বিক্রমপুরে ওলা ওঠার রোগের ইতিহাস

0
159
বিক্রমপুরে ওলা ওঠার রোগের ইতিহাস

প্রকাশিত :শুক্রবার,২৬ জুন ২০২০ইং ।।১২ই আষাঢ় ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : শেখ রাসেল ফখরুদ্দীন, টঙ্গিবাড়ি : শত বছর পূর্বে বিক্রমপুরে ‘বসন্ত’ রোগ ও কলেরা রোগকে বলা হতো ওলা ওঠা । আর এই ‘ওলা ওঠা’ নাম কানে গেলেই মানুষের পিলে চমকে যেত। তখনকার দিনে এই ওলা ওঠা রোগে হাজার হাজার মানুষ মারা যেত। গ্রামের পর গ্রাম বাড়ির পর বাড়ি জনশূন্য হয়ে যেত ‘গুটিবসন্ত’, কলেরা বা ওলা ওঠা রোগে। ততৎকালীন সময়ে এই মহামারী রোগ ই বিক্রমপুরে ওলা ওঠা রোগ বলা হত।

ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়, বিক্রমপুরে এক সময় এই ওলা ওঠা রোগে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যু বরণ করেছিলেন। ১৯১৫ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৯১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯১৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিক্রমপুরের সিরাজদিখান ও শ্রীনগরেই প্রায় ১৬১৫ জন মানুষ ওলা ওঠা রোগে মারা গেছে।

বিক্রমপুরের অন্যান্য এলাকার মৃত্যুহার এই রির্পোট দেখেই অনুমান করা যায়। ১৯১৫ সালে এই রিপোর্টটি প্রকাশিত করেন বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান যোগেন্দ্রনাথ গুপ্ত। ওলা ওঠা রোগীদের সেবা সুস্থতায় ততৎকালীন সময়ে বিক্রমপুরের কতিপয় সন্তানেরা এগিয়ে এসেছিলেন। তাদের মধ্যে কর্মবীর শৈলেনচন্দ্র, উমেশচন্দ্র, উমাচরন, কামিনীকুমার, দূর্গামোহন, কাম্যাখাচরন, জ্ঞানচন্দ্র ও অম্বিকাচরন প্রমূখ প্রাণপণে ওঠা ওঠা রোগীদের সেবায় নিযুক্ত হন।

তাঁরা ওলা ওঠা বাড়ি বা গ্রামগুলোতে প্রতিনিয়ত ডাক্টার পাঠাতেন এবং নিজেরা খোঁজখবর নিতেন। তাঁরা ওয়াদাবদ্ধ হন যে বিনা চিকিৎসায় কাউকে মরতে দিবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..

‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com

আমাদের পেইজ লাইক দিন শেয়ার করুন

https://www.facebook.com/BikrampurKhobor

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন