কিংবদন্তি ‘সুরের যাদুকর’ আলাউদ্দিন আলী; বিক্রমপুরের রত্ম

0
23
কিংবদন্তি 'সুরের যাদুকর' আলাউদ্দিন আলী; বিক্রমপুরের রত্ম

প্রকাশিত : রবিবার, ৯ই আগস্ট ২০২০ইং ।। ২৫শে শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ ।।

বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক :  বাংলাদেশের গানের ভাণ্ডারে বা সাগরে যে মানুষ ডুব দিয়েছেন তিনি ছাড়া বাকিরা বুঝতেই পারবে না- আমাদের গানে কত হীরা, মুক্তো, মানিক মিশে আছে। যে সাগরে ডুব দিলে কত যে অসাধারণ মানুষের খোঁজ পাবেন তা বলে বুঝাতে পারবো না।

এ সাগরের ডুবুরিদের যে কজন মহান স্রষ্টা আকর্ষণ করবে তাঁদের মধ্যে আলাউদ্দিন আলী থাকবেনই, যিনি আমাদের কাছে ‘সুরের যাদুকর’ হিসেবে পরিচিত। যার সুর করা বহু গান আমাদের গানের ভাণ্ডারের এক-একটি মহামূল্যবান রত্ন হিসেবে আছে। শুধু গান সুর করেই নয়, তিনি গান লিখেও পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার।

আলাউদ্দিন আলীর জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বরে বিক্রমপুরের টঙ্গিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামের এক সাংস্কৃতিক পরিবারে। তার বাবা ওস্তাদ জাদব আলী ও মা জোহরা খাতুন। ঢাকার মতিঝিল এজিবি কলোনিতে তিন ভাই-দুই বোনসহ আলাউদ্দিন আলী বড় হতে থাকেন। চাচা সাদেক আলীর কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি হয় বেহালা বাজানোর মাধ্যমে। রেডিওতে শিশুদের অনুষ্ঠানে বেহালা বাজানোর সুযোগ পান। শিশু-কিশোরদের জাতীয় প্রতিযোগিতায় বেহালা বাজিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের শ্রেষ্ঠ যন্ত্রশিল্পীর সরকারি পুরস্কার পান। যন্ত্রসংগীতশিল্পী হিসেবে ১৯৬৮ সালে জহির রায়হানের ‘বেহুলা’র মাধ্যমে (বেহালা বাদক) চলচ্চিত্রে পা রাখেন। শুরুটা প্রখ্যাত সুরকার আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে হলেও পরবর্তীতে আরেক জনপ্রিয় সুরকার আনোয়ার পারভেজের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন অনেক সুরকারদের সহযোগী হিসেবে তিনি বেহালাই বাজাতেন ওই সময়।

১৯৭২ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্য ও আমার বাংলা মা তোর দেশাত্মবোধক গানটির সুর করে সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।১৯৭৫ সনে ‘সন্ধিক্ষণ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রের গানে সঙ্গীত পরিচালনায় আসেন। এরপর এক বছর কোন ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করেননি।

১৯৭৭ সালে পরিচালক দারাশিকো’র ‘ফকির মজনু শাহ’ ও আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্ব পান। ছবি দুটোর গান এমনই হিট হয় যে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি অসাধারণ এই সুরস্রষ্ঠার। আলাউদ্দিন আলীর সুর করা আছেন আমার মোক্তারহায়রে কপাল মন্দ, চোখ থাকিতে অন্ধ (গোলাপী এখন ট্রেনে), চোখের নজর এমনি কইরা, সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমে (ফকির মজনু শাহ) গানগুলো মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে।

এরপর আলাউদ্দিন আলী একের পর এক কালজয়ী গান উপহার দিতে থাকেন। যার সূত্র ধরে ১৯৭৭/৭৮ সালে টেলিভিশনের একটি অনুষ্ঠানের জন্য গীতিকার মনিরুজ্জামানের মনিরের লেখা ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি তৈরি করেন, যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খুব পছন্দ করেন এবং সেই থেকে গানটি জিয়াউর রহমান তার দলের থিম সং হিসেবে ব্যবহার করেন। যা ধীরে ধীরে মানুষের কাছে শহীদ জিয়া/বিএনপির গান হিসেবে পরিচিতি পেয়ে যায়।

অসাধারণ গীতিকার মনিরুজ্জামান মনিরকে ইন্ডাস্ট্রিতে আলাউদ্দিন আলী নিয়ে আসেন। আলাউদ্দিন আলীর ভাতিজা আবু তাহের একদিন ইন্দিরা রোডের ‘ঢাকা রেকর্ড’-এর স্টুডিওতে নিয়ে আসেন সেখান থেকে মনিরুজ্জামান মনিরের ঢাকায় পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া ও থাকা খাওয়ার সব দায়িত্ব আলাউদ্দিন আলী নিজের কাঁধে তুলে নেন। তার সাহচর্যে মনির তেজগাঁও কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ডিগ্রি পাস করেন। পরবর্তীকালে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশ’ গানটি লেখার সুবাদেই তৎকালীন সরকারের কাছ থেকে সুবিধা পেয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে একটা ভালো পোস্টে চাকরি পেয়ে যান। মনিরুজ্জামান মনির এভাবে প্রতিষ্ঠা পান।

সৈয়দ আব্দুল হাদির কণ্ঠের ‘সুন্দরী’ ছবির ‘কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিলো না’ ছিল মূলত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র জন্য তৈরি। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র সাবিনা ইয়সামিনের গানটি পরবর্তীতে ‘সুন্দরী’ ছবিতে সৈয়দ আব্দুল হাদির কণ্ঠে নতুনভাবে করেন, ছবিতে যার লিপে ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আবার ‘কসাই’ ছবির জন্য তৈরি করেন ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়ি গেলাম’ গানটি, সাবিনা ইয়াসমিন কণ্ঠ দেন। ছবি মুক্তির পর গানটি চরম হিট হয়, পরবর্তীতে কলকাতার এইচএমভি থেকে রুনা লায়লার অ্যালবাম করার সময় গানটি নতুন করে রুনা লায়লাকে দিয়ে রেকর্ড করান। গানটি রুনাকে আবারও সুপারহিট করে দেয়, যার ফলে সাবিনা ইয়াসমিনের গাওয়া গানটি পেছনে পড়ে যায় আর ‘বন্ধু তিনদিন তোর বাড়ি গেলাম’ হয়ে যায় রুনা লায়লার চিরস্মরণীয় ও সুপারহিট গানগুলোর একটি।

কিশোরী সামিনা চৌধুরীর প্লেব্যাকে আনেন আলাউদ্দিন আলী। আমজাদ হোসেন কালজয়ী ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ ছবিতে। পরিচালকের অনুমতি নিয়ে সামিনা চৌধুরীকে দিয়ে প্রথমে ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’ গানটি করান যা ববিতার লিপে ছিল। এ গানটি ববিতার কণ্ঠে মানিয়ে যাওয়ার ফলে আবারও আমজাদ হোসেনের অনুমতি নিয়ে ‘একবার যদি কেউ ভালোবাসতো’ গানটি রেকর্ড করান আলাউদ্দিন আলী, যা ছবি মুক্তির পর সুপারহিট। অথচ সামিনা তখন ক্লাস সেভেন-এইটে পড়তেন। পরিচালক আমজাদ হোসেনের ছিল আলাউদ্দিন আলীর ওপর অগাধ আস্থা ও বিশ্বাস, তাই কোন গান কোন শিল্পীকে দিয়ে গাওয়াবেন তা নিয়ে কখনও হস্তক্ষেপ করতেন না। দেখা যেতো আমজাদ হোসেন যেমনটা চেয়েছিলেন ঠিক তেমনই কিছু করে ফেলেছেন আলাউদ্দিন আলী।

তার সৃষ্টিগুলোর অন্যতম মিতালি মুখার্জীর কণ্ঠের ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নেই’ গানটি আমজাদ হোসেন তাঁর ‘দুই পয়সা আলতা’ ছবিতে ব্যবহার করে দর্শকদের মনে চিরদিনের জন্য গেঁথে দিয়েছেন। গানটি নিয়ে আছে মজার ইতিহাস আছে। ৮১ বা ৮২ সাল। তখন মিতালী মুখার্জী ঢাকায় আসেন। তাঁকে নিয়ে বিটিভিতে অনুষ্ঠান করার জন্য প্রযোজক মুসা আহম্মেদ আলাউদ্দিন আলীকে দায়িত্ব দেন। তখন মিতালী মুখার্জী আলাউদ্দিন আলীকে খুব অনুরোধ করেন যে, “আলী ভাই, আপনার সুর করা ‘কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিল না’ গানটির মতো সুন্দর একটি মেলোডিয়াস গান করে দেন।” সেই রাতেই রেকর্ডিং শেষে বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে আনুমানিক দেড়টায় হারমোনিয়াম নিয়ে বসেন, তখন হঠাৎ করেই এ রকম একটা থিম মাথায় আসে। আর সঙ্গে সঙ্গেই সুরটাও হয়ে যায়। পরের দিন রেকর্ডিং।

এই গান বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচারের পর জনপ্রিয় হয়। পরিচালক আমজাদ হোসেন একদিন আলাউদিন আলীকে বললেন ‘দুই পয়সার আলতা’ সিনেমায় একটা দৃশ্যের সাথে এই গানটি মিলে যায়, তাই তিনি এটা ব্যবহার করতে চান। সঙ্গে সঙ্গে আলাউদ্দিন আলী রাজি হয়ে যান । এরপরের ইতিহাস তো সবারই জানা। টাইটেল থেকে শুরু করে পুরো ছবিতে ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানটির সুর এসেছে বারবার বহুরূপে, আর ‘দুই পয়সার আলতা’ হয়ে গেল চিরস্মরণীয় একটি ছবি।

১৯৭৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক/সুরকার হিসেবে সর্বপ্রথম পুরস্কার অর্জন করেন, সর্বমোট সাতবার জাতীয় চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করেন, এর মধ্যে একবার গীতিকার হিসেবে (প্রেমিক, ১৯৮৫)। ১৯৭৮, ৭৯ ও ৮০ সালে টানা তিনবার জাতীয় পুরস্কার পেয়ে হ্যাট্রিক করেছিলেন যা অন্য কোন সুরকারের রেকর্ডে নেই। আলাউদ্দিন আলী শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ১৯৭৮ (গোলাপী এখন ট্রেনে), ১৯৭৯ (সুন্দরী), ১৯৮০ (কসাই), ১৯৮৮ (যোগাযোগ), ১৯৯০ (লাখে একটা) ও ২০০২ (লাল দরিয়া) সালে পুরস্কার অর্জন করেন।

ঢাকা, কলকাতা ও মুম্বাই একসাথে একই দিনে কাজ করেছিলেন আলাউদ্দিন আলী। ১৯৮৭ সালের ২৬ জুলাই একদিনেই  মুম্বাইয়ে রেকর্ড করছেন— প্রতি ঘণ্টায় শিল্পীরা আসছেন, কখনো উদিত নারায়ণ, সাধনা সারগাম, বিনোদ রাঠোর, কবিতা কৃষ্ণমূর্তি একেকজন এক ঘণ্টা পরপর আসছেন, গান করছেন। আবার কলকাতায় আলাউদ্দিন আলীর আরেকজন সহকারী স্বপন সেন এবং একই দিনে ফুয়াদ নাসের বাবু ঢাকায় মিউজিক রেকর্ডিং করছে। গুণী এই মানুষটি সেদিন মুম্বাই, কলকাতা এবং ঢাকায় একই দিনে ৩০টি গান রেকর্ড করেন। আলাউদ্দিন আলী মিউজিক এবং সুর করে একসাথে তিন জায়গায় শিল্পীদের ভয়েজ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

স্বাধীন বাংলাদেশের এমন কোন কিংবদন্তি শিল্পী নেই যার গলায় আলাউদ্দিন আলীর সুরের গান নেই। শাহনাজ রহমতউল্লাহ, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, সুবীর নন্দী, সৈয়দ আব্দুল হাদি, শাম্মী আখতার, সামিনা চৌধুরী, কনক চাঁপা কে গায়নি আলাউদ্দিন আলীর সুরে গান— বলতে পারবেন? শুধু বাংলাদেশের নয় উপমহাদেশের অনেক জনপ্রিয় শিল্পী আলাউদ্দিন আলীর সুরের গান গেয়ে হয়েছেন জনপ্রিয়। উপরে তো ভারতীয় কয়েকজন শিল্পী নাম জানলেন। বিখ্যাত ঊষা উথুপের প্লেব্যাক তো শুরু হয়েছিল সুভাষ দত্তের ‘ফুলশয্যা’ ছবিতে আলাউদ্দিন আলীর সুরে, গানটি ছিল সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা। কলকাতার গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার, পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর ঢাকায় আবু হেনা মোস্তফা কামাল সাহেব, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নজরুল ইসলাম বাবু, মাসুদ করিম, কেজি মোস্তফ, মো. রফিকুজ্জামান, মো. মনিরুজ্জামান সাহেবদের গীতিকবিতায় সুর করেছেন সুরের যাদুকর আলাউদ্দিন আলী, যার ফলে আমাদের একের পর এক অসাধারণ সব গান উপহার দিতে পেরেছিলেন।

আলাউদ্দিন আলীর সুর করা উল্লেখযোগ্য গান: ও আমার বাংলা মা তোর, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি, আমায় গেঁথে দাওনা মাগো (দেশাত্মবোধক), যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে (আধুনিক), আছেন আমার মোক্তার, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ (গোলাপী এখন ট্রেনে), চোখের নজর এমনি কইরা, সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমে (ফকির মজনু শাহ), কেউ কোনদিন আমারে তো কথা দিলো না (সুন্দরী), এমনও তো প্রেম হয়, এই দুনিয়া এখন তো আর (দুই পয়সার আলতা), পারি না ভুলে যেতে (সাক্ষী), জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, বাবা বলে গেলো আর কোনদিন (জন্ম থেকে জ্বলছি), কত কাঁদলাম কত সাধলাম, গাছের একটা পাতা ঝরলে, চিনেছি তোমারে আকারে প্রকারে, তিলে তিলে মইরা যামু তবু তোকে ডাকবো না (ভাত দে), অন্ধ হয়ে থেকো না কেউ, ভেঙ্গেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা, সত্য কি মিথ্যা কি (ভাই বন্ধু), ফুল ফোঁটা ফাগুনে মনপোড়া আগুনে (প্রেমিক), শত জনমের স্বপ্ন (রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত), এই সকালটা যে তোমার (যোগাযোগ), ভালোবাসা আমাদের প্রাণের বাঁধন, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয় (চরম আঘাত), তুমি এমন কোন কথা বলো না (প্রিয় তুমি) … এমন অসংখ্য অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয়, শ্রুতিমধুর, চিরসবুজ গান সৃষ্টি করেছেন আলাউদ্দিন আলী। যার সুরের গান গাওয়ার যোগ্যতা এখনকার অনেক সুপারস্টার শিল্পীরও নেই। এমন একজন মানুষ জীবিত আছেন অথচ ইন্ডাস্ট্রিতে যুগ যুগ ধরে মনে রাখার মতো গান খুঁজে পাই না সেটা আমাদের দৈন্যতা ছাড়া কিছুই নয়। প্রিয় এই মানুষটিকে জানাই অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

তথ্যসূত্র: সাপ্তাহিক চিত্রালী, পাক্ষিক ছায়াছন্দ, দৈনিক ইত্তেফাক, বিবিসি সংলাপ ও এনটিভি।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন