প্রচ্ছদ বিক্রমপুরের আলোকিত মানুষ বিক্রমপুরের কৃতী সন্তান আলাউদ্দীন আলীর আজ জন্মদিন; বিশেষ আয়োজন

বিক্রমপুরের কৃতী সন্তান আলাউদ্দীন আলীর আজ জন্মদিন; বিশেষ আয়োজন

0
31
বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান আলাউদ্দীন আলীর আজ জন্মদিন; বিশেষ আয়োজন

প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৪ডিসেম্বর ২০২০ইং।। ৯ই পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ(শীতকাল)।। ৮ই জমাদিউল-আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।

বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক : আজ উপমহাদেশের প্রখ্যাত সুর স্রষ্টা আলাউদ্দীন আলী’র জন্মদিন। কিংবদন্তী এই সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব গত ৯ আগস্ট ইন্তেকাল করেন। তার এবারের জন্মদিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এটিএন বাংলা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান আলাউদ্দীন আলীর জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন

আজ রাত ১১ টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত আলাউদ্দীন আলী স্মরণে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন আলম আরা মিনু, মিমি আলাউদ্দীন ও মুহিন খান। অনুষ্ঠানে আলাউদ্দীন আলী’র লেখা ও সুর করা জনপ্রিয় গানগুলো শিল্পীরা পরিবেশন করবেন। একক গান গাওয়ার পাশাপাশি দ্বৈত গানও পরিবেশন করা হবে। আলম আরা মিনু বলেন, ‘ছোটবেলায় যে গানগুলো যেমন পারিনা ভুলে যেতে, যে ছিলো দৃষ্টির সীমানায়, আবার কখন কবে দেখা হবে, দু:খ ছাড়া হয়না মানুষ, ও আমার বাংলা মা তোর, আমায় গেঁথে দাওনা মাগো-ও মতো আরো অনেক গান যখন আমার মনের মধ্যে গেঁথে যায়, তখন এসব গান গাইতে ভালো লাগতো। পরে জেনেছি এসব গান আলী ভাইয়ের সুর করা। আলী ভাই গান লেখার ক্ষেত্রে যেমন ভীষণ চুজি ছিলেন, তেমনি সুর সৃষ্টিতে ছিলেন ভার্সেটাইল। আমার সৌভাগ্য যে তার সুরে সিনেমায় গাইতে পেরেছি। সর্বশেষ ওগো ভুলতে গিয়ে তোমায় গানটিও গাইতে পেরেছি। তার জন্মদিনে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’ মিমি আলাউদ্দিন বলেন, ‘গত বছর তার জন্মদিনে তিনি, আমি এবং আমাদের মেয়ে রাজকন্যা ব্যাংককে ছিলাম। সেখানেই আমরা কোনরকম জন্মদিনের আয়োজন করেছিলাম। অনেক গুনীজন ফোন করেছিলেন। তাদের প্রতি আজও কৃতজ্ঞতা আমাদের। গান নিয়ে তার আরো অনেক স্বপ্ন ছিলো। আরো কিছু গান লিখে গেছেন, সুর করে গেছেন। ইনশাআল্লাহ আমি তার স্বপ্নগুলো পূরণ করবো। মানুষের মাঝে চিরদিন যেন তিনি বেঁচে থাকেন এই দোয়াই চাই সকলের কাছে। আজকের এই আয়োজনের জন্য এটিএন বাংলার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’ মুহিন খান বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো আলী স্যারের সুরে সিনেমায় গান গাওয়ার। নতুনদের তিনি ভালোবাসতেন, সুযোগ করে দিতেন। তিনি আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তিনি আছেন আমাদের শ্রদ্ধা, ভালোবাসায় আর গানে গানে।’

উল্লেখ্য যে বিক্রমপুরের কৃতী সন্তান আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জাবেদ আলী ও মাতা জোহরা খাতুন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন। ১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজ সহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।

বাংলাদেশের গানের ভাণ্ডারে বা সাগরে যে মানুষ ডুব দিয়েছেন তিনি ছাড়া বাকিরা বুঝতেই পারবে না- আমাদের গানে কত হীরা, মুক্তো, মানিক মিশে আছে। যে সাগরে ডুব দিলে কত যে অসাধারণ মানুষের খোঁজ পাবেন তা বলে বুঝাতে পারবো না।

এ সাগরের ডুবুরিদের যে কজন মহান স্রষ্টা আকর্ষণ করবে তাঁদের মধ্যে আলাউদ্দিন আলী থাকবেনই, যিনি আমাদের কাছে ‘সুরের যাদুকর’ হিসেবে পরিচিত। যার সুর করা বহু গান আমাদের গানের ভাণ্ডারের এক-একটি মহামূল্যবান রত্ন হিসেবে আছে। শুধু গান সুর করেই নয়, তিনি গান লিখেও পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ও আমার বাংলা মা তোর দেশাত্মবোধক গানটির সুর করে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।১৯৭৫ সনে ‘সন্ধিক্ষণ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের গানে সঙ্গীত পরিচালনায় আসেন। এরপর এক বছর কোন ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেননি।

১৯৭৭ সালে পরিচালক দারাশিকো’র ‘ফকির মজনু শাহ’ ও আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পান। ছবি দুটোর গান এমনই হিট হয় যে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি অসাধারণ এই সুরস্রষ্ঠার। আলাউদ্দিন আলীর সুর করা আছেন আমার মোক্তারহায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ (গোলাপী এখন ট্রেনে), চোখের নজর এমনি কইরা, সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমে (ফকির মজনু শাহ) গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে।

এরপর আলাউদ্দিন আলী একের পর এক কালজয়ী গান উপহার দিতে থাকেন। যার সূত্র ধরে ১৯৭৭/৭৮ সালে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানের জন্য গীতিকার মনিরুজ্জামানের মনিরের লেখা ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি তৈরি করেন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খুব পছন্দ করেন এবং সেই থেকে গানটি জিয়াউর রহমান তার দলের থিম সং হিসেবে ব্যবহার করেন। যা ধীরে ধীরে মানুষের কাছে শহীদ জিয়া/বিএনপির গান হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়।

অসাধারণ গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরকে ইন্ডাস্ট্রিতে আলাউদ্দিন আলী নিয়ে আসেন। আলাউদ্দিন আলীর ভাতিজা আবু তাহের একদিন ইন্দিরা রোডের ‘ঢাকা রেকর্ড’-এর স্টুডিওতে নিয়ে আসেন সেখান থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের ঢাকায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া ও থাকা খাওয়ার সব দায়িত্ব আলাউদ্দিন আলী নিজের কাঁধে তুলে নেন। তার সাহচর্যে মনির তেজগাঁও কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ডিগ্রি পাস করেন। পরবর্তীকালে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি লেখার সুবাদেই তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে একটা ভালো পোস্টে চাকরি পেয়ে যান। মনিরুজ্জামান মনির এভাবে প্রতিষ্ঠা পান।

সৈয়দ আব্দুল হাদির কণ্ঠের ‘সুন্দরী’ ছবির ‘কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিলো না’ ছিল মূলত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র জন্য তৈরি। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র সাবিনা ইয়সামিনের গানটি পরবর্তীতে ‘সুন্দরী’ ছবিতে সৈয়দ আব্দুল হাদির কণ্ঠে নতুনভাবে করেন, ছবিতে যার লিপে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আবার ‘কসাই’ ছবির জন্য তৈরি করেন ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়ি গেলাম’ গানটি, সাবিনা ইয়াসমিন কণ্ঠ দেন। ছবি মুক্তির পর গানটি চরম হিট হয়, পরবর্তীতে কলকাতার এইচএমভি থেকে রুনা লায়লার অ্যালবাম করার সময় গানটি নতুন করে রুনা লায়লাকে দিয়ে রেকর্ড করান। গানটি রুনাকে আবারও সুপারহিট করে দেয়, যার ফলে সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গানটি পেছনে পড়ে যায় আর ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়ি গেলাম’ হয়ে যায় রুনা লায়লার চিরস্মরণীয় ও সুপারহিট গানগুলোর একটি।

