করোনাভাইরাসই আমাদের এই বাতিঘরটি নিভিয়ে দিল!

0
197
করোনাভাইরাসই আমাদের এই বাতিঘরটি নিভিয়ে দিল!

প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৫ মে ২০২০ ইং ।। ১লা জ্যৈস্ঠ  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ।। ২১ রমজান ১৪৪১

বিক্রমপুর খবর ::নাছির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল অফিস ডেস্ক :: সারা পৃথিবী স্থবির হয়ে গেছে যে শক্তিধর ভাইরাসের সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্ট মহামারিতে, তার নাম নভেল করোনাভাইরাস। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ থেকে শুরু করে স্বল্পোন্নত, উন্নয়নশীল প্রায় সব দেশই কম বেশি এই মহামারির শিকার আজ। বিপর্যস্ত পুরো পৃথিবী আজ এক মহাসংকটের মুখোমুখি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী লাগামহীন যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্ব এতটা সংকটে কখনো পড়েনি। এতটা প্রভাবান্বিত পৃথিবী কখনো হয়নি। সারা বিশ্বের চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা চালিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনার ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেনি। এমন এক সংকট যা পুরো মানবসভ্যতাকে অস্তিত্বের সংকটে ফেলে দিয়েছে।

সারা পৃথিবীর যখন এমন অবস্থা,তখন বাংলাদেশও  তার থেকে বাহিরে নেই। কোভিড-১৯ নামের এই রোগের প্রকোপে যখন ধুঁকছে জাতি,সেই সময় চিরবিদায় নিলেন বরেণ্য এই লেখক-অধ্যাপক আমাদের সকলের “স্যার”জাতীয় অধ্যাপক কিংবদন্তি ড.আনিসুজ্জামান।

মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় জানতে পাড়লাম করোনাভাইরাসই আমাদের এই বাতিঘরটি নিভিয়ে দিল!

ছবি-জাতীয় অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান, ফটোগ্রাফার- নাছির উদ্দিন আহমেদ জুয়েল। তারিখ-৩১ জুলাই ২০১৮ ইং

অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামানের বর্ণাঢ্য জীবন

বরেণ্য ব্যক্তিত্ব জাতীয় অধ্যাপক কিংবদন্তি আনিসুজ্জামান- কিছু মানুষ নিজের কর্ম ও পরিচয়ের গুণে ধীরে ধীরে একটি জাতির জন্য মহিরুহসম আকার ধারণ করেন। জাতির বাতিঘর, জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান তেমনই একজন। কয়েক প্রজন্মের প্রিয় শিক্ষক এই বাতিঘর তাই সর্বজনমান্য ‘স্যার’ হিসেবেই পরিচিত ও গণ্য। তিনি একাধারে বরেণ্য শিক্ষাবিদ, লেখক ও গবেষক, ভাষাসংগ্রামী, মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী, সংবিধানের অনুবাদক, স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের সব প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রবর্তী মানুষ। দেশ ও মানুষের যে কোনো বিপর্যয়ে তিনি অতন্দ্র বাতিঘরের মতো যুক্তিনিষ্ঠ, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িকতার পক্ষে নিরাবেগ মতামত ও দিকনির্দেশ প্রদান করেন।

১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি তিনি পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এটিএম মোয়াজ্জেম ও মা সৈয়দা খাতুন। বাবা ছিলেন বিখ্যাত হোমিও চিকিৎসক আর মা গৃহিণী হলেও সাহিত্যের প্রতি ছিল তার আন্তরিক ভালোবাসা। আনিসুজ্জামানের পিতামহ শেখ আবদুর রহিম ছিলেন তার সময়ের একজন বরেণ্য লেখক ও সাংবাদিক।

আনিসুজ্জামানের শিক্ষাজীবন শুরু হয় কলকাতার পার্ক সার্কাস হাই স্কুলে। ৪৭-এর দেশভাগের পর তাঁর পরিবার প্রথমে বাংলাদেশের খুলনাতে আসেন। তখন তিনি খুলনা জেলা স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫১ সালে ঢাকার প্রিয়নাথ হাই স্কুল (বর্তমান নবাবপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়) থেকে মাধ্যমিক ও ১৯৫৩ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও ১৯৫৭ সালে একই বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

ছাত্রাবস্থায় তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বলা হতো আইকন অব ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এতোটাই মেধাবী ছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীরা তাঁর দিকে ঈর্ষার দৃষ্টিতে দেখতো।

দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ আনিসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম বিভাগে প্রথম তো হয়েছিলেনই, বিভাগে গড়েছিলেন সর্বোচ্চ মার্কসের রেকর্ড। তখন বাংলা বিভাগের সভাপতি ছিলেন ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্। তিনি বলেছিলেন “আনিসের মতো ব্রিলিয়ান্ট ও জিনিয়াস স্টুডেন্ট আমাদের বিভাগে আমরা আর পাইনি!”

১৯৫৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি বাংলা একাডেমির গবেষণা বৃত্তি লাভ করেন।

একই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারায ১৭৫৭-১৯১৮ বিষয়ে পিএইচডি শুরু করেন। ১৯৫৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস:ইয়ং বেঙ্গল ও সমকাল বিষয়ে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৬৯ সালের জুনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে রিডার হিসেবে যোগ দেন।

১৯৬১ সালের রবীন্দ্র জন্ম-শতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। ১৯৬৭ সালে একটি খবর ছাপা হয়-রবীন্দ্রনাথের গান পাকিস্তানের জাতীয় ভাবাদর্শের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় বলে বেতার ও টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার হ্রাস করতে বলা হয়।এর প্রতিবাদে বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিবৃতিতে আনিসুজ্জামান স্বাক্ষর সংগ্রহ করেন এবং সেটা বিভিন্ন কাগজে ছাপতে দেন।

প্রগতিশীল আন্দোলনের অগ্রবর্তী মানুষ ইমেরিটাস অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে যখন উত্তাল পূর্ব বাংলা, সেই সময় মাত্র ১৫ বছর বয়সেই মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন আনিসুজ্জামান।সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে ঠিক করা হয়,ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে গণমানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য, সচেতন করার জন্য একটা পুস্তিকা প্রকাশিত হবে। প্রথমে এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিপ্লবী নেতা মোহাম্মদ তোয়াহার ওপর। কিন্তু তিনি সময়ের অভাবে লিখতে পারেননি। তখন তা লেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় কিশোর আনিসুজ্জামানকে।‘রাষ্ট্রভাষা কী ও কেন?’শিরোনামে সেই পুস্তিকা লিখেছিলেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির আগে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ওপর এটাই ছিল প্রথম পুস্তিকা।

রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করেন এবং পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ভারত গমন করে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি’র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বক্তৃতা লেখার কাজেও যুক্ত ছিলেন আনিসুজ্জামান।যুদ্ধকালীন গঠিত অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন।এ ছাড়া শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে গঠিত গণআদালতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল  ড.কামাল হোসেনকে  সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। ঐ কমিটি সংবিধানের ইংরেজি খসড়া তৈরি করেন। এই খসড়া ইংরেজি সংবিধান তৈরির পরডাক পড়ে দেশের সংবিধান বাংলায় অনুবাদ করার জন্য ডাক পড়ে  আনিসুজ্জামানের।সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, করে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় বাংলা ভাষারূপ/অনুবাদের জন্য,বাংলায় অনুবাদ করেন অধ্যাপক ড.আনিসুজ্জামান। এই বিষয়ের স্মৃতিচারণে তিনি লিখেছেন, “একটা অনাস্বাদিত শিহরণ জাগল দেহে মনে, এই আমার স্বাধীন দেশ, তার সংবিধান রচনার কাজে হাত দিয়েছি।”

আনিসুজ্জামানের প্রবন্ধ-গবেষণা গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য, মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র, মুনীর চৌধুরী, স্বরূপের সন্ধানে, Social Aspects of Endogenous Intellectual Creativity, আঠারো শতকের বাংলা চিঠি, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, পুরনো বাংলা গদ্য, মোতাহার হোসেন চৌধুরী, Creativity, Reality and Identity; Cultural Pluralism; Identity, Religion and Recent History ইত্যাদি।‘বিপুলা পৃথিবী’ নামে আনিসুজ্জামানের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটিও বেশ পাঠকপ্রিয়তা পায়।

আনিসুজ্জামানের উল্লেখযোগ্য একক ও যৌথভাবে সম্পাদনা /রচনাবলির মধ্যে রয়েছে-রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যাসাগর-রচনা সংগ্রহ (যৌথ), Culture and Thought (যৌথ), মুনীর চৌধুরী রচনাবলী ১-৪ খণ্ড, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড (যৌথ), অজিত গুহ স্মারকগ্রন্থ, স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারকগ্রন্থ, নজরুল রচনাবলী ১-৪ খণ্ড (যৌথ), SAARC: A People’s Perspective, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মকথা, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনাবলী (১ ও ৩ খণ্ড), নারীর কথা (যৌথ), ফতোয়া (যৌথ), মধুদা (যৌথ), আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচনাবলী (১ম খণ্ড, যৌথ), ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফরাসি শব্দসংগ্রহ (যৌথ), আইন-শব্দকোষ  (যৌথ) ইত্যাদিসহ প্রায় পঞ্চাশটি গ্রন্থ।

প্রবন্ধ গবেষণায় অবদানের জন্য ১৯৭০ সালে তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।১৯৮৫ সালে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য তাঁকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ পদক প্রদান করা হয়।২০১৫ সালে তাঁকে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়।অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আরোও নানা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি,১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক প্রদত্ত আনন্দ পুরস্কার,১৯৫৬ সালে নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক,১৯৫৮ সালে স্ট্যানলি ম্যারন রচনা পুরস্কার,১৯৬৫ সালে দাউদ পুরস্কার,১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার,১৯৮৩ সালে অলক্ত পুরস্কার,১৯৮৬ সালে আলাওল সাহিত্য পুরস্কার ও বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার,১৯৯০ সালে বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ ট্রাস্ট,১৯৯৩ সালে দেওয়ান গোলাম মোর্তজা স্মৃতিপদক,১৯৯৪ সালে অশোক কুমার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার,২০১১ সালে কলকাতার এশিয়াটিক সোসাইটির ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্বর্ণপদক,২০১২ সালে ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার।এ ছাড়াও ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন।

বরেণ্য এই ব্যক্তিত্ব বাহাত্তরের কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশনের সদস্য আনিসুজ্জামান নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমির আমৃত্যু ছিলেন বাংলা একাডেমির সভাপতি।

বর্তমানে তিনি শিল্পকলাবিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা যামিনী এবং বাংলা মাসিকপত্র কালি ও কলম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করতেছিলেন।

আনিসুজ্জামান ১৯৬১ সালে জীবনসঙ্গিনী সিদ্দিকা জামানের সঙ্গে হয় তাহার বিয়ে। তার স্ত্রী তখন ইডেন কলেজের বি.এ. ছাত্রী ছিলেন। তার শ্বশুর আবদুল ওয়াহাব ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক। আনিসুজ্জামান ও সিদ্দিকা জামান দম্পতির দুই মেয়ে,এক ছেলে।

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম

নিবিড় নিভৃত পূর্ণিমানিশীথিনী-সম॥

মম জীবন যৌবন    মম অখিল ভুবন

তুমি    ভরিবে গৌরবে নিশীথিনী-সম॥ ——–

নিউজটি শেয়ার করুন..

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন