প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ।। ০২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ(শরৎকাল )।। ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ, স্ত্রীরোগ ও ধাত্রীবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ (গাইনোকোলজিষ্ট) অধ্যাপিকা ডা. জোহরা বেগম কাজী।
তিনি ১৯১২ সালের ১৫ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের মধ্য প্রদেশের রাজনান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।দাদার বাড়ি বাংলাদেশের মাদারিপুর জেলার কালকিনি থানার গোপালপুর গ্রামে। তাঁর পিতা ছিলেন ডাক্তার কাজী আব্দুস সাত্তার।
ডাক্তার জোহরা বেগম কাজী এদেশের দ্বিতীয় বাঙালী মহিলা চিকিৎসক। আরেক বিখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার শিরিন কাজী ছিলেন তাঁরই বোন।
তিনি ১৯৩৫ সালে দিল্লির হার্ডিং মহিলা মেডিক্যাল কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে শীর্ষ স্থান অধিকার করে তিনি এম.বি.বি.এস ডিগ্রি লাভ করেন এবং ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় কর্তৃক প্রদত্ত পদকে ভূষিত হন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে পাশ করার পড়ে জনসেবা ও সমাজকল্যাণমূলক আদর্শকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে ডাঃ জোহরা কাজী মহাত্মা গান্ধীর ‘সেবাশ্রমে’ তার চাকরিজীবন শুরু করেন।দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশে (পূর্ববাংলায়) চলে আসেন।
এ দেশে যখন কোনো মহিলা চিকিৎসক ছিলেন না, তখন তিনিই চাকুরী নিয়ে প্রথম এসেছিলেন বাঙালি মুসলিম চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ১৯৪৮ সালে।
তৎকালীন মেডিক্যাল কলেজে পৃথক গাইনি বিভাগ ছিল না। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশুদের যথাযথ চিকিৎসায় বিঘ্ন ঘটতো এবং অকাল মৃত্যুর ঘটনাও ছিল অনেক বেশি।
ডা.জোহরা কাজীর ঐকান্তিক চেষ্টার ফলে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে গাইনোকোলজী বিভাগ খোলা হয়।
আমাদের ভাষা আন্দোলনে জোহরা কাজীর অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশ যখন আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলিবর্ষণ করে, ঠিক সেই মুহূর্তে রিকশাযোগে তিনি পৌঁছে ছিলেন মেডিকেল কলেজের সামনে।
ছাত্রাবাসে গিয়ে রফিক, বরকত, সালামসহ চারজনের মৃতদেহ দেখেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরে দেখেন অসংখ্য গুলিবিদ্ধ আহতকে। অন্য ডাক্তারদের নিয়ে আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ডাক্তার জোহরা কাজী। আহতদের বন্দি করতে পুলিশ এলে,তিনি পুলিশকে হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করতেও দেন নি।
তিনি ইংল্যান্ড থেকে DRCOG, FCPS, FRCOG এবং MRCOG ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরও অধিক সমৃদ্ধ হয় আমাদের দেশের
চিকিৎসা বিজ্ঞানে গাইনোকোলজিষ্ট বিভাগ।
পঞ্চাশ-ষাটের দশকে মেডিকেল কলেজের মহিলা হোস্টেলগুলোর প্রশাসনিক দায়িত্বে বেগম জোহরা কাজী ছিলেন যথেষ্ট যত্নশীল, বিশেষ করে ভাষা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সময় ছাত্রীদের সুরক্ষার ব্যাপারে তিনি ছিলেন যথেষ্ট দায়িত্বশীল।
ডা. জোহরা কাজী তমঘা-ই-পাকিস্তান (১৯৬৪), বেগম রোকেয়া পদক (২০০২) এবং একুশে পদক (২০০৮) অর্জন করেন।
২০০৭ সালের ৭ নভেম্বর,এই মহিয়সী নারী মৃত্যু বরণ করেন।
আমাদের দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানে যতদিন মহিলাদের
বিশেষ করে গাইনোকোলজিষ্ট চিকিৎসা সেবার ইতিহাস স্মরণ হবে ততোদিন ডাক্তার জোহরা বেগম কাজী উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করবেই। তথ্য সূত্রঃ সংগৃহীত
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর–আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন–বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor