নারী মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা

0
12
নারী মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা

প্রকাশিত: বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং।। ৩রা ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।। ১৩ রজব,১৪৪৩ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের নারী মুক্তিযোদ্ধারা পেলেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা। আজ মঙ্গলবার ৬৫৪ নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সরকারের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়। এর মধ্যে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ৬৫ বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক, উত্তরীয়, শাড়ী ও স্যুভেনিয়র। বাকিদের নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে সম্মাননা দেয়া হয়।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দেশজুড়ে এ আয়োজন। রাজধানীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিনামূল্যে হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, জেলা, উপজেলাসহ দেশের বিশেষায়িত হাসপাতালসমূহে চিকিৎসা, ওষুধ, টেস্ট যা প্রয়োজন তার সবই দেয়া হচ্ছে। আমরা ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্দিষ্ট স্থান মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার হিসেবে সংরক্ষণ করতে চাই। যেখানে মানুষ গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে পারবে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সব স্থানে যুদ্ধ হয়েছিল, সে সব স্থান আমরা সংরক্ষণ করছি। বধ্যভূমিগুলোও আমরা সংরক্ষণ করছি। এ ছাড়া যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা মারা যান তাদের একই রকম নকশায় কবর দেয়া হবে, যেন ৫০ বছর পরেও একটি কবর দেখে বোঝা যায়, এটি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।
এসময় প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকেই, সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সহয়াতা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরজ্জ্বোল দৃষ্টান্ত হয়ে আছেন নারী মুক্তিযোদ্ধারা। মহান মুক্তিযুদ্ধে নারীদের আত্মত্যাগ অপরিসীম। বিধবা হতে পারেন জেনেও স্ত্রীরা স্বামীদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠিয়েছেন। পুত্রহারা হতে পারে জেনেও মায়েরা পুত্রদেরকে রণক্ষেত্রে পাঠিয়েছে। নির্যাতিত হতে পারে জেনেও কন্যারা অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও জাতীয় পর্যায়ে এক সঙ্গে দেশব্যাপী মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করা হয়নি। এবারই আলাদাভাবে বাংলাদেশের সকল মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একই দিনে, একই সময়ে, একই সাথে সম্মাননা দেয়া হলো। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকবে।

 

(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..              

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন