প্রকাশিত: বুধবার,২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং ।। ১০ই আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আমরা পর্যটন খাতের জন্য স্বল্প, মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদি কিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস পর্যটনের ক্ষেত্রে কর্মসূচিগুলো স্বার্থক হবে। ইতোমধ্যে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে বুয়েটের প্রতিনিধি দল জরিপ করেছে। তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে। সেখানে পর্যটক বিশেষ করে বিদেশি পর্যটক যাতে আকৃষ্ট করে এবং বিদেশি বড় বড় ক্রুজ শিপগুলো ইকো ট্যুরিজম উপভোগ করতে পারে সেজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা খুব দ্রুত নেব। সে ব্যাপারে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। কক্সবাজারে পর্যটনের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের পথে।
বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এর বাইরেও সারাদেশে একটা মাস্টার প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রায় চূড়ান্ত হওয়ার পথে। সেই মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী সারা বাংলাদেশে যতো দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়ন করব। মাস্টার প্ল্যান এখনও চূড়ান্ত হয়নি, চূড়ান্ত হলেই কাজ শুরু হবে।
বিমান ও পর্যটন সচিব বলেন, বিশ্ব পর্যটন দিবস এবার আমরা একটু ঢাকার বাইরে নিয়ে গেছি। আমরা ৬৪ জেলাতেই কর্মসূচি নিয়েছি। কিন্তু যেখানে পর্যটকেরা যাচ্ছে সেখানকার মানুষদেরকেও সহনশীল আচরণ করতে হবে, তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তারাও সাহায্য-সহযোগিতা চায়।
তিনি বলেন, আমরা পর্যটনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারিনি, কিন্তু এই মুহূর্তে রাখতে চাই। সত্যিকার অর্থে পর্যটন নিয়ে আমাদের কোনো কর্মপরিকল্পনা ছিল না। আমরা এখন পর্যটনে একটা মাস্টার প্ল্যান প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছি। এ মাসের মধ্যে আমরা ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দেব। আমরা অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম তৈরি করে ফেলেছি, আশা করছি ২-৩ মাসের ভেতর এটা বাস্তবায়ন করব। তাহলে আমাদের বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরের মাধ্যমে কতজন দেশি পর্যটক আসছে বা যাচ্ছে তার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান দিতে পারব।
গত বছরের তুলনায় এ বছর পর্যটক দেড় থেকে দুই লাখ বেড়েছে বলেও জানান মহিবুল হক।
পর্যটন দিবসের কর্মসূচি নিয়ে সচিব বলেন, এবার আমরা ৬৪ জেলাতেই কর্মসূচি নিয়েছি। কিন্তু যেখানে পর্যটকেরা যাচ্ছেন সেখানকার মানুষদেরকেও সহনশীল আচরণ করতে হবে, তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। তারাও সাহায্য-সহযোগিতা চায়।
মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম চালু করা হচ্ছে জানিয়ে সচিব বলেন, আশা করছি ২-৩ মাসের ভেতর এটা বাস্তবায়ন করবো। তাহলে বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরের মাধ্যমে কতজন দেশি পর্যটক আসছেন বা যাচ্ছেন তার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান দিতে পারবো। আর গতবছরের তুলনায় এবছর পর্যটক আসার সংখ্যা বেড়েছে দেড় থেকে দুই লাখ।
সচিব আরো জানান, বেসরকারি ট্যুর অপারেটরদের জন্য কোনো আইন এবং ট্যুর গাইডদের জন্য কোনো নীতিমালা নেই, আমরা এগুলো তৈরি করেছি। আশা করছি নভেম্বরের ভেতরে গেজেট নোটিফিকেশন হয়ে যাবে।