একই দিনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিক্রমপুরের ২ নক্ষত্র হারিয়ে গেল

0
40
একই দিনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিক্রমপুরের ২ নক্ষত্র হারিয়ে গেল
প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩।। ৩০ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বর্ষাকাল)।। ২৫ জিলহজ, ১৪৪৪ হিজরি।।

বিক্রমপুর খবর : অনলাইন ডেস্ক : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ আর নেই।

শুক্রবার (১৪ জুলাই) ভোরে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লীনু বিল্লাহ। বুলবুল মহলানবীশ দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন অসুখে ভুগছিলেন।

অন্যদিকে, শিল্পী বুলবুল মহলানবীশের মৃত্যুর খবরের পর স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের আরও একজন শব্দ সৈনিক মারা গেলেন। তিনি হলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক, উপস্থাপক ও অন্যতম সংগঠক আশফাকুর রহমান খান।

একই দিনে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এখন তার মরদেহ রাজধানীর মনিপুরীপাড়ার বাসায় রাখা হয়েছে। তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোয়ার হোসেন খান।

বুলবুল মহলানবীশ একাধারে কবি ও লেখক সংগীত, নাট্য ও আবৃত্তিশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি লাভ করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন-বেতার-মঞ্চে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করতেন।

মহান এই শিল্পীর মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী গণমাধ্যমে বলেন, সকালে ঘুম ভাঙল বুলবুল মহলানবীশ আপার মৃত্যুর খবর শুনে। এমন খবর শুনে আমি মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছি। তাকে হারিয়ে আমরা আরও একজন সহযোদ্ধাকে হারালাম। আমি তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।

নজরুল সংগীতশিল্পী বুলবুল মহলানবীশ নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদের সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র একাডেমি। জাতীয় কবিতা পরিষদ, কচিকাঁচার মেল, উদীচী, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র শিল্পী পরিষদসহ বহু সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বুলবুল মহলানবীশ সংগীতচর্চা ও লেখালেখির জন্য বিভিন্ন সম্মাননা ও পদকে ভূষিত হয়েছেন।

এদিকে, আশফাকুর রহমান খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী তিমির নন্দী বলেন, আজ সকালে ঘুম থেকে জেগে আমার প্রিয় দুইজন মানুষের মৃত্যুর সংবাদের খবর জেনে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে আছে। তাদের হারিয়ে জাতি তার দুই শ্রেষ্ঠ সন্তান হারালো। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এই মহান ব্যক্তির অসামানন্য অবদানের কথা জাতি চিরদিন মনে রাখবে। আমি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।

জানা গেছে, আশফাকুর রহমানের মরদেহ রাজধানীর মনিপুরীপাড়ার বাসায় রাখা হয়েছে। জানা গেছে, তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আজ জুমার পর রাজধানীর ফার্মগেটের বায়তুশ শরফ মসজিদে। এরপর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হবে তাকে।

আশফাকুর রহমান খান দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশ বেতারে যোগদান করেন। বেতারের থেকে উপ-পরিচালক পদে উন্নিত হয়ে অবসরে যান।

‘চরমপত্র’৭১

‘মেজিক কারবার। ঢাকায় অখন মেজিক কারবার চলতাছে।

চাইরো মুড়ার থনে গাবুর বাড়ি আর কেচ্কা মাইর খাইয়া ভোমা ভোমা সাইজের মছুয়া সোলজারগুলা তেজগাঁ-কুর্মিটোলায় আইস্যা—আ-আ-আ দম ফালাইতাছে। আর সমানে হিসাবপত্র তৈয়ার হইতাছে….’
  1. এরকম বহু শ্লেষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যে ভরপুর ছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে সম্প্রচারিত ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানটি। সে সময় স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান এটি। অনবদ্য এ অনুষ্ঠানটির প্রতিটি অধ্যায়ের রচয়িতা ও কথক ছিলেন কথাযোদ্ধা এম আর আখতার মুকুল (১৯২৯-২০০৪)।হালকা ভাঙা-ভাঙা কণ্ঠের অসাধারণ শব্দচয়ন ও অনন্য বাচনভঙ্গিতে এই কথিকা মুক্তিকামী বাঙালিকে কেবল রোমাঞ্চিতই করেনি, ৫৬ হাজার বর্গমাইলের যুদ্ধাক্রান্ত দেশটির মানুষের মধ্যে বিনোদনের একমাত্র খোরাকও হয়ে উঠেছিল। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বর্বর শত্রুকে নিয়ে এমন শ্লেষ, ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ নজিরবিহীনই বটে!

    অন্যদিকে চরমপত্রের ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ-শ্লেষ রাজাকার-আলবদর ও পাকিস্তানপন্থিদের কাছে ছিল দগদগে ঘায়ে নুনের ছিটার মত। নিছক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপই কি ছিল চরমপত্রে? পাকিস্তানি সামরিক জান্তার পৈশাচিক বর্বরতার বিরুদ্ধে এটি হয়ে উঠেছিল মোক্ষম এক রাজনৈতিক হাতিয়ার।

    ১৯৭১ সালের মে থেকে ডিসেম্বর। এই আট মাস বাংলাদেশের যুদ্ধরত মুক্তিকামী মানুষ স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের ‘চরমপত্র’ শুনে আলোড়িত, আন্দোলিত উজ্জীবিত হতো। ২৫ মে স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্র চালু হওয়ার দিন থেকে ‘চরমপত্র’ পাঠ শুরু হয়। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের দিনে ‘চরমপত্র’র শেষ পর্ব সম্প্রচারিত হয়।

    ‘চরমপত্র’ অনুষ্ঠানের নামকরণ করেছিলেন স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের একনিষ্ঠ কর্মী আশফাকুর রহমান খান।

    মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেওয়ার পাশাপাশি এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশের শত্রুকবলিত এলাকার জনগোষ্ঠী ও ভারতে অবস্থানরত বাঙালি শরণার্থীদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে রেখেছিল  গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

    মানসম্মত রেকর্ডিং স্টুডিওর অভাবে টেপ রেকর্ডারে ‘চরমপত্র’ রেকর্ড করা হতো। ৮-১০ মিনিটের এই টেপ নিয়মিতভাবে স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের ট্রান্সমিটার থেকে সম্প্রচার করা হতো। ‘চরমপত্র’র প্রতি পর্বের রচনা ও ব্রডকাস্টিংয়ের জন্য এম আর আখতার মুকুল পারিশ্রমিক হিসেবে পেতেন মাত্র ৭ টাকা ২৫ পয়সা।

    এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিদিন গল্পের ছলে দুরূহ রাজনীতি ও রণনীতি ব্যাখ্যা করা ছাড়াও রণাঙ্গনের সর্বশেষ খবরাখবর সহজ, সাবলীল ও ব্রাত্যজনের ভাষায় অত্যন্ত নিষ্ঠা ও মুন্সিয়ানায় উপস্থাপন করতেন এম আর আখতার মুকুল।

    যখন তিনি অনুধাবন করলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ৯৫ শতাংশই গ্রাম-বাংলার সন্তান। তখন তিনি ‘চরমপত্র’ পঠনে চমক আনলেন। শহুরে প্রমিত ভাষা ত্যাগ করে ঢাকাইয়া ভাষার ব্যবহার করা শুরু করলেন। একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ঐক্য আনতে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহারও শুরু করেন তিনি।

    শুধু তাই নয়, নিজের সৃষ্টি নতুন নতুন শব্দ মাঝে মধ্যেই জুড়ে দিতেন চরমপত্রে। ১৯৭১ সালের ২৯ মে ‘চরমপত্র’র পঞ্চম পর্বের অংশবিশেষ ছিল এরকম—‘জেনারেল ইয়াহিয়া খান এখন ঝিম ধরেছেন। এদিকে আগায় খান, পাছায় খান, খান আব্দুল কাইউম খান আবার খুলেছেন, মাফ করবেন ‘মুখ’ খুলেছেন। আয় মেরে জান, পেয়ারে দামান, খান কাইউম খান তোমার ক্যারদানী আর কত দেখাইবা? জেনারেল ইয়াহিয়া, তোমাকে একটা কথা বলতে চাই। হা-ডু-ডু খেলা দেখেছো কখনও? সেই হা-ডু-ডু খেলায় কেচ্কি বলে একটা প্যাঁচ আছে। আর তুমি বুঝি হেই কেচ্কির খবর পাইয়া আউ-কাউ কইরা বেড়াই আছো। ’

    আর ১৬ ডিসেম্বর শেষ পর্বটি ছিল—‘আইজ থাইক্যা বঙ্গাল মুলুকে মোছুয়াগো রাজত্ব শ্যাস। আট হাজার আটশ চুরাশি দিন আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট তারিখে মুছলমান মুছলমান ভাই ভাই কইয়া, করাচি, লাহোর, পিন্ডির মছুয়া মহারাজারা বঙ্গাল মুলুকে যে রাজত্ব কায়েম করছিল, আইজ তার খতম তারাবি হইয়া গেল। বাঙালি পোলাপাইন বিচ্ছুরা দুইশ পঁয়ষট্টি দিন ধইরা বঙ্গাল মুলুকের ক্যাদো আর প্যাঁকের মাইদ্দে ওয়ার্ল্ডের বেস্ট পাইটিং ফোর্সগো পাইয়া, আরে বাড়িরে বাড়ি। টিক্কা মালেক্যা গেল তল, পিঁয়াজী বলে কত জল?

    ——-=======================————

    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র

                                                            [ বাংলা পিডিয়া এম সিদ্দিকুর রহমান]

    স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র। বস্ত্তত, চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এর প্রাথমিক যাত্রা শুরু হয়। এই কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল।

    ১৯৭১-এর ৩০ মার্চ পাকিস্তান বিমান বাহিনী কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করে। ফলে এটি অচল হয়ে যায়। কেন্দ্রটি ৩ এপ্রিল ১৯৭১ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাগাফায় একটি শর্টওয়েভ ট্রান্সমিটারের সাহায্যে এর দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করে। পরবর্তীকালে দশজনের একটি সম্প্রচার দল নিয়ে এই বেতার কেন্দ্র শালবাগান ও বাগাফা হয়ে বেলুনিয়া ফরেস্ট হিলস রোডে স্থানান্তরিত হয়। নতুন পর্যায়ে বেতার কেন্দ্রটির সংগঠনে মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রেডিও পাকিস্তানের স্ক্রিপ্ট লেখক ও গায়ক বেলাল মোহাম্মদ। তাঁর অন্য সহযোগীরা ছিলেন আবদুল্লাহ-আল-ফারুক, আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, কাজী হাবিবউদ্দিন আহমেদ মনি, আমিনুর রহমান, রশিদুল হোসাইন, এ.এম শরফুজ্জামান, রেজাউল করিম চৌধুরী, সৈয়দ আবদুস শাকের, মুস্তফা মনোয়ার প্রমুখ। কালুরঘাট থেকে নেওয়া ট্রান্সমিটারটির কোন যান্ত্রিক গাইড বই ছিল না। দলের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার সদস্য আবদুস শাকের এটিকে কার্যক্ষম করে তোলেন। এই পর্বের দৈনন্দিন কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল ৮.৩০ মিনিট থেকে ৯টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা।

    মে মাসের ২৫ তারিখ কেন্দ্রটি কলকাতায় স্থানান্তরিত হয় এবং একই দিনে সেখানে এটি তার কার্যক্রম শুরু করে। ঢাকা থেকে আসা রেডিও-র পুরাতন স্টাফ ও নবাগতদের সমন্বয়ে ২৬ মে থেকে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র রূপে এর ৩য় পর্বের কার্যক্রম শুরু করে। আগস্ট মাসে কেন্দ্রটি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগপত্র ইস্যু শুরু করে, তবে কর্মরতদের নিয়োগ মূলত ১৯৭১ সালের জুন মাস থেকে কার্যকর বলে ধরে নেওয়া হয়।

    স্বাধীন বাংলা বেতারের অত্যন্ত জনপ্রিয় দুটি অনুষ্ঠান ছিল ‘চরমপত্র‘ ও ‘জল্লাদের দরবার’। জল্লাদের দরবার-এ জেনারেল ইয়াহিয়া খানের অমানবিক চরিত্র ও পাশবিক আচরণকে তুলে ধরা হতো। এই ব্যঙ্গাত্মক সিরিজে তাকে ‘কেল্লা ফতেহ খান’ চরিত্রে চিত্রিত করা হয় এবং এই ভূমিকায় অভিনয় করেন রাজু আহমেদ। চরমপত্র সিরিজটি পরিকল্পনা করেন জাতীয় পরিষদ সদস্য আবদুল মান্নান এবং স্থানীয় ঢাকাইয়া উপভাষায় এর স্ক্রিপ্ট তৈরি করেন এম.আর আখতার মুকুল, যিনি নিজেই এর উপস্থাপক ছিলেন। এই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানটি জনগণের কাছে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়। এতে একইসঙ্গে ছিল তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ ও জাতীয়তা বোধের প্রকাশ যা জনগণের নৈতিক মনোবল দৃঢ়ীকরণে ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।

    ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও অস্থায়ী সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর স্বাধীন দেশের বেতার কেন্দ্র হিসেবে এর নতুন নাম হয় ‘বাংলাদেশ বেতার’। বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসে এবং সেদিন থেকেই স্বাধীন দেশের রেডিও হিসেবে বাংলাদেশ বেতারের সম্প্রচার কাজ শুরু হয়।

(বিজ্ঞাপন) https://www.facebook.com/3square1

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..

‘‘আমাদের বিক্রমপুর-আমাদের খবর।

আমাদের সাথেই থাকুন-বিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন