প্রকাশিত : বুধবার,২৯ জুলাই ২০২০ইং ।। ১৪ই শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।
বিক্রমপুর খবর : মোঃ রুবেল ইসলাম তাহমিদ শিমুলিয়া ঘাট থেকে : পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। আর মাত্র বাকি ৩ দিন। এর পরই নারীর টানে গ্রামের বাড়ী ফিরতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছিল। দক্ষিণ বঙ্গের ২৩জেলার প্রবেশ পথ শিমুলিয়া কাঠালবাড়ি নৌ রুট তারি মধ্যে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে দ্বিতীয় বারের মতো ৩ নম্বর ফেরিঘাটের ৫০ গজ অদূরে আকস্মিক পদ্মার ভাঙ্গন তান্ডব শুরু হয়। এতে মুর্হুতেই বিস্তীর্ন এলাকা পদ্মায় বিলীন হয়ে যায়। ঘূর্নায়মান স্রোতের তোড়ে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি ভয়াভহ রূপ ধারণ করলে শিমুলিয়া ৩ নম্বর
ফেরিঘাট বন্ধ করে দেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টার দিকে শিমুলিয়া প্রান্তের এক ও দুই নম্বর ঘাট দিয়ে ৫টি ফেরি দিয়ে নৌরুট সচল রাখা হলেও ভাঙ্গন পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার শঙ্কায় শিমুলিয়া-কাঠাঁলবাড়ী নৌরুটের ফেরি চলাচল মারাত্বক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে গেল বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তা আহমেদ আলী । ওই কর্মকর্তা আরও জানান, আকস্মিক ভাঙ্গনের ফলে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নম্বর ঘাটের পল্টুন ও অ্যাপ্রোচ সড়ক মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাই এখন শিমুলিয়া প্রান্তের এক ও দুই নম্বর ঘাট দিয়ে কোনরকমে ৫টি ফেরি চালু রেখে নৌরুট সচল রাখা হয়েছে। জানা গেছে, পদ্মায় অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির সঙ্গে প্রচন্ড গতিবেগে স্রোত প্রবাহিত হওয়ায় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে রাতের বেলায় বন্ধ রেখে দিনের বেলায় ৫টি ফেরি দিয়ে সীমিত পরিসরে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছিল। পদ্মার মাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় ঈদের আগে চলমান পরিস্থিতি উন্নতি হবে না বলে জানায় বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা। তাই বহরে থাকা ১৬টি ফেরির মধ্যে ৭ থেকে ৮টি ফেরি সচল রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের ভোগান্তির শিকার হওয়ার আশঙ্কাও কথা জানানো হয়েছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার পদ্মার ভাঙ্গন তান্ডবে শিমুলিয়া ঘাটের ৩ নম্বর ঘাট বন্ধ হয়ে পড়ায় রো রো ফেরি চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সচল থাকা ৫টি ফেরির মধ্যে ৪টিই রো রো ফেরি। তাই রো রো ফেরি চলাচল করতে না পারলে মধ্যমসারির দু’একটি ফেরি দিয়ে নৌরুট সচল রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া মাওয়া মেরিন অফিসার আহমেদ আলী ।এদিকে ভাঙ্গন তান্ডবে পদ্মা রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় ঈদের ৩ দিন আগেই চরম বিপাকে পড়েছে দক্ষিনাঞ্চলের ২১ জেলার ঈদ ঘরমুখো হাজার হাজার যাত্রী। নৌরুট পাড়ি দিয়ে নারীর টানে বাড়ী ফেরা অনেকটা অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..