বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

0
0
বিখ্যাত ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(হেমন্তকাল)।।১৫ জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : লৌহজং প্রতিনিধি : শ্রীনগর প্রতিনিধি : অনলাইন ডেস্ক : ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মীর মশাররফ হোসেন। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী হিসেবে বিবেচিত। কারবালার যু*দ্ধকে উপজীব্য করে লেখা ‘বিষাদ সিন্ধু’ তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় সাহিত্যকর্ম। নিঃসন্দেহে এটি অসাধারন একটি মহাকাব্য। তবে অনেকেই মহাকাব্য আর ইতিহাসকে মিলিয়ে ফেলেন। “শিয়া” সম্প্রদায়ের বাংলা ভাষাভাষী মানুষেরা এটাকে ধর্মগ্রন্থের মতই বিবেচনা করে থাকেন। এতে অবশ্য সাহিত্যের কিছু আসে যায়না। মীর মশাররফ হোসেনের লেখা “বিষাদ সিন্ধু” অমর মহাকাব্য হিসেবেই বাংলা ভাষায় বিবেচিত হবে। তাঁর অন্য নাটক ও প্রহসনও জনপ্রিয়। “থিয়েটার” এর একাংশ তাঁর “জমিদার দর্পণ” মঞ্চায়ন করতো বেইলী রোডের মিলনায়তনে। যা এক কথায় অসাধারন। মীর মোশাররফ হোসেন, কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার চাঁপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামে ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার পদমদি গ্রামে।

নিজগৃহে মুন্সির নিকট আরবি ও ফারসি শেখার মাধ্যমে মশাররফ হোসেনের লেখাপড়ার হাতেখড়ি হয়। পরে পাঠশালায় গিয়ে তিনি বাংলা ভাষা শেখেন। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয় কুষ্টিয়া স্কুলে।
কর্মজীবনের শুরুতে মশাররফ হোসেন পিতার জমিদারি দেখাশুনা করেন। পরে তিনি ফরিদপুর নবাব এস্টেটে চাকরি নেন এবং ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে দেলদুয়ার এস্টেটের ম্যানেজার হন।
মশাররফ হোসেন ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন। এখানেই তার সাহিত্যজীবনের শুরু। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। পরে তার দ্বিতীয়া স্ত্রী বিবি কুলসুমও এক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখেন। মশাররফ আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। মীর মোশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের অন্যতম প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
মশাররফ হোসেন গতিশীল গদ্য রচনায় সিদ্ধহস্ত ছিলেন। নাটক ও আত্মজৈবনিক উপন্যাসগুলিতে তিনি সমকালীন সমাজের অসঙ্গতি ও সমস্যার ওপর তীক্ষ্ণ কটাক্ষপাত করেন। তিনি সাম্প্রদায়িক মনোভাব থেকে মুক্ত ছিলেন।
১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মীর মশাররফ হোসেন প্রয়াত হন। গভীর শ্রদ্ধা তাঁর স্মৃতির প্রতি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..           

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

email – bikrampurkhobor@gmail.com

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন