একুশে পদক পাইলেন বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন

0
4
একুশে পদক পাইলেন বিক্রমপুরের কৃতি সন্তান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন

প্রকাশিত: রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ইং।। ৭ই ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।। ১৭ রজব,১৪৪৩ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অফিস ডেস্ক  : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক ২০২২-এ পাইলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের আরও ২৩ গুণীজনকে আজ রোববার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক তুলে দেয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে পদক তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের জন্ম ১৯৫৮ সালের ১ জানুয়ারি, বিক্রমপুরের লৌহজং উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামে। তাঁর পিতা মরহুম শেখ খোরশেদ আলম ও মাতা পিয়ারা বেগম। ড. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী বিলকিস ফেরদৌসী ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ড. আনোয়ার হোসেন ও বিলকিস ফেরদৌসি দম্পতি দুই সন্তানের জনক-জননী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বর্তমানে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশে জিনোম ও মাইক্রোবায়োম গবেষণা প্রতিষ্ঠায় অন্যতম পথপ্রদর্শক। করোনা অতিমারীর শুরুতে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং তাঁর দল করোনা পরীক্ষা, গবেষণা ও করোনার বিভিন্ন ধরনের রহস্য উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছেন। একইসঙ্গে অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন ক্ষুরা রোগ (ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ), ওলন পাকা (ম্যাসটাইটিস), আর্সেনিক বায়ো-রিমিডেশন এবং অ্যান্টিবায়োটিক রেসিসটেন্স গবেষণায় অনস্বীকার্য অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর গবেষণা ইতিমধ্যে দেশ-বিদেশে স্বীকৃতি মিলেছে এবং বিশ্বের খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা তাঁর প্রকাশিত গবেষণাপত্র উদ্ধৃতও করছেন। অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেনের দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন গবেষণা সাময়িকীতে এ পর্যন্ত ১৩০টিরও অধিক গবেষণাপত্র, আন্তর্জাতিক পরিসরে চারটি বুক চ্যাপ্টার, দেশ ও বিদেশে ১৫০টিরও অধিক সম্মেলনে সার-সংক্ষেপ প্রকাশিত হয়েছে।
পদক পাওয়া বিশিষ্টজনেরা হলেন ভাষা আন্দোলনে মোস্তফা এম. এ. মতিন (মরণোত্তর) ও মির্জা তোফাজ্জল হোসেন মুকুল (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (নৃত্য) জিনাত বরকতউল্লাহ, শিল্পকলায় (সঙ্গীত) নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর), ইকবাল আহমেদ ও মাহমুদুর রহমান বেণু, অভিনয়ে খালেদ মাহমুদ খান (মরণোত্তর), আফজাল হোসেন ও মাসুম আজিজ, মুক্তিযুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মো. মতিউর রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী (মরণোত্তর), কিউ এ বি এম রহমান এবং আমজাদ আলী খন্দকার।
এছাড়াও পদক পেয়েছেন সাংবাদিকতায় এম এ মালেক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে মো. আনোয়ার হোসেন, শিক্ষায় অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ, সমাজসেবায় এস. এম. আব্রাহাম লিংকন ও সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাথের, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কামাল চৌধুরী ও ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ।
এছাড়াও গবেষণায় এককভাবে পদক পেয়েছেন ড. মো. আবদুস সাত্তার মণ্ডল, আর দলগতভাবে পুরস্কার পেয়েছেন ড. মো. এনামুল হক (দলনেতা), ড. সাহানাজ সুলতানা ও ড. জান্নাতুল ফেরদৌসী।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এবং একুশের চেতনাকে ধারণ করে দেশের শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির বিকাশ এবং আলোকিত সমাজ বিনির্মাণে যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভূত অবদান রাখছেন, তাদের সকলের প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকার প্রতিবছর গৌরবময় একুশে পদক প্রদান করেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচিত প্রত্যেককে এককালীন নগদ ৪ লাখ টাকাসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়ে থাকে।
একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শনিবার এক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তিনি বলেন, একুশের শহীদগণ যেমন জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান, তেমন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সকল গুণীজন জাতির গর্ব ও অহংকার। যদিও প্রকৃত গুণীজন পুরস্কার বা সম্মাননার আশায় কাজ করেন না, তবু পুরস্কার-সম্মাননা জীবনের পথ চলায় নিরন্তর প্রেরণা যোগায়।
উল্লেখ্য, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিল্পী, শিক্ষাবিদ, ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধে অবদান, ভাষাবিদ, গবেষক, সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ, দারিদ্র্য বিমোচনে অবদান রাখা ব্যক্তি, সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় পর্যায়ে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সাল থেকে একুশে পদক দেওয়া হচ্ছে।

 (বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..               

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন