প্রকাশিত: বুধবার ২৪ নভেম্বর ২০২১ইং।।১০ অগ্রাহায়ণ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ১৬ রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরী।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় পশ্চিম ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে পুনরায় পূর্ণ লকডাউন আরোপ করতে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবারের দেশটির সরকার এ ঘোষণা দিয়েছে। অস্ট্রিয়ার জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশকে করোনার সম্পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে, তা পশ্চিম ইউরোপের সর্বনিম্ন হারের মধ্যে একটি।
চ্যান্সেলর আলেকজান্ডার শ্যালেনবার্গ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা যথেষ্ট সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার জন্য রাজি করাতে সফল হইনি। সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হবে।
শ্যালেনবার্গ বলেন, সোমবার থেকে লকডাউন শুরু হবে এবং প্রাথমিকভাবে ১০ দিন স্থায়ী হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে সবার জন্য ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক করা হবে।
লকডাউনে বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকবে এবং আগামী সপ্তাহ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল করা হবে। মানুষ শুধু কিছু নির্দিষ্ট কারণে ঘরের বাইরে বের হতে পারবে। যেমন- মুদিখানা কেনাকাটা, চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বা ব্যায়াম করা।
ওআরএফ-এর মতে, আমরা পঞ্চম তরঙ্গ চাই না। আমরা ষষ্ঠ বা সপ্তম তরঙ্গও চাই না।
সম্পূর্ণ লকডাউন দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। গত বছর মহামারি পর দেশব্যাপী চতুর্থ লকডাউনে যাচ্ছে অস্ট্রিয়া। শুক্রবার দেশটিতে ১৫ হাজার ৮০৯ জনের করোনা শনাক্তের কথা বলা হয়েছে। যা দেশটিতে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত।
এই মাসের শুরুতে, অস্ট্রিয়া নিয়ম চালু করেছিল যে টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং বড় আকারের অনুষ্ঠানে যেতে পারবে না।
সরকারি কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, টিকা দেওয়া ব্যক্তিদের আর লকডাউন বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে হবে না।
কিন্তু, ভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ায় সরকার বলছে, বিধি-নিষেধ সবার জন্য প্রসারিত করা ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মুয়েকস্টাইন বলেন, অস্ট্রিয়ার প্রত্যাশার চেয়ে কম টিকা দেওয়ার হার বর্তমান সংক্রমণের জন্যে দায়ী।
এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১০ দিন পরে লকডাউনের প্রভাব মূল্যায়ন করা হবে। যদি সংক্রমণ যথেষ্ট না কমে, তাহলে এটি ২০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
অস্ট্রিয়ার নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) চিকিৎসকরা সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
সোসাইটি ফর অ্যানাস্থেসিওলজি, রিসাসিটেশন অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিনের সভাপতি ওয়াল্টার হাসিবেডার অস্ট্রিয়ার সংবাদ সংস্থা এপিএকে বলেন, প্রতিদিন রেকর্ড সংক্রমণের পরিসংখ্যান বাড়ছে। শিগগির হয়তো আইসিইউ ইউনিটগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। তাই এখন জাতীয় লকডাউন দরকার।
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি প্রদেশ সালজবার্গ এবং আপার অস্ট্রিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা তাদের নিজস্ব লকডাউন চালু করবে, যা সরকারের ওপর জাতীয়ভাবে একই কাজ করতে চাপ সৃষ্টি করবে।
গত ৭ দিন ধরে দেশটি প্রতিদিন ১০ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট করেছে। অস্ট্রিয়ায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজার ৯৫১ জন মারা গেছেন।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’