নারায়গঞ্জ ও ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরে পালিয়ে লোকজন ঢুকছে

0
34
নারায়গঞ্জ ও ঢাকা থেকে মুন্সীগঞ্জ শহরে পালিয়ে লোকজন ঢুকছে

প্রকাশিত : রবিবার,  ১২ এপ্রিল ২০২০ ইং ।। ২৯ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।

বিক্রমপুর খবর : মুন্সীগঞ্জ সংবাদদাতা : করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেশী ঢাকায়। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মুন্সীগঞ্জের পার্শবর্তী জেলা নারায়নগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জের বিপুল পরিমান ব্যবসায়ী এবং চাকরিজীবিদের অবস্থান নারায়নগঞ্জে।

ইতিমধ্যে পুরো নারায়নগঞ্জ জেলা শহর লক ডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। চলছে না কোন গণপরিবহন। ঢাকা থেকেও পন্যবাহী ট্রাক, ওষুধবাহী গাড়ী ছাড়া কোন ধরনের পরিবহনই ঢুকছেনা মুন্সীগঞ্জে।

মুক্তারপুর সেতুর দু”পাড়ে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। তার পরও দিনে এবং গভীর রাতে সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে এবং ট্রলার যোগে ঢাকা এবং নারায়গঞ্জের লোকজন মুন্সীগঞ্জ শহরে ঢুকছেই।যেহেতু নারায়নগঞ্জ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা এবং মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। সেহেতু পার্শবতী জেলা হিসাবে মুন্সীগঞ্জ বাসীকে এখনই সতর্ক এবং সচেতনতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। অন্যথায় এ জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলাবাসীকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। সরেজমিন মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় দিয়ে দেখা যায়, ব্রিজের ওপাড় থেকে ট্রলারযোগে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ , শিশু বৃদ্ধরা পাড় হয়ে মুক্তারপুর হয়ে শহরে ঢুকছে। মুক্তারপুর সেতুতেও দেখা গেছে হেঁটে চলা মানুষের পদচারনা।

মুক্তারপুর ব্রিজের দু”পাশে চেক পোষ্ট থাকায় প্রশাসনের নজর ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে মুন্সীগঞ্জের মোল্লারচর, নয়াগাঁও, মালিরপাথর, মিরকাদিম এলাকায় গভীর রাতে ট্রলারযোগে নদী পাড়ি দিয়ে আসে লোকজন। গতকাল গভীর রাতে ট্রলারযোগে নারায়নগঞ্জ থেকে স্বপরিবারে পালিয়ে আসে মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের নাদিম খাঁন। পরে সকাল বেলা গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামে আসার খবরে আতংকিত হয়ে যায়। এক পর্যায়ে প্রশাসনকে স্থানীয়রা জানালে সেখান থেকেও তারা মুন্সীগঞ্জ শহরে পালিয়ে আসে।

অনুসন্ধানে জানাগেছে পরিবারটি মানিকপুরে তাদের আরেটি ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। তবে কোন বাড়ীতে অবস্থান করছে সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও পালিয়ে আসা লোকগুলো পালিয়ে এসেও তাদের প্রকৃত ঠিকানায় না থেকে আত্নগোপনে থাকে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি তারা যদি সুস্থ্য হতো তাহলে এভাবে পালিয়ে বেড়াতো না। বাড়ীতেই হোম কোয়ারেন্টাই মেনে থাকতো। জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, পালিয়ে আসলেই যে করোনা রোগী এটা নিশ্চিত করে বলা যাবেনা। তবে যারাই বিভিন্ন জেলা এবং উপজেলা থেকে স্থান ত্যাগ করে আসবে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাই নিশ্চিত করাটা জরুরি।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন পিপিএম বলেন, মুক্তারপুর সেতুতে চেক পোষ্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি নৌ পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে যেন পার্শবর্তী জেলা থেকে কোন লোকজন মুন্সীগঞ্জ শহরে ঢুকতে না পারে। পুরো জেলা শহরে পুলিশ কঠোর অবস্থানে আছে। অকারনে দিনে রাতে রাস্তায় বের হলেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন