মামুনুলের সমকামিতার তদন্তে পুলিশ

0
31
‘তেহেরিক-ই-লাব্বায়িক’ এর মতো জঙ্গি সংগঠন করতে চেয়েছিলেন মামুনুল

প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ইং।। ১০ই বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ(গ্রীস্মকাল)।১০ রমজান ১৪৪২ হিজরী

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : বিতর্কিত ধর্মীয় নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগের তদন্তে নেমেছে পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তারা মামুনুল হকের বিষয়ে ছায়া তদন্ত করে আসছিলেন। মাদ্রাসায় পড়া ও শিক্ষকতা করার সময় মামুনুলের বিরুদ্ধে কয়েকটি সমকামিতার অভিযোগও পাওয়া গেছে। সেগুলো বর্তমানে তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া মাদ্রাসা পরিচালনা নিয়ে আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়েও মামুনুলের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

জানা গেছে, সমকামিতার অভিযোগে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন মামুনুল হক। ১৯৯৪ সালে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় মিশকাত/ফজিলত জামাতে শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় একজন শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। পরে ওই সমকামিতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণিত হলে মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম (ভাইস প্রিন্সিপাল) মুফতি মানসুরুল হক মাদ্রাসা থেকে মামুনুলকে বহিষ্কার করেন।

এছাড়া ১৯৯৯ সালে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়ার সময়েও মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার জামিয়া নিজামিয়া বেতুয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক থাকা অবস্থায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নুরুল আলম নামে এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে সমকামিতার অভিযোগ ওঠে। পরে এই অভিযোগের সত্যতা মিললে মামুনুল হককে মাদ্রাসার মুহতামিম (অধ্যক্ষ) মাওলানা মাহমুদুল আলম শিক্ষক পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করেন।

এদিকে বিভিন্ন মামলায় মামুনুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে আছেন। রিমান্ডে তাকে মামলা সংশ্লিষ্ট প্রশ্ন করা হলেও ঘুরে ফিরে আসছে ২৬ মার্চসহ বেশ কয়েকটি নাশকতার ঘটনার প্রসঙ্গ। এছাড়া সমকামিতা ও দুর্নীতির বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাকে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানান, মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের একাধিক ইউনিট তাকে বিভিন্ন মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে। রিমান্ডে আনার পর মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাকে আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এদিকে মামুনুল হকসহ হেফাজতের ইসলামের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কওমি মাদরাসা পরিচালনায় ব্যাপক অনিয়ম পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি তদন্ত দল। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফতে মজলিশের বেশ কিছু নেতা রয়েছেন, যারা নিজেদের মধ্যে মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

সূত্র জানায়, মামুনুলসহ হেফাজতের নেতারা এভাবে যাত্রাবাড়ী, বারিধারা, লালবাগের বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা পরিচালনা করছে। এসব মাদ্রাসার আয়-ব্যয় হিসেবে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য থেকে মাদ্রাসায় যেসব অনুদান এসেছে, সেগুলোর বিস্তারিত তথ্যাদিও নেই। পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলো অবৈধভাবে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ নিয়ে বছরের পর বছর বিল পরিশোধ না করেই পরিচালনা করা হচ্ছে। সূত্র: দৈনিক জাগরণ

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..        

‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের  পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন।     

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন