প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ইং।। ৩রা ফাল্গুন ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।। ০৩রজব ১৪৪২হিজরী
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : উচ্চারণ : ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সাগিরা।’ (সুরা বনি ইসরাইল : আয়াত ২৪)
My Lord! Have mercy on them both (parents) as they did care for me when I was little.” (Sura: Al-Isra, Ayat: 24)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম করুন; যেমনিভাবে তারা আমাকে শৈশবকালে লালন–পালন করেছেন।’
গোটা বিশ্ব এক দিকে, মায়ের দোয়া এক দিকে। এক সাহাবী বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন পৃথিবীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ আমল কোনটা?
বিশ্ব নবী বললেনঃ
- সময় মত নামাজ পড়া
- মাতা পিতার খেদমত করা
- আল্লাহ্র রাস্তায় জিহাদ করা
তোমাদের ঘরে ২ টা জান্নাত আছে এবং জান্নাতের ২ টা স্পেশাল দরজা আছে, একটা জান্নাতের দরজা হচ্ছে বাবা এবং আরেকটা জান্নাতের দরজা হচ্ছে মা। আল আফ মানে আব্বা, আল উম মানে আম্মা। বাবা-মা ই তোমার জান্নাত যদি বাবা মা এর দোয়া পাওয়া যায়, অণ্য দিকে বাবা-মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার বা কষ্ট দিলে জাহান্নাম।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাদের জীবিত মা-বাবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। আর মৃত মা-বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ তাআলা তাঁদের জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম কবুল করুন। আমিন।
আরেক হাদিসে এসেছে এক সাহাবী বিশ্ব নবীকে বলছেন, আমি জিহাদে যেতে চাই, অনুমুতি দেন ! বিশ্ব নবী বললেন তোমার ঘরে বাবা মা কেও বেঁচে আছে নাকি, যাও বাবা মায়ের খেদমত শুরু করে দাও, বাবা মায়ের সেবা করলে জিহাদের সওয়াব পাওয়া যাবে।
তিন জিনিসের দিকে তাকালেই সওয়াব আপনার আমল নামায় বাড়তে থাকবেঃ
- কুরআনের দিকে নজর করে তাকালে
- কাবা ঘরের দিকে তাকালে
- মাতা পিতার চেহারার দিকে তাকালে
তিন ব্যক্তির দোয়া আল্লাহ্ কখনও ফিরায় নাঃ
- সফর কালে দোয়া করলে (জার্নি অবস্থায় দোয়া করলে)
- রোজা করে দোয়া করলে (রোজা রেখে দোয়া করলে)
- মাতা পিতা যখন ছেলে মেয়ের জন্য আল্লাহ্র কাছে দোয়া করে
“আল্লাহ্র ইবাদত করা যেমন ফরজ কাজ, মা বাবার সাথে ভালো আচরণ করাও ফরজ কাজ“
‘মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত’
রাসূল (সা.) মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাতের কথা উল্লেখ করেছেন। সুনির্দিষ্টভাবে রাসূল (সা.) তাঁর সাহাবিকে বলেছেন, ‘তোমার মায়ের খেদমত করো। কারণ, মায়ের পায়ের নিচেই জান্নাত রয়েছে।’
ইসলামের দৃষ্টিতে বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা তিন গুণ বেশি। এ প্রসঙ্গে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল (সা.)-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)!
মানুষের মাঝে আমার নিকট থেকে সর্বোত্তম সেবা লাভের অধিকার কার? নবী (সা.) বলেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তার পর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার পিতার – বোখারি ও মুসলিম
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’