‘পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে দেশে দারিদ্র্যের হার ৫ ভাগে নেমে যাবে’

0
21
‘পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে দেশে দারিদ্র্যের হার ৫ ভাগে নেমে যাবে’

প্রকাশিত: শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ৪ঠা পৌষ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)। ৩রা জমাদিউল-আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে দেশে দারিদ্র্যের হার ৫ ভাগে নেমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে ৫০০ আসন বিশিষ্ট নূর ই আলম চৌধুরী অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু সম্পন্ন হলে অর্থনীতির বড় একটি পরিবর্তন হবে। অর্থনীতিবিদরা হিসাব করে বলেছেন এক পার্সেন্টের বেশি জিডিপি আমাদের বেড়ে যাবে। অর্থাৎ এক পার্সেন্ট জিডিপি যদি বাড়ে তাহলে আমাদের আজকের দারিদ্রতার হিসেবে করা হয় যে ২০ পার্সেন্ট। আমরা আশাকরি তখন দারিদ্রতার হার ৫ পার্সেন্ট কমে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১০০ ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হবে। এদেশ কৃষিতে সমৃদ্ধ। কিন্তু এদেশের জনসংখ্যা প্রচুর। এতো মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রচুর শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে হবে। পদ্মা সেতুকে ঘিরে সারা দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। অসংখ্য শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। শিগগিরই চট্টগ্রামে বিশাল এক অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে যেখানে ৩০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এরমধ্য দিয়ে দেশে ১ শতাংশ জিডিবি বেড়ে যাবে। ফলে দেশে দারিদ্রতার হার কমে আসবে।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ছিল সকল মানুষকে নিয়ে ভালো থাকা। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ফলশ্রুতিতে সারাদেশে উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে এদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী লিটন এমপি।

মন্ত্রী শিবচরের দত্তপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে, মুজিব বাহিনীর কোষাধ্যক্ষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর (দাদা ভাই) কবর জিয়ারত করেন।

শিবচর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মেজবাউদ্দিন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান শিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..                  

 ‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন