প্রকাশিত: শুক্রবার,১৭ ডিসেম্বর ২০২১ইং।। ৩রা পৌষ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (শীতকাল)।। ১২ জামাদিউল আউয়াল ১৪৪৩ হিজরী।।
বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : কক্সবাজারে এখন মানুষ আর মানুষ। পর্যটনে আবার সুদিন ফিরেছে। কক্সবাজার সহ দেশের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ব্যাপকহারে পর্যটক সমাগম হচ্ছে। করোনাকালীন দুই বছরের ঘরবন্দি জীবন থেকে মানুষ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করছে। সাপ্তাহিক ছুটির সাথে বিজয় দিবসের ছুটিতে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপকহারে পর্যটক সমাগম দেশের পর্যটন খাতে শুভ লক্ষণ বলেই মনে করা হচ্ছে। বিজয় দিবসের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে এখন লাখ লাখ পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়।
চার শতাধিক হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস রেস্ট হাউজে কয়েক মাস আগে থেকে অগ্রিম বুকিং দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সৈকতের কক্সবাজার এসেছেন পর্যটকরা।
লাখো পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। টানা তিনদিনের সরকারি ছুটিতে দলে দলে কক্সবাজারে পৌঁছান নানা বয়সী মানুষ। সকাল পেরিয়ে বিকেল-সন্ধ্যা এমনকি রাতেও লোকারণ্য সৈকত। সৈকতের বালিয়াড়ি ও পর্যটন স্পটগুলোতে যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই।
এ ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পাঁচ লাখের বেশি পর্যটকের উপস্থিতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এসময়ে ৫০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্যের আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শীতের কুয়াশা মাখা হাওয়ায় সূর্যাস্ত দেখতে সৈকতে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। ভিড় রয়েছে হোটেল-মোটেলে অলিগলি-রাস্তায়। পর্যটকবাহী ও সাধারণ পরিবহন এবং ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশায় বাইপাস সড়ক, কলামতী ডলফিন মোড়, হোটেল-মোটেল জোন, লাবণী, শৈবাল সড়ক ঢেকে যায়। তীব্র যানজটে নাকাল পর্যটন নগরী কক্সবাজার।
এদিকে কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে পর্যটন স্পটগুলো।
ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান জানান, টানা তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন। বুধবার থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে প্রবেশ করতে শুরু করেছেন। অনেক আগেই বুকিং হয়ে যায় পর্যটনকেন্দ্রিক সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল-রিসোর্ট। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ চিকিৎসা ও খাবার পানির ব্যবস্থা রয়েছে।
চট্টগ্রামের উত্তর শুলকবহর এলাকা থেকে পরিবার নিয়ে আসা মারুফ হোসাইন বলেন, দু’বছর করোনা ভীতির কারণে বেড়ানো হয়নি। বাবা বিদেশ থেকে এসেছেন মাসখানেক আগে। বিজয় দিবসের ছুটিসহ টানা বন্ধের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে এলাম।
হোটেল দ্য গ্রান্ডী সি বিচের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বলেন, পর্যটন মৌসুমে কমবেশি পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেন। বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে একসঙ্গে অনেক লোক বেড়াতে এসেছেন। করোনা কালের ক্ষতি কাটাতে এভাবে পুরো মৌসুম ভর্তি থাকুক এমনটিই আমাদের কাম্য।
কক্সবাজার ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও দিগন্ত ট্যুরিজমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়ার মোহাম্মদ বলেন, শুধু কক্সবাজার নয়, ইনানী-হিমছড়ি, সেন্টমার্টিনসহ সব পর্যটন স্পটে পর্যটকের উপস্থিতি বেড়েছে।
কলাতলীর সি নাইট গেস্ট হাউজের ব্যবস্থাপক শফিক ফরাজী বলেন, হোটেল-মোটেলে যে পরিমাণ ধারণক্ষমতা রয়েছে তার চেয়ে বেশি লোকসমাগম হয়েছে।
সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢেউয়ের সঙ্গে খেলছেন পর্যটকরা। আনন্দে আত্মহারা হয়েছে অনেকে বিপদসীমার বাইরেও চলে যান। তাদের কিনারায় আনতে কাজ করার পাশাপাশি নিরাপদ থাকতে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সৈকতের সব পয়েন্টে মানুষের ভিড়। সুগন্ধা, লাবনী ও কলাতলী পয়েন্টে পর্যটক সমাগম বেশি হয়। পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বদা সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোনো ঘটনা রোধে, পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে এবং পর্যটক বেশেও পুলিশের নারী সদস্যরা সৈকতে অবস্থান করছেন।
নিউজটি শেয়ার করুন .. ..
(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1
‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।
আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’