প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১২ মে ২০২০ ইং ।। ২৯ বৈশাখ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ১৮ রমজান ১৪৪১
বিক্রমপুর খবর : মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জে আগামীকাল বুধবার থেকে মার্কেট আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই জরুরি খাদ্য সমাগ্রী এবং ওষুধ ব্যতিত অন্যান্য সকল মার্কেট তথা বিপণী বিতান বন্ধ থাকবে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায় এ কথা জানান, স্বাস্থ্য বিধি মেনে ১০ মে থেকে মার্কেটগুলো খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু মার্কেট খোলার পর স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এবং নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত না করেই কেনা-বেঁচা চলছিল। মার্কেট খোলা রাখার জন্য যে সকল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, তা মানা যাচ্ছে না বলে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দও জেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। এতে করোনাভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তাই ক্রেতা দোকান মালিক কর্মচারী তথা জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জে আজও মার্কেটে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ভয় উপক্ষো করে সব বয়সী নারী-পুরুষ ঈদের কেনাকাটার বেরিয়ে পরায় মার্কেটগুলোতে ব্যাপক ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত না করেই চলছে কেনাকাটা।
গতকাল সোমবার (১১ মে) দুপুর ২টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের মার্কেট এলাকায় মানুষের এমন উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ে। খুবই ভয়াবহ অবস্থা কোন নিয়ম নীতির বালাই নাই। যেন চাঁদ রাত! সরকারিভাবে কেনাকাটার পরিসরকে সীমিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও কোনো মার্কেটেই ক্রেতা বা বিক্রেতারা তা মানছেন না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পোশাক, জুতা-স্যান্ডেলের দোকানে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষগুলো শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখছে না। পছন্দের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল ও কসমেটিকস্সহ অন্য সামগ্রী কেনার জন্য ক্রেতাদের একেবারে গা ঘেঁষাঘেঁষি এমনকি ঠেলাঠেলিও করতে দেখা গেছে। দেখে মনে হয় দোকানদার ক্রেতা কেউ যানেন না দেশের বর্তমান পরিস্থিতি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাজধানী ঢাকায়ও অনেক বড় বড় শপিংমল ও মার্কেট মালিক ও ব্যবসায়ীদের ইচ্ছায় বন্ধ রয়েছে। আবার আড়ং বড় বড় শো-রুমগুলোতে নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করতে পারছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১০ জন ক্রেতা ভেতরে প্রবেশ করছে। আবার ১০ জন বের হলেই, নতুন ভাবে ১০ ক্রেতা প্রবেশ করতে পারছে। কিন্তু মুন্সীগঞ্জে এটি সম্ভব হচ্ছে না। তাই ব্যবসায়ী সমিতির এক নেতা জানান, এভাবে বিপনী বিতান খোলা রেখেতো মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিতে পারি না।
মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আরিফুর রহমান বলেন, আমরা ব্যবসায়ী সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বসেছিলাম। সকলেই একমত, এভাবে মার্কেট খোলা রাখা যায় না। তাই সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে সকল মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল। পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাই সকল মার্কেট বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, আমাদের এই সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনেকেও অবহিত করেছি।
জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের ইচ্ছানুযায়ী জনস্বার্থে মাননীয় সংসদসসহ সংশ্লিষ্ট কমিটির সম্মানিত সদস্যদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সার্বিক বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।
আগের মতই জরুরি খাদ্য সমাগ্রীর দোকান দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং ওষুধের দোকান সার্বক্ষনিক খোলা থাকবে।
বিষয়টি মুন্সীগঞ্জ ও মিরকাদিম পৌর মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা শহর, মিরকাদিম পৌরসভা ও সিপাহিপাড়া ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন..