প্রকাশিত :রবিবার ২ মার্চ, ২০২৫, খ্রিষ্টাব্দ।। ১৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ০১ রমজান, ১৪৪৬ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : রমজান মাসের প্রথম ১০ দিন হলো রহমত; তার দ্বিতীয় ১০ দিন মাগফিরাত; এর শেষ ১০ দিন হলো নাজাত।সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, প্রথম ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের প্রতি রহমত বা দয়া বণ্টন ও বিতরণ করতে থাকবেন। দ্বিতীয় ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের ক্ষমা করতে থাকবেন।
শেষ ১০ দিন আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের জাহান্নাম থেকে নাজাত বা মুক্তি দিতে থাকবেন। এখানে অনুধাবনের বিষয় হলো; আল্লাহ যদি রহমত বা করুণা করতে চান, ক্ষমা করতে চান, মুক্তি দিতে চান; তা তো এক মুহূর্তেই করতে পারেন, তা যতসংখ্যক মানুষের জন্যই হোক না কেন এবং যে পরিমাণেই হোক না কেন; এতে ১০ দিন-১০ দিন সময় লাগবে কেন?
আসলে রমজান হলো প্রশিক্ষণের মাস। আল্লাহ চান তার বান্দা নিজের গুণাবলি অর্জন করে সেই গুণে গুণান্বিত হোক। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহর গুণে গুণান্বিত হও।’
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন-‘হে ইমানদারগণ! তোমাদের প্রতি রোজা (রমজানের রোজা) ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩)।অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন-‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তিই এ মাস পাবে, সে যেন অবশ্যই রোজা রাখে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৫) বরকতময় এ মাসে রোজা পালনকারীর মর্যাদাই আলাদা। অন্যান্য মাসব্যাপী রোজা রাখলেও রমজান মাসের একটি রোজার সমতুল্য হবে না।
রোজা মুমিন ব্যক্তিকে যাবতীয় ত্রুটি থেকে মুক্ত রাখে। মহানবী (সা.) হাদিসে এ বিষয়ে ইরশাদ করেন। সুনানে নাসাঈ ও ইবনে খুযাইমা’র যৌথ বর্ণনায় এসেছে- ‘হজরত আবু উবায়দা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাওম (রোজা) ঢালস্বরূপ যতক্ষণ পর্যন্ত সে তা ভেঙ্গে না ফেলে, আর তা হলো- মিথ্যা ও গিবত (বলা দ্বারা)। (সুনানে নাসাঈ ২২৩৫, সহিহ ইবনে খুযাইমা ১৮৯২)।
হাদিসের ভাষায়- ‘হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যখন কেউ রমজানের প্রথম দিন রোজা রাখে তখন তার পূর্বেকার সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
এমনিভাবে রমজান মাসের সমস্ত দিন চলতে থাকে এবং প্রতি দিন তার জন্য সত্তর হাজার ফেরেশতা সকালের নামাজ থেকে শুরু করে তাদের পর্দার অন্তরালে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তার ক্ষমার জন্য দোয়া করতে থাকে।’ (কানযুল উম্মাল, ৮ম খণ্ড ৪৭১ পৃষ্ঠা, হাদিস: ২৩৭০৬)।
হাদিসের ভাষায়- ‘হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন যে, রমজানের প্রথম রাতে শয়তান ও অবাধ্য জিনগুলোকে বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করা হয়। কোনও দরজা খোলা রাখা হয় না। জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। কোনও দরজা বন্ধ রাখা হয় না।’ (জামে আত-তিরমিজি, হাদিস: ৬৮২)।
এই ১০ দিনে করণীয়
নামাজ ও কোরআন তিলাওয়াত: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাযথভাবে আদায় করা এবং কোরআন তিলাওয়াত বাড়ানো।
অতিরিক্ত দোয়া ও ইস্তেগফার: আল্লাহর রহমত লাভের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা।
সাদকাহ ও দান: দরিদ্রদের সহায়তা করা এবং দান-সদকা বৃদ্ধি করা।
রোজার আত্মিক প্রশিক্ষণ: গীবত, মিথ্যা ও অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থেকে আত্মশুদ্ধি করা।
তারাবিহ নামাজ: প্রতিদিন তারাবিহ নামাজ আদায় করা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।
বিশেষ দোয়া
রমজানের প্রথম দশকে বেশি বেশি বলা উচিত:
اللهم ارحمنا يا أرحم الراحمين
(উচ্চারণ: আল্লাহুম্মারহামনা ইয়া আরহামার রাহিমিন)
অর্থ: হে পরম দয়ালু, আমাদের প্রতি দয়া করুন।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর– আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন– বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com