প্রকাশিত : শনিবার,২১ মার্চ ২০২০ ইং ।। ৭ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর :অনলাইন ডেস্ক :শায়খ ড.আব্দুর রহমান সুদাইসি মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির প্রধান ইমাম তিনি। দিন দিন কাবা শরিফ ও মসজিদে নববি মুসল্লিহীন হয়ে যাওয়ায় আগেবপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তার আবেগমাখা প্রার্থনা সবার হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ টুইটারে তিনি উল্লেখ করেন-
– হে আল্লাহ! আপনার ঘর থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করবেন না।
– হে আল্লাহ! আমাদের পাপের কারণে পবিত্র মসজিদের নামাজের জামাআত থেকে বঞ্চিত করবেন না।
-হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমাদের আবার ফিরিয়ে নিন।
-হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করুন।
-হে আল্লাহ! আমাদের এবং মুসলিম উম্মাহকে সব ধরনের মহামারি ও দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে হেফাজত করুন।
শায়খ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসির আবেগঘন এ আহ্বান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এভাবেই ওঠে এসেছে। আল্লাহর কাছে তিনি আরও আহ্বান করেন-
– হে আল্লাহ! মুসিবত দিন দিন কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে। চারদিক অন্ধকার হয়ে আসছে। তুমি ছাড়া আমাদের ফরিয়াদ শোনার আর কেউ নেই হে আল্লাহ! তুমি ছাড়া আর কে আছে? হে আল্লাহ! যার কাছে আমরা সাহায্য চাইব। হে আল্লাহ! আমাদের এ অবস্থার ওপর দয়া করুন। আমাদের অক্ষমতাগুলো দূর করে আমাদের ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! তুমিই আমাদের অভিভাবক।
শায়খ সুদাইসি আবেগঘন সেরা যে আবেদনে মুসলিম হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে তাহলো- হে আল্লাহ! এ বিপদ মহামারির কারণে তোমার ঘরে যেতে না পারার ব্যথা আর সইতে পারছি না। হে মহান শক্তিমান, দয়া করে এই মহামারি দূর করে দাও।’
আরেক টুইটে তিনি লিখেন
‘তুমি থাকতে কার কাছে অভিযোগ করব আল্লাহ! তুমি ছাড়া কার কাছে হাত পাতবো হে আল্লাহ! তুমিই তো একমাত্র মাবুদ। তোমাকে ছেড়ে আমরা কার এবাদত করব? তোমার ওপরই আমাদের সব আশা-ভরসা। হে আল্লাহ! আমাদের সেসব লোকদের অন্তর্ভুক্ত কর, যারা নেয়ামত পেলে শোকর আদায় করে। বিপদে সবর করে। গোনাহ হলে তওবা করে।
প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের এ বিপদ মুহূর্তে তিনি বেশি বেশি এ দোয়া পড়তে গুরুত্বারোপ করেন। আর তাহলো- لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِالله الْعَلِىِّ الْعَظِيْم উচ্চারণ : ‘লা হাউলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।’ অর্থ : ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নেই, কোনো ভরসা নেই, যিনি মহান ও সর্বশক্তিমান।’ এ দোয়া সম্পর্কে তিনি টুইটে লেখেন- ‘লা হাওলা’ পড়ার মাধ্যমে কত বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং আল্লাহর প্রশান্তি, দয়া ও মদদ পাওয়া যায় তা যদি মানুষ জানতো তবে এ দোয়া এমনভাবে পড়তো যে, মুহূর্তের জন্য বিরাম নিতো না। বরং চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে সব সময় ‘লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম’ পড়তো।
করোনা থেকে মুক্তিতে তিনি আল্লাহর কাছে এভাবে আবেদন করেন
– হে আল্লাহ! তোমার কাছেই আমানত রাখছি এই পবিত্র নগরি হারাম শরিফ ও তার বাসিন্দাদের। নারী পুরুষ যুবক-বৃদ্ধ-শিশু, ঘর-বাড়ি, আকাশ-মাটি সবকিছুই তোমার কাছে আমানত রাখলাম। দয়া করে তুমি এগুলোকে মহামারি থেকে হেফাজত কর। তোমার মহান কুদরতে তুমি করোনাভাইরাস দূর করে দাও।’’
পরিশেষে সবার জন্য সাহস জোগাতে আশ্বস্থ করে লিখেন-
বিপদ যত বড় হোক, তা চিরদিনের নয়। বরং বিপদ যত বড় হোক না কেন, আল্লহর রহমত তার চেয়ে অনেক বড়। আল্লাহর ইচ্ছায়, আমাদের মুক্তি অতি কাছেই। সুতরাং হতাশ হবেন না। অধৈর্য হবেন না। অস্থিরতা প্রকাশ করবেন না। আল্লাহকে স্মরণ করতে থাকুন। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখুন। আল্লাহর সিদ্ধান্তের ওপর নিজের সবকিছু সমর্পণ করুন।আমীন!