মুন্সীগঞ্জে বন্যায় আরও অবনতি, কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি

0
54
বন্যায় কেড়ে নিয়েছে বিক্রমপুরের মানুষের ঈদ আনন্দ!

প্রকাশিত : রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০ইং ।। ৪ঠা শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সরকারি হিসাবে জেলার সাড়ে ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি। নদীভাঙ্গনও দেখা দিয়েছে মুন্সীগঞ্জে।

তীব্র স্রোতে কামারখাড়া মুন্সীবাড়ি পয়েন্টের দুই সেতুর সংযোগ সড়ক এবং সড়কের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এতে কামারখাড়া-আদাবাড়ি এবং দিঘিরপাড়-কামারখাড়া-ভাঙ্গুনিয়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি চালাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।


মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, বানভাসি পরিবারের জন্য ৬৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। লৌহজং, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ১৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত থাকলেও এসবে যেতে চান না পানিবন্দীরা। জেলায় ৬৫ মেট্রিক টন চাল, ৭শ’ জনের শুকনো খাবার, শিশু এবং গো-খাদ্যের জন্য ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী টিএম রশিদুল কবির জানান, পদ্মার পানির চাপ গেল কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। টঙ্গীবাড়ির দিঘিরপাড়ে ভাঙ্গনরোধে ২৬ হাজার ও লৌহজং উপজেলায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। টঙ্গীবাড়ি ও লৌহজং উপজেলায় ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মাওয়া বাজার এলাকায় পদ্মাসেতুর নদীশাসন কাজ করছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো। সময় মতো তাদের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় কয়েকটি স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাবিরুল ইসলাম খান জানান, পদ্মা নদী তীরবর্তী চর এলাকার কিছু বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। মূল চরের মধ্যে বসবাসরত প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া, মূল ভূমিতে কয়েকটি বাড়িতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চারটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এখানে সাড়ে ৪৫০ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবে। আর এদের জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গবাদি পশুদের জন্য একটি শেড তৈরি করা হয়েছে।

টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, উপজেলায় ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। এখানে পানিবন্দী আছে ১ হাজার ২০০ পরিবার। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম হলো, পাঁচগাঁও ইউনিয়নের গারুরগাঁও, কুকুরাদি, কামারখাড়া ইউনিয়নের চৌষাড়, ভাঙ্গুনিয়া, বরাইল, বাগবাড়ি, দিঘিরপাড় ইউনিয়নের হায়ারপাড়, সরিষাবন, বেতকা ইউনিয়নের উত্তর বেতকা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার জানান, বাঘড়া ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..    

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন