প্রকাশিত:মঙ্গলবার,২২ জানুয়ারি ২০১৯।
বিক্রমপুর খবর:: নিজস্ব প্রতিনিধি:মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে জাজিরা নেওয়া হচ্ছে ষষ্ঠ স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) ৬এফ । আজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে জাজিরার উদ্দেশে রওনা হয়েছে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ক্রেন‘তিয়ান ই’। পদ্মাসেতুর পিলারের নকশা নিয়ে আর কোনো জটিলতা নেই,তাই কাজ চলছে পুরোদমে।এটি জাজিরা প্রান্তে সেতুর ষষ্ঠ স্প্যান। পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর এ খবর নিশ্চিত করেছেন। সেতু সংশ্লিষ্টরা বলছেন,সব ঠিকমতো হলে আগামীকাল বুধবার স্প্যানটি বসানো হবে।তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ প্রকল্পে কর্মরত এক প্রকৌশলী জানান, স্প্যানটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে পেইন্টিং শেষে বসানোর উপযোগী হয়। নির্দিষ্ট করে বলা মুশকিল, স্প্যানটি জাজিরা নিতে কতো সময় লাগবে। স্প্যানটি জাজিরায় পৌঁছাতে সময় প্রয়োজন পড়ে এক থেকে দুইদিন। জাজিরায় পৌঁছানোর পর দুই-একদিনের মধ্যে ষষ্ঠ স্প্যানটি ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কাজ শুরু হবে।
তিনি বলেন,‘সকালে তিয়ান-ই ক্রেনে করে জাজিরা প্রান্তে রওনা দিয়ে এখন স্প্যানটি পিলার ১৬ এর কাছে পৌঁছেছে। জাজিরা প্রান্তে পৌঁছার পর ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারের ওপর ধূসর রঙের স্প্যানটি বসানো হবে।
তিনি আরও বলেন,‘আমাদের লক্ষ্য আগামী তিন দিনের মধ্যে স্প্যান বসানোর কাজটি সম্পূর্ণ করা।পিলারের কাছে পৌঁছানোর পরই স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হবে।’প্রকৌশলী আরও জানান,‘জাজিরা প্রান্তের ৩৩ নম্বর পিলার পর্যন্ত আমরা ধারাবাহিকভাবে স্প্যান বসিয়ে যাবো।’
দায়িত্বশীল এক প্রকৌশলী জানান,মাঝেরচর নামের বিশাল চর কেটে সেতুর জন্য যে চ্যানেল করা হয়েছিল,তার প্রায় পুরোটাতে ব্যাপকভাবে পলি জমেছিল।একরকম নতুন করে চ্যানেল কাটার মতোই আবার ড্রেজিং করতে হয়েছে।অব্যাহত ড্রেজিংয়েও চ্যানেলটিতে নাব্যতা ফিরে না আশার কারণে মধ্য জানুয়ারিতে যে ৬ এফ নম্বর স্প্যান স্থাপনের কথা ছিল,তা সম্ভব হয়নি। এখন নাব্য ফিরিয়ে আনা হয়েছে।তাই ৬ষ্ঠ স্প্যান বসানো শুরু হয়েছে।ফেব্রুয়ারিতে আরো স্প্যান বসানো হবে।
মোট পিলার ৪২টি, এর মধ্যে ১৬টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।১৫টি পিলারের কাজ চলছে। মোট ২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টি পাইলের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ। এছাড়া ১৭টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে।প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ১৮টি স্প্যান।
উল্লেখ্য,৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা।কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।সেতুর ৩৭,৩৮,৩৯,৪০,৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর ৫টি স্প্যান বসানোর মাধ্যমে জাজিরা প্রান্তে পৌনে ১ কিলোমিটার কাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। এছাড়া মাওয়া প্রান্তের ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার)‘ওয়ান এফ’ আপাতত সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর রাখা হয়েছে।
জাজিরা প্রান্তে ষষ্ঠ স্প্যান বসানোর পর দৃশ্যমান হবে সেতুর ৯০০ মিটার।’এছাড়াও মাওয়া প্রান্তে আরো একটি পিলার বসানো হয়েছে।মাওয়া প্রান্তসহ দৃশ্যমান হবে এক হাজার ৫০ মিটার।