আলু উত্তোলনে সিরাজদিখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ

0
13
আলু উত্তোলনে সিরাজদিখানে বিশাল কর্মযজ্ঞ

প্রকাশিত: রবিবার, ৪এপ্রিল ২০২১ইং।। ২১শে চৈত্র  ১৪২৭ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)।। ২১ শা’বান ১৪৪২হিজরী

বিক্রমপুর খবর : সিরাজদিখান প্রতিনিধি : কৃষিনির্ভর দেশ বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় আলুর চাষ হলেও মুন্সিগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এবার চাষ হয়েছে গোল আলু।

প্রতিবছর সিরাজদিখানে আলুর রোপণ মৌসুমের শুরু থেকেই সেখানে বেড়ে যায় শ্রমিকসহ বিভিন্ন উপকরণের মজুরি। আলু আবাদ ও উত্তোলনের সময় স্থানীয় মজুর কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। ফলে বাইরের জেলার মজুরদের ওপর নির্ভর করতে হয় চাষিদের। এসময় কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর এলাকার মজুরদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় বেশি। এসময় একজন মজুর দিনে ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা মুজুরি নিয়ে থাকে।

সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় সাদিক নামে এক কৃষকের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, এক বছরের জন্য ৮০ হাজার টাকায় দেড় পাকি জায়গায় তিনি লিজ নিয়েছেন। এখানে আলুর পাশাপাশি ধান-পাট চাষ করা হয়। গতবছর আলু বিক্রি করে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় করেছি। এবারও গতবারের তুলনায় একটু কম আয় হবে বলে ধারণা করছি।

তিনি আরও বলেন, গত বছর বীজের দাম একটু কম ছিল কিন্তু এ বছর দামটা বেশি। গত বছরে যে বীজ কিনেছিলাম ১৪০০ টাকা এবার তা কিনতে হয়েছে ২৪০০ টাকা দিয়ে। অন্য খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বছর আলুর ফলন হিসাবে লাভ কম হবে। কোল্ড স্টোরেজে রাখলে আনুষাঙ্গিক খরচ বাদ দিয়ে লোকসান হয়। তাই কিছু আলু স্টোরে না রেখে ক্ষেত থেকে বিক্রি করে দিচ্ছি।

জানা যায়, বাংলাদেশে ৮০ লাখ টন আলুর চাহিদা রয়েছে। এ বছর সিরাজদিখান থেকে প্রায় তিন লাখ ৩২ হাজার টন আলুর ফলন হতে পারে। এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ৯ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে আলু প্রায় শতভাগ উত্তোলন করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার আলুর ভাল ফলন হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন .. ..             

   ‘‘আমাদের বিক্রমপুরআমাদের খবর

আমাদের সাথেই থাকুনবিক্রমপুর আপনার সাথেই থাকবে!’’

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার কমেন্টস লিখুন
দয়া করে আপনার নাম লিখুন