কিশোরী সামিনা চৌধুরীর প্লেব্যাকে আনেন আলাউদ্দিন আলী। আমজাদ হোসেন কালজয়ী ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ছবিতে। পরিচালকের অনুমতি নিয়ে সামিনা চৌধুরীকে দিয়ে প্রথমে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ গানটি করান যা ববিতার লিপে ছিল। এ গানটি ববিতার কণ্ঠে মানিয়ে যাওয়ার ফলে আবারও আমজাদ হোসেনের অনুমতি নিয়ে ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’ গানটি রেকর্ড করান আলাউদ্দিন আলী, যা ছবি মুক্তির পর সুপারহিট। অথচ সামিনা তখন ক্লাস সেভেন-এইটে পড়তেন। পরিচালক আমজাদ হোসেনের ছিল আলাউদ্দিন আলীর ওপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস, তাই কোন গান কোন শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াবেন তা নিয়ে কখনও হস্তক্ষেপ করতেন না। দেখা যেতো আমজাদ হোসেন যেমনটা চেয়েছিলেন ঠিক তেমনই কিছু করে ফেলেছেন আলাউদ্দিন আলী।

তার সৃষ্টিগুলোর অন্যতম মিতালি মুখার্জীর কণ্ঠের ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নেই’ গানটি আমজাদ হোসেন তাঁর ‘দুই পয়সা আলতা’ ছবিতে ব্যবহার করে দর্শকদের মনে চিরদিনের জন্য গেঁথে দিয়েছেন। গানটি নিয়ে আছে মজার ইতিহাস আছে। ৮১ বা ৮২ সাল। তখন মিতালী মুখার্জী ঢাকায় আসেন। তাঁকে নিয়ে বিটিভিতে অনুষ্ঠান করার জন্য প্রযোজক মুসা আহম্মেদ আলাউদ্দিন আলীকে দায়িত্ব দেন। তখন মিতালী মুখার্জী আলাউদ্দিন আলীকে খুব অনুরোধ করেন যে, “আলী ভাই, আপনার সুর করা ‘কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না’ গানটির মতো সুন্দর একটি মেলোডিয়াস গান করে দেন।” সেই রাতেই রেকর্ডিং শেষে বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে আনুমানিক দেড়টায় হারমোনিয়াম নিয়ে বসেন, তখন হঠাৎ করেই এ রকম একটা থিম মাথায় আসে। আর সঙ্গে সঙ্গেই সুরটাও হয়ে যায়। পরের দিন রেকর্ডিং।

এই গান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের পর জনপ্রিয় হয়। পরিচালক আমজাদ হোসেন একদিন আলাউদিন আলীকে বললেন ‘দুই পয়সার আলতা’ সিনেমায় একটা দৃশ্যের সাথে এই গানটি মিলে যায়, তাই তিনি এটা ব্যবহার করতে চান। সঙ্গে সঙ্গে আলাউদ্দিন আলী রাজি হয়ে যান । এরপরের ইতিহাস তো সবারই জানা। টাইটেল থেকে শুরু করে পুরো ছবিতে ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানটির সুর এসেছে বারবার বহুরূপে, আর ‘দুই পয়সার আলতা’ হয়ে গেল চিরস্মরণীয় একটি ছবি।

১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক/সুরকার হিসেবে সর্বপ্রথম পুরস্কার অর্জন করেন, সর্বমোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করেন, এর মধ্যে একবার গীতিকার হিসেবে (প্রেমিক, ১৯৮৫)। ১৯৭৮, ৭৯ ও ৮০ সালে টানা তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়ে হ্যাট্রিক করেছিলেন যা অন্য কোন সুরকারের রেকর্ডে নেই। আলাউদ্দিন আলী শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ১৯৭৮ (গোলাপী এখন ট্রেনে), ১৯৭৯ (সুন্দরী), ১৯৮০ (কসাই), ১৯৮৮ (যোগাযোগ), ১৯৯০ (লাখে একটা) ও ২০০২ (লাল দরিয়া) সালে পুরস্কার অর্জন করেন।

একসাথে একই দিনে ভিন্ন ভিন্ন দেশের একাধিক দেশে কাজ করেছিলেন আলাউদ্দিন আলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশ, করাচি, লাহোর, কলকাতা, মুম্বাই একসাথে একই দিনে কাজ করেছি। ১৯৮৭ সালের ২৬ জুলাই একদিনের ঘটনা বলি। আমি সেদিন মুম্বাইয়ে রেকর্ড করছি। প্রতি ঘণ্টায় শিল্পীরা আসছেন, কখনো উদিত নারায়ণ, সাধনা সারগাম, বিনোদ রাঠোর, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি একেকজন, এক ঘণ্টা পরপর আসছেন, গান করছেন। আবার কলকাতায় আমার আরেকজন সহকারী স্বপন সেন এবং একই দিনে ফুয়াদ নাসের বাবু ঢাকায় মিউজিক রেকর্ডিং করছে। আমি সেদিন মুম্বাই, কলকাতা এবং ঢাকায় একই দিনে ৩০টা গান রেকর্ড করি। আমি মিউজিক এবং সুর করে একসাথে তিন জায়গায় শিল্পীদের ভয়েজ নেওয়ার ব্যবস্থা করি।”

স্বাধীন বাংলাদেশের এমন কোন কিংবদন্তি শিল্পী নেই যার গলায় আলাউদ্দিন আলীর সুরের গান নেই। শাহনাজ রহমতউল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, সুবীর নন্দী, সৈয়দ আব্দুল হাদি, শাম্মী আখতার, সামিনা চৌধুরী, কনক চাঁপা কে গায়নি আলাউদ্দিন আলীর সুরে গান— বলতে পারবেন? শুধু বাংলাদেশের নয় উপমহাদেশের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী আলাউদ্দিন আলীর সুরের গান গেয়ে হয়েছেন জনপ্রিয়। উপরে তো ভারতীয় কয়েকজন শিল্পী নাম জানলেন। বিখ্যাত ঊষা উথুপের প্লেব্যাক তো শুরু হয়েছিল সুভাষ দত্তের ‘ফুলশয্যা’ ছবিতে আলাউদ্দিন আলীর সুরে, গানটি ছিল সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা। কলকাতার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর ঢাকায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাহেব, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাসুদ করিম, কেজি মোস্তফ, মো. রফিকুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান সাহেবদের গীতিকবিতায় সুর করেছেন সুরের যাদুকর আলাউদ্দিন আলী, যার ফলে আমাদের একের পর এক অসাধারণ সব গান উপহার দিতে পেরেছিলেন।

আলাউদ্দিন আলীর সুর করা উল্লেখযোগ্য গান:

যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়

  • একবার যদি কেউ ভালোবাসতো
  • ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়
  • প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ
  • হয় যদি বদনাম হোক আরো
  • দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়
  • সুখে থাকো, ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি
  • আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার
  • বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না
  • সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ
  • এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়
  • যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে
  • আমায় গেঁথে দাওনা মাগো, একটা পলাশ ফুলের মালা
  • সবাই বলে বয়স বাড়ে, আমি বলি কমে রে
  • কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না
  • শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে
  • জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো
  • পারি না ভুলে যেতে, স্মৃতিরা মালা গেঁথে
  • হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ
  • আমার মনের ভেতর অনেক জ্বালা আগুন হইয়া জ্বলে

তিনি নজরুলসঙ্গীত শিল্পী সালমা সুলতানাকে (মৃত্য ২০১৬) বিয়ে করেন। তাদের মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিন একজন সঙ্গীতশিল্পী। আলাউদ্দিন আলী ফুসফুসের প্রদাহ ও রক্তে সংক্রমণের সমস্যায় ভুগছিলেন দীর্ঘদিন। প্রথমে ২০১৫ সালের ৩ জুলাই তাকে ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায়, তার ফুসফুসে একটি টিউমার রয়েছে। এরপর তার অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ক্যানসারের চিকিৎসাও চলছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮ আগস্ট ২০২০ শনিবার তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়। লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন ৯ আগস্ট রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..            

‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন

error: Content is protected !!