নিজে বিয়ে না করে ৮ হাজার বিয়ে দিয়েছেন

0
18
নিজে বিয়ে না করে ৮ হাজার বিয়ে দিয়েছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার,৫জানুয়ারি ২০২৩।।২১ পৌষ ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)।।১০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৪ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : রাজশাহীর তানোরে নিজে বিয়ে করতে না পারলেও ২০ বছরে ৮ হাজার ৪৯ জনের বিয়ে দিয়েছেন ঘটক তাছির মন্ডল। তিনি তানোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ঘটকতালির সুবাদেই এলাকার সবাই তাকে ঘটক তাছির নামেই চিনেন।

জানতে চাইলে ঘটক তাছির মন্ডল বলেন, ২০০২ সাথে প্রথম দিকে সখের বসে বিয়ে দেয়ার কাজ শুরু করি। কিন্তু পরে বিভিন্ন এলাকার লোকজন আমার কাছে তাদের ছেলে মেয়েদের বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রীর খোঁজে আসতে শুরু করেন। এভাবেই শুরু আমার ঘটক হয়ে উঠা।

প্রথমে আমার নিজ এলাকা তানোরের ছেলে মেয়েদের বিয়ের ঘটকতালি করতাম। পরবর্তিতে রাজশাহী, নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার ছেলে মেয়েদের বিয়ের ঘটকতালি করা শুরু করি।

২০০২ সাল থেকে অদ্যবদি তিনি ঘটকতালি করে ৮ হাজার ৪৯ জনের বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এর মধ্য প্রায় সাড়ে ৩ শ’ বিয়ে টিকেনি। বাকি সবগুলো দম্পতি ভালো থেকে সুখে সংসার করছেন। এদের মধ্য অনেকেই এখনো তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ গত বুধবার (৪ জানুয়ারি) তিনি ঘটকতালি করে নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এক ব্যক্তির কন্যার সঙ্গে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার এক ব্যক্তির পুত্রের বিয়ে দিয়েছেন।

ঘটকতালি করার সুবাদেই এলাকার তার সুনাম রয়েছে। এলাকার সবাই তাকে ঘটক তাছির নামেই চিনেন। পরবর্তিতে ২০১৫ সালে স্থানীয়রা তাকে জোর করে তানোর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে দাঁড় করিয়ে দেন এবং বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন।

২০২১ সালে ভোটাররা আবারো তাকে ভোটে দাঁড় করিয়ে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত করেন। এখনো তিনি কাউন্সিলর রয়েছেন। তবে, বিয়ে দিয়ে তিনি সর্বনিন্ম ১০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন। এছাড়া, একদিনে ঘটকলি করে ৫/৬ টা পর্যন্ত বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

নিজে বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাকা (ইট) বাড়ি করার পর তিনিও বিয়ের পিড়িতে বসবেন বলে জানান তিনি।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও অন্যান্য দলের মানুষকে তিনি সমান চোখে দেখেন। ঘটকতালি করার কারনে এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে রয়েছে তার ভালো সম্পর্ক। যেকোন বিপদে এলাবাসীর পাশে দাঁড়ান তিনি।

বিয়েতে টাকা নেয়ার বিষয়ে ঘটক তাছির মন্ডল বলেন, বিয়ের ঘটকতালি করে বিয়ে দিলে আমাকে খুশি মনে টাকা দেন। এমমধ্যে সর্বনিম্ন ১০ হাজার থেকে সর্বচ্চ ৬০ হাজার টাকাও আমি পেয়েছি। যার যেমন সমর্থ সে তেমনই টাকা আমাকে খুশি মনে দেন। আমি জোরাজরি করে কোনো টাকা নিইনা।

তানোর পৌরসভার বর্তমান মেয়র ইমরুর হক বলেন, তাছির কাউন্সিলর এলাকার মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয় একজন ঘটক। সে মূলত ঘটকালি করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

  (বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..               

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

নিউজ ট্যাগ:

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন