামের তিনটি মসজিদের ঈমামকে জিজ্ঞেস করলে তারা একজন অন্যজনের নাম বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বৌলতলী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল মালেক শিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টা আমি অবগত আছি। তবে কিভাবে যে পুরো মুন্সীগঞ্জে গুজব ছড়ালো আমার জানা নেই। শুনেছি, পার্শ্ববর্তী এলাকা সিন্দুরদি চকে (বিলে) ৪/৫ জন যুবক দেখে কেউ গুজব ছড়িয়েছে।
এ বিষয়ে লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, পাশের শ্রীনগর উপজেলার সিন্দুরদি গ্রামে অজ্ঞাত কিছু যুবক মাঝরাতে টর্চলাইট জ্বালিয়ে বিলে মাছ ধরতে যায়, তখন এলাকাবাসী তাদেরকে দেখে ডাকাত ভেবে চিৎকার দেয়। এরই প্রেক্ষিতে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে ডাকার পড়ার গুজব ছড়ানো হয়।