প্রকাশিত: সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ইং ।। ২৯শে অগ্রাহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)। ২৮শে রবিউস-সানি,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : লৌহজং সংবাদদাতা : দীর্ঘ ৩ বছর ৯ মাস পদ্মা সেতুতে কাজ শেষে চীনে ফিরে গেলো বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার ভাসমান ক্রেন তিয়ান ই। পদ্মা সেতুর স্প্যান বসাতে বিশেষ এই ক্রেনটি আনা হয়েছিলো চীন থেকে। গত ১০ ডিসেম্বর ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পুরো দৃশ্যমান হয় ৬.১৫ কিলোমিটারের পদ্মা সেতু।
ভাসমান ক্রেনটি এতোদিন মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যানগুলো বহন করে পদ্মানদীতে অবস্থিত পিলারগুলোর ওপর স্থাপন করেছে। গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর সবশেষ স্প্যানটিও বসিয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। যার ধারণ ক্ষমতা ৪ হাজার টন।
আর এর কর্মদক্ষতার কারণে স্প্যান বসাতে বেগ পেতে হয়নি দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের। এ ভাসমান ক্রেনটি চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছিলো। এখন যেহেতু সবগুলো স্প্যান বসানো হয়ে গেছে, তাই যে পথে এসেছিলো, সে পথেই রওনা হয়েছে তিয়ান-ই।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ভাসমান ক্রেনটি চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে এটি ফিরবে গন্তব্যে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুলল কাদের বিষয়টি জানান, চীনে তৈরি ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার বিশেষ ধরনের এই ভাসমান ক্রেনটির দাম আড়াই হাজার কোটি টাকা। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে ক্রেনটি পদ্মা সেতু প্রকল্পে আনা হয়। সে বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম স্প্যান থেকে চলতি বছরের গত ১০ ডিসেম্বর সেতুর ৪২টি পিয়ারে ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ করে ক্রেনটি। এটি ব্যবহারে প্রতিমাসে খরচ পড়েছে ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ পদ্মা সেতু প্রকল্পে ক্রেনটি ব্যবহারে গত ৪৫ মাসে খরচ হয়েছে সাড়ে ১৩ কোটি টাকা।
তিনি আরো জানান, রোববার সকালে ক্রেনটি চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশে যাওয়ার জন্য মাওয়া থেকে বিদায় নিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে থেকে সেটি হংকং হয়ে চীনে পাড়ি জমাবে। মাওয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ক্রেনটির যাত্রা নিরাপত্তায় থাকবে পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। সেখান থেকে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স শেষে বড় মাদার ভেসেলে সেটি হংকংয়ের উদ্দেশে রওনা হবে। এটি চীন পৌঁছাতে এক মাসেরও অধিক সময় লাগবে।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’