প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ,২৯ অক্টোবর ২০২০ইং ।। ১৩ই কার্তিক ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)।। ১১ই রবিউল আউয়াল,১৪৪২ হিজরী।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : জাপানের জনসংখ্যা ক্রমেই কমছে। নেপথ্যে অনেক রকম কারণ উঠে আসছে। সমাজবিজ্ঞানীরা কাটাছেঁড়া করে দেখেছেন, কর্ম ব্যস্ততার কারণে ইদানীংকালে অনেকে বিবাহ বিমুখ বা সংসার বিমুখ হয়ে যাচ্ছেন। আবার অনেকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও সন্তান নিতে ইচ্ছুক নন। কেউ কেউ আবার এক সন্তানের বেশি আর এগোচ্ছেন না।
তাঁদের যুক্তি হল, শুধু সন্তান জন্ম দিলেই হবে না। লালন-পালনের ঝক্কি-ঝামেলা অনেক। এই গুরুদায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেরিয়ার বাধাপ্রাপ্ত বা নষ্ট হচ্ছে। তাই চিনের মতো সরকারিভাবে এক-সন্তান নীতি না থাকলেও জাপানবাসী একাধিক সন্তানে আগ্রহী নন। সবমিলিয়ে শিশু জন্মের হার দ্রুত তলানিতে ঠেকছে। স্বভাবতই কমছে জনসংখ্যা। অনেক এলাকা বিরান হয়ে যাবার উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে বিবাহ এবং একাধিক সন্তান ধারণে উৎসাহ দিতে ময়দানে টাকার ঝোলা নিয়ে নেমে পড়েছে জাপান সরকার। বিবাহযোগ্যদের বিয়ের জন্য আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার পাশাপাশি নব দম্পতিদেরকেও নগদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। জাপানি মুদ্রায় ৬ লক্ষ ইয়েন দেবে সে দেশের সরকার। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ ১৯ হাজার ১৭৭ টাকা।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে, চির কুমারত্ব বা কুমারিত্ব ঘোচাতেই মূলত আর্থিক সম্মান দেওয়া হবে। অর্থাৎ যাঁরা একেবারেই বিবাহ বিমুখ হয়ে রয়েছেন, তাঁদেরকে বিয়ের ব্যাপারে উৎসাহী করতে নগদ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপানের নতুন সরকার। অনেকে আবার সংসার, সন্তান ইত্যাদি হ্যাপা থেকে বাঁচতে আনুষ্ঠানিক বিয়ে না করে লিভ-ইন বা লিভ টুগেদার করে। তারা জৈবিক চাহিদা পূরণ করেই ক্ষান্ত। তার বেশি দায়িত্ব পালনে অনিচ্ছুক।
স্বভাবতই এদের সন্তান-সন্ততি হয় না। এইসব ব্যতিক্রমী লোকদেরকেই মূলত আর্থিক উৎসাহ ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তবে বিষয়টা একেবারেই জলবৎ তরলং নয়। এই প্রকল্পে কিছু শর্তাবলিও রাখা হয়েছে। সরকারের থেকে এই অর্থ পেতে হলে পাত্র-পাত্রী বা স্বামী-স্ত্রীর বয়স অনূর্ধ্ব-৪০ বছর হতে হবে। দু’জনের মিলিত অর্থাৎ পারিবারিক আয় হতে হবে সাড়ে ৫ মিলিয়ন ইয়েনের কম। যা ভারতীয় মুদ্রায় ৩৮ লক্ষ ৪১ হাজার ২০৪ টাকা। তবে শর্তাবলিতে কিছু শিথিলতাও রাখা হয়েছে।
যাতে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে উৎসাহ ভাতা দেওয়া যায়। তা হল যাদের বয়স ৩৫ বছর এবং যৌথ আয় ৪.৮ মিলিয়ন ইয়েন, তাঁরা পাবেন ৩ লক্ষ ইয়েন। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী জাপানে অবিবাহিত পুরুষদের ৩০ শতাংশের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছর। সমবয়সি অবিবাহিত মেয়েদের হার ১৮ শতাংশ। গতবছর দেশটিতে ৮ লক্ষ ৬৫ হাজার শিশু জন্মায়। যা গত একদশকে সবথেকে কম।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’
Login করুন : https://www.bikrampurkhobor.com
আমাদের পেইজ এ লাইক দিন শেয়ার করুন।
জাস্ট এখানে ক্লিক করুন। https://www.facebook.com/BikrampurKhobor