প্রকাশিত:মঙ্গলবার,৯ জুলাই ২০১৯ ইং ||২৫ আষাঢ় ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:অনলাইন ডেস্ক: মন্ত্রী পরিষদের আকার বড় হচ্ছে। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেক্ষেত্রে চলতি সপ্তাহে বা আগামী সপ্তাহে নতুন আরো পাঁচ মুখ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
নতুনদের মোট সংখ্যা কত হবে, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সংখ্যা কত হবে, এবং কারা মন্ত্রিত্ব পাবেন সে বিষয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেও এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। কেউ বলছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো কয়েকজন নবীনদের সুযোগ দেবেন, অন্যদের মতে বঞ্চিত ও পুরনোদের কারো কারো জায়গা হতে পারে। আবার কেউ বলছেন জোট শরিকদের টানা হতে পারে।
তবে সূত্র মতে, নতুন পুরনোর মিশেল থাকবে নতুন করে যারা যুক্ত হতে যাচ্ছেন। সংসদ সদস্য নন এমন অন্তত দুইজন টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন।
যে নামগুলো বেশি আলোচিত তারা হলেন—বাগেরহাট-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সুবর্ণা মুস্তফা এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
আলোচনায় আরো আছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য অরোমা দত্ত, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর, শরিয়তপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য নাঈম রাজ্জাক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের মাশরাফি বিন মর্তুজা।
তবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জেটের শরিক দলগুলো, বিশেষ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও সাম্যবাদী দল থেকে এবারও কারো মন্ত্রী পরিষদে জায়গা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। সংসদে শক্ত বিরোধী দল রাখতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন কৌশল নিয়েছেন। তাছাড়া জোটের শরিকদের মন্ত্রী পরিষদে আনলে এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে ক্ষোভ বা হতাশা সৃষ্টি হতে পারে বলেই প্রধানমন্ত্রীর এ সিদ্ধান্ত বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীর পদ শূন্য রয়েছে—মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও পশু সম্পদ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর পদ খালি রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্ত্রী পরিষদ সম্প্রসারণের বিষয়ে সম্ভাব্য কয়েকজন ছাড়াও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার করার চেষ্টা করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তবে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনাকালে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একই কথা বলেছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এরকম আরো বেশ কয়েকটি মন্ত্রণায়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর পদ খালি পড়ে আছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার এটি, তিনি নতুন কাকে কোথায় নেবেন।
সুত্র :সংগৃহীত