প্রকাশিত:বুধবার,১৭এপ্রিল২০১৯:৪রা বৈশাখ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ।
বিক্রমপুর খবর:নিজস্ব ডেস্ক: আজ ড.নূহ-উল-আলম লেনিনের জন্মদিন
জন্ম :১৭ এপ্রিল ১৯৪৭, গ্রাম-রানী গাঁও উপজেলা বিক্রমপুর।
ড.নূহ-উল-আলম লেনিন বহুমাত্রিক। ড.নূহ-উল-আলম লেনিন রাজনৈতিক,আর্থ-সামাজিক ও বিভিন্ন মৌলিক গবেষণার পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্যকর্মেও রেখেছেন উজ্জ্বল স্বাক্ষর।রাজনীতির সঙ্গে লেখক জীবনের চমৎকার সমন্বয় ঘটানো এক ব্যক্তিত্ব নূহ-উল-আলম লেনিন। একাধিক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার রচনা এবং দলের ঘােষণাপত্র ও কর্মসূচি প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কর্মকৌশল নির্ধারণ ও ভবিষ্যৎ-রূপকল্প নির্মাণে রেখেছেন। অমূল্য অবদান। রাজনীতিবিদের পরিচয়কে ছাপিয়ে হয়ে ওঠেন কবি। সেই সঙ্গে এগিয়ে যায় প্রবন্ধ ও গবেষণামূলক লেখালেখি।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ড.নূহ-উল-আলম লেনিন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ, ছাত্র ও কৃষক আন্দোলনের সংগঠক। রাজনৈতিক কারণে একাধিকবার কারা-নির্যাতন ভোগ এবং বিভিন্ন সময়ে আত্মগোপনে থাকতে বাধ্য হয়েছেন। মূলধারার রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একজন হিসেবে গণতন্ত্র,উন্নয়ন এবং জাতীয় অগ্রগতির সংগ্রামেও মূল্যবান অবদান রেখেছেন। যদিও পরম্পরাগতভাবে স্থির করেছিলেন রাজনীতিই হবে তার জীবনের আধার। মানবকল্যাণ আর সমাজ পরিবর্তনের পথে যাত্রা করা সেই জীবনটিই একসময় ধাবিত হয় সৃষ্টিশীলতার পথরেখায়।
‘দেশকর্মী’ ড.নূহ-উল-আলম- লেনিন জ্ঞান ও কর্মকে একসঙ্গে মিলিত করতে পেরেছেন। যখন তরুণ বয়স তখন থেকেই তিনি লেখায় ও রাজনীতিতে নতুন চমক নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন।তার প্রেমের কবিতা মাদকতাময়।বঙ্গবন্ধু,মুক্তিযুদ্ধ,দেশপ্রেম নিয়ে অনেক কবিতা রয়েছে । কিন্তু এখনও তিনি রোমান্টিক কবিতা লিখে চলেছেন। এটা প্রমাণ করে সজীব রয়েছেন প্রাণে মনে এবং লেখনীতে।
একসঙ্গে রাজনীতি ও কবিতাকে ধারণ করা খুবই বিরল ঘটনা।তিনি রাজনীতির সঙ্গে লেখালেখিকে সহাবস্থানে নিয়ে আসতে পেরেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুখপত্র ‘উত্তরণ’-এর প্রকাশক ও সম্পাদক।প্রায় দুই দশক ধরে সম্পাদনা করছেন মুক্তচিন্তার সাময়িকী ‘পথরেখা’।
কলাম লেখা,মৌলিক গ্রন্থ রচনা এবং কাব্যচর্চা ছাড়াও গড়ে তুলেছেন ‘বিক্রমপুর জাদুঘর’, ‘বঙ্গীয় গ্রন্থ জাদুঘর’ ও ‘জ্ঞানপীঠ স্বদেশ গবেষণা কেন্দ্র’।
ড.নূহ-উল-আলম লেনিন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন’-এর সভাপতি।