প্রকাশিত: শুক্রবার ১১ এপ্রিল, ২০২৫খ্রিষ্টাব্দ।। ২৮শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (বসন্ত কাল)।। ১২ শাওয়াল ১৪৪৬ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম পরিবর্তন করে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিসমূহের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।
এই পরিবর্তনে সরকারের দিক থেকে কোনো চাপ ছিলো না বলে মন্তব্য করেন চারুকলা অনুষদের ডিন। নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, নববর্ষের ঐক্যতান ফ্যাসিবাদের অবসানই যখন প্রতিপাদ্য তখন শোভাযাত্রায় তেমন প্রতিকৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই তো ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিকৃতি, মুগ্ধর পানির বোতল, পালকি শান্তির পায়রা কিংবা ফিলিস্তিনিতে হামলার প্রতিবাদে তরমুজের প্রতিকৃতি জায়গা পাবে শোভাযাত্রা যাত্রায়।
নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হলেও এবার শোভাযাত্রার সম্মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকছে না। এবারের শোভাযাত্রায় ২৮ জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অংশ নেবে।
এই পরিবর্তনে সরকারের দিক থেকে কোনো চাপ ছিলো না বলে মন্তব্য করেন চারুকলা অনুষদের ডিন। নিরাপত্তায় কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, নববর্ষের ঐক্যতান ফ্যাসিবাদের অবসানই যখন প্রতিপাদ্য তখন শোভাযাত্রায় তেমন প্রতিকৃতি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই তো ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিকৃতি, মুগ্ধর পানির বোতল, পালকি, শান্তির পায়রা, ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদ, তরমুজের প্রতিকৃতি জায়গা পাবে শোভাযাত্রায়।
নিরাপত্তায় বিশেষ জোর দেওয়া হলেও এবার শোভাযাত্রার সম্মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকছে না। এবারের শোভাযাত্রায় ২৮ জাতিগোষ্ঠীর মানুষ অংশ নেবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ২৮ জাতিগোষ্ঠী এই শোভাযাত্রায় অংশ নিচ্ছে। শোভাযাত্রায় অংশ নেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০০ শিক্ষার্থী
ঢাবির প্রক্টর জানান, শোভাযাত্রায় আটটি সুসজ্জিত ঘোড়া থাকবে। সাধারণ মানুষও অংশ নেবেন। রুট হবে চারুকলা থেকে শাহবাগ ঘুরে রাজু হয়ে শহীদ মিনার ও দোয়াল চত্বর হয়ে চারুকলায় এসে শেষ করবো। নিরাপত্তার জন্য তিনটি রাস্তা বন্ধ থাকবে।
তিনি বলেন, মঙ্গল শব্দতে সমাজে ব্যাড ফিলিংস কাজ করেছে।
শোভাযাত্রার সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা থাকবে না জানিয়ে বলা হয়, এদিন মেট্রোর শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশন দুপুর ১২ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিকেল পাঁচটার পর থেকে বন্ধ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ট্রি গেট।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, নাম পরিবর্তন নয়, পুরনো নামে ফিরে যাচ্ছি। এটি নিবর্তনমূলক স্বৈরাচারী ব্যবস্থার অবস্থান। কিছু মোটিফ সেই কাজটিই করছে যা প্রতিবাদী আখ্যানের প্রতিফলন।
এর আগে ২৩ মার্চ সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদল হতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
তিনি বলেছিলেন, নববর্ষ উদযাপনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নাম বদল হতে পারে।
দেশের মানুষের অন্যতম প্রধান উৎসব আর চার দশক ধরে পহেলা বৈশাখের অবিচ্ছেদ্য অংশই বলা যায় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সঙ্গী করে সব বর্ণ আর ধর্মের মানুষকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে শুরু হয় এই শোভাযাত্রা। শুরুটা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে, নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। ১৯৯০ সাল থেকে পরিচিতি পায় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে। সেই নামে আবার পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছে সরকার।
বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পর জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর– আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন– বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor
email – bikrampurkhobor@gmail.